দুর্গাপুর, 19 নভেম্বর: রাষ্ট্রায়ত্ত ইস্পাত কারখানা এবং এইসব ইস্পাত কারখানার সঙ্গে যুক্ত খনিগুলির নিরাপত্তাব্যবস্থা (Security of State Owned Steel Factories and Mines) আরও উন্নত করতে উদ্যোগী হল সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ৷ এই বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ করা যেতে পারে, তা স্থির করতেই দু'দিনের একটি আলোচনা সভার (Seminar) আয়োজন করা হয়েছে ৷ পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের (Durgapur) সিটি সেন্টারের একটি বেসরকারি হোটেলে এই কর্মসূচি পালন করা হয় ৷ শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় শিল্প সুরক্ষা বাহিনী (Central Industrial Security Force) বা সিআইএসএফ (CISF)-এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন ৷
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কীভাবে অপরাধ দমন করা যায়, তা নিয়ে এই সেমিনারে বিশদে আলোচনা করা হয় ৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর স্টিল প্ল্য়ান্ট ও বার্নপুর ইস্পাত কারখানার ডিরেক্টর ইন চার্জ বিপি সিং, সিআইএসএফ-এর আধিকারিক ইন্সপেক্টর জেনারেল সুধীর কুমার-সহ অন্যরা ৷
আরও পড়ুন: পানাগড়ে ম্যাটিক্স সার কারখানার ইউনিট শাটডাউন, শ্রমিকদের বিক্ষোভ
এই আয়োজন প্রসঙ্গে সুধীর কুমার জানান, "এই আলোচনা সভা আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রযুক্তিগতভাবে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে ৷ সাইবার ক্রাইম-সহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সহজেই দমন করা যাবে ৷ অপরাধমূলক ঘটনাগুলিতে এখন উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ একে কীভাবে দমন করা যায়, তা নিয়েই আলোচনা করা হয় ৷ রাষ্ট্রের সম্পত্তি রক্ষা করতে সিআইএসএফ রাজ্য পুলিশের বিশেষ কোনও সহযোগিতা পেতে পারে কিনা, সেই বিষয়েও আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে ৷"
এছাড়াও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুধীর কুমার জানান, "রাষ্ট্রায়ত্ত লৌহ ও ইস্পাত শিল্প এবং ইস্পাত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত খনিগুলিতে অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে ৷ বদলে যাচ্ছে অপরাধমূলক ঘটনার ধরন ৷ তাই আমরা সিআইএসএফ-এর পক্ষ থেকেও নিরাপত্তার জন্য নতুন নতুন পথ খুঁজে বের করছি এবং সেগুলির যথাযথ প্রয়োগ করছি ৷ ড্রোন ও জিপিএস পদ্ধতির ব্যবহার ছাড়াও অন্য়ান্য অনেক বিষয় রয়েছে ৷ সেই সবকিছু নিয়েই দু'দিনের এই আলোচনা সভায় কথা হবে ৷ এতে আমরা সকলেই অত্যন্ত উপকৃত হব ৷ আমাদের রাজ্য পুলিশও সহযোগিতা করছে ৷ কয়লা, লৌহ আকরিক-সহ বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থের চুরি ঠেকাতে আমরা সকলেই ভীষণভাবে তৎপর ৷"