ETV Bharat / state

Panchayat Elections 2023: ঘরের লড়াই বাইরে, জেলা অফিসের বাইরে ধস্তাধস্তি তৃণমূলের

দলীয় প্রতীক বন্টনের সময় প্রার্থীতালিকা নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা ৷ শনিবার জেলা কার্যালয়ের সামনেই বাঁধল ধস্তাধস্তি ৷

Etv Bharat
আসানসোলে ঝামেলা
author img

By

Published : Jun 18, 2023, 11:56 AM IST

আসানসোলে জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

আসানসোল, 18 জুন: আগাম অশান্তির আঁচ পেয়ে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেনি তৃণমূল । রাজনৈতিক চুপিসারে মনোনয়ন প্রক্রিয়া করে ফেলা হয়েছে । কিন্তু দলীয় প্রতীক বন্টনের সময় আসন নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভের কথা বাইরে বেরিয়ে এল । বিষয়টা এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছলো তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি বেঁধে গেল । জেলা পার্টি অফিস ছেড়ে সেই হাতাহাতি একেবারে রাস্তায় নেমে এল । তড়িঘড়ি পুলিশ পৌঁছে দু'পক্ষকে সরিয়ে না দিলে আরও বড় ঘটনা ঘটত । যদিও এই ঘটনা ইঙ্গিত দিল, ঘরোয়া বিবাদ আরও অনেক বাকি ।

শনিবার রাতে আসানসোলের রাহা লেনে তৃণমূলের জেলা দলীয় অফিসে প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক বন্টন করা হচ্ছিল । উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, নেতা অভিজিৎ ঘটক থেকে শুরু করে আরও অন্যান্যরা । আর সেখানেই অশান্তির সূত্রপাত হয় রানিগঞ্জের জেমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন নিয়ে । রানিগঞ্জ গ্রামীণের ব্লক সভাপতি দেবনারায়ণ দাস এবং তৃণমূল নেতা অর্জুন সিংয়ের মধ্যে বিবাদ বাঁধে । যতগুলি পঞ্চায়েতের প্রার্থী চাওয়া হয়েছিল ততগুলি আসন না পাওয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয় । আর যার ফলে বচসা শুরু হয়ে যায় দু'পক্ষের মধ্যে । দুই পক্ষের প্রথমে উত্তেজনাময় কথাবার্তা চালাচালি এবং পরে তা হাতাহাতিতে পৌঁছে যায় দলীয় নেতাদের সামনেই ।

শুধু তাই নয় সেই হাতাহাতি দলীয় অফিস ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসে । দু'পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় মাঝরাস্তায় । দলীয় অফিস থেকে কিছুটা দূরেই আসানসোল দক্ষিণ থানা । খবর পেয়ে দক্ষিণ থানা থেকে পুলিশবাহিনী এসে দু'পক্ষকে থামায় এবং দুই পক্ষকে সরিয়ে দেওয়া হয় । এমনকি দেখা যায় জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে দলীয় অফিস থেকে বেরিয়ে এসে দু'পক্ষকে সরিয়ে দিতে ।

একেবারে প্রকাশ্যে রাস্তায় নেমে এল পঞ্চায়েতের আসন নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব । কিন্তু এটা শুধুমাত্র রানিগঞ্জ ব্লকের জেমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন বন্টন নিয়ে অশান্তি । গোটা জেলায় এই অশান্তি আরও অনেক বাকি আছে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করছে খোদ দলেরই নেতা কর্মীরা । যদিও বিষয়টি মেনে নিয়েছেন তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ।

আরও পড়ুন: মনোনয়ন না তুললে বাড়ির মহিলাদের নিস্তার নেই, সিপিএম কর্মীদের হুমকি শাসক দলের

তিনি জানান, সবাই পঞ্চায়েতের আসনে প্রার্থী হতে চাইছে । কিন্তু সবাইকে তো আর প্রার্থী করা সম্ভব নয় । ফলে অবস্থান বিক্ষোভ চলছে । কেউ কেউ কান্নাকাটি করছেন । যদিও আমরা জানি এসব জিনিস মিটে যাবে । কারণ দলটার নাম তৃণমূল কংগ্রেস । আমাদেরই দল । আমরা সবাইকে বোঝাব । দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গেলেই প্রার্থীরা প্রতীক পেয়ে গেলেই ক্ষোভ বিক্ষোভ থেমে যাবে । সবাই একসঙ্গে লড়াইয়ের মাঠে নামবেন তখন ।" তবে রাজনৈতিক মহলের মতে জেলা সভাপতি যাই বলুক না কেন এ দিনের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের আসন বন্টন নিয়ে কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ জন্মেছে এবং সেই ক্ষোভ বেরিয়ে এলে তার দলীয় নেতাদের পক্ষে সামলানো কঠিন হবে ।

আসানসোলে জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

আসানসোল, 18 জুন: আগাম অশান্তির আঁচ পেয়ে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেনি তৃণমূল । রাজনৈতিক চুপিসারে মনোনয়ন প্রক্রিয়া করে ফেলা হয়েছে । কিন্তু দলীয় প্রতীক বন্টনের সময় আসন নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভের কথা বাইরে বেরিয়ে এল । বিষয়টা এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছলো তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি বেঁধে গেল । জেলা পার্টি অফিস ছেড়ে সেই হাতাহাতি একেবারে রাস্তায় নেমে এল । তড়িঘড়ি পুলিশ পৌঁছে দু'পক্ষকে সরিয়ে না দিলে আরও বড় ঘটনা ঘটত । যদিও এই ঘটনা ইঙ্গিত দিল, ঘরোয়া বিবাদ আরও অনেক বাকি ।

শনিবার রাতে আসানসোলের রাহা লেনে তৃণমূলের জেলা দলীয় অফিসে প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক বন্টন করা হচ্ছিল । উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, নেতা অভিজিৎ ঘটক থেকে শুরু করে আরও অন্যান্যরা । আর সেখানেই অশান্তির সূত্রপাত হয় রানিগঞ্জের জেমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন নিয়ে । রানিগঞ্জ গ্রামীণের ব্লক সভাপতি দেবনারায়ণ দাস এবং তৃণমূল নেতা অর্জুন সিংয়ের মধ্যে বিবাদ বাঁধে । যতগুলি পঞ্চায়েতের প্রার্থী চাওয়া হয়েছিল ততগুলি আসন না পাওয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয় । আর যার ফলে বচসা শুরু হয়ে যায় দু'পক্ষের মধ্যে । দুই পক্ষের প্রথমে উত্তেজনাময় কথাবার্তা চালাচালি এবং পরে তা হাতাহাতিতে পৌঁছে যায় দলীয় নেতাদের সামনেই ।

শুধু তাই নয় সেই হাতাহাতি দলীয় অফিস ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসে । দু'পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় মাঝরাস্তায় । দলীয় অফিস থেকে কিছুটা দূরেই আসানসোল দক্ষিণ থানা । খবর পেয়ে দক্ষিণ থানা থেকে পুলিশবাহিনী এসে দু'পক্ষকে থামায় এবং দুই পক্ষকে সরিয়ে দেওয়া হয় । এমনকি দেখা যায় জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে দলীয় অফিস থেকে বেরিয়ে এসে দু'পক্ষকে সরিয়ে দিতে ।

একেবারে প্রকাশ্যে রাস্তায় নেমে এল পঞ্চায়েতের আসন নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব । কিন্তু এটা শুধুমাত্র রানিগঞ্জ ব্লকের জেমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন বন্টন নিয়ে অশান্তি । গোটা জেলায় এই অশান্তি আরও অনেক বাকি আছে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করছে খোদ দলেরই নেতা কর্মীরা । যদিও বিষয়টি মেনে নিয়েছেন তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ।

আরও পড়ুন: মনোনয়ন না তুললে বাড়ির মহিলাদের নিস্তার নেই, সিপিএম কর্মীদের হুমকি শাসক দলের

তিনি জানান, সবাই পঞ্চায়েতের আসনে প্রার্থী হতে চাইছে । কিন্তু সবাইকে তো আর প্রার্থী করা সম্ভব নয় । ফলে অবস্থান বিক্ষোভ চলছে । কেউ কেউ কান্নাকাটি করছেন । যদিও আমরা জানি এসব জিনিস মিটে যাবে । কারণ দলটার নাম তৃণমূল কংগ্রেস । আমাদেরই দল । আমরা সবাইকে বোঝাব । দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গেলেই প্রার্থীরা প্রতীক পেয়ে গেলেই ক্ষোভ বিক্ষোভ থেমে যাবে । সবাই একসঙ্গে লড়াইয়ের মাঠে নামবেন তখন ।" তবে রাজনৈতিক মহলের মতে জেলা সভাপতি যাই বলুক না কেন এ দিনের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের আসন বন্টন নিয়ে কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ জন্মেছে এবং সেই ক্ষোভ বেরিয়ে এলে তার দলীয় নেতাদের পক্ষে সামলানো কঠিন হবে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.