ETV Bharat / state

"দিদিকে বলো"-তে ফোনের পর হামলা হলে মুখ্যমন্ত্রী সামলাবে ? প্রশ্ন তৃণমূল কর্মীর

author img

By

Published : Aug 3, 2019, 10:09 AM IST

Updated : Aug 3, 2019, 11:26 AM IST

"দিদিকে বলো" কর্মসূচির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন খোদ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরাই ৷ তাঁরা বলছেন, ফোনে অভিযোগ জানানোর পর তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত নয় ৷ স্থানীয় নেতারা তাঁদের বাড়ির উপর হামলা চালাতে পারে ৷ গতকাল দুর্গাপুর জেলা তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে INTTUC-র পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি বিশ্বনাথ পাড়িয়াল ও তাঁর ঘনিষ্ঠ 4 নম্বর বোরো কমিটির চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর ব্যানার্জির বিরুদ্ধে চুরি, অর্থের বিনিময়ে কর্মী নিয়োগ একাধিক অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান দুই তৃণমূল কর্মী ৷ সেখানেই একথা বলেন তাঁরা ৷

ফাইল ফোটো

দুর্গাপুর, 3 অগাস্ট : এবার "দিদিকে বলো" কর্মসূচির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরাই ৷ তাঁদের কথায়, অভিযোগ জানানোর পর যদি ঘরে হামলা হয়, তাহলে কী করব ? আমাদের নিরাপত্তা কোথায় ? দিদি কি পরিস্থিতি সামাল দেবেন ?

গতকাল দুর্গাপুর জেলা তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে INTTUC-র পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি বিশ্বনাথ পাড়িয়াল ও তাঁর ঘনিষ্ঠ 4 নম্বর বোরো কমিটির চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর ব্যানার্জির বিরুদ্ধে চুরি, অর্থের বিনিময়ে কর্মী নিয়োগ একাধিক অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান টোটন দাস ও নুরুল হোতা নামে দু'জন তৃণমূল কর্মী ৷ সেখানেই উঠে আসে তৃণমূল নেতাদের একাধিক গাফিলতি ৷ তাঁদের অভিযোগ, এরা সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা ।

এই বিষয়ে লেবারহাটের টোটন দাস বলেন, "2007 সাল থেকে আমি TMC করছি । প্রথমে আমরা বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের সঙ্গেই ছিলাম । পরে তিনি কংগ্রেসে চলে যান ৷ আমাদের যাওয়ার কথা বলেছিলেন ৷ কিন্তু আমি TMC ছেড়ে যাইনি৷ তিনবছর আগে বিশ্বনাথ যখন ফের TMC-তে ফিরলেন, তখন আমার বাবাকে ইন্ডিয়ান ওয়েল বটলিং প্ল্যান্টের চাকরি থেকে বের করে দিলেন । 2007 সালে দিদি যখন বাঁকুড়া এসেছিলেন, আমি তাঁর সঙ্গে বাঁকুড়ায় মুড়ি খেয়েছিলাম । রাতের অন্ধকারে CPI(M)-র ভয়কে উপেক্ষা করে দেওয়াল লিখেছি । আর আজ আমার মা এই বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর ব্যানার্জির বাড়িতে ঝি-এর কাজ করে । আমার বাবা বাড়িতে বসে আছে । এরা সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা ।"

ভিডিয়োয় শুনুন তৃণমূল কর্মী টোটন দাসের বক্তব্য

পরে চন্দ্রশেখর ব্যানার্জি মেজাজ হারিয়ে টোটনকে গলাধাক্কা দেন । বলেন, "মত্ত অবস্থায় মিথ্যা বদনাম করছে ৷" এরপর টোটন ও নুরুল চিৎকার করে বলতে শুরু করেন রাজ্য সরকারের তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র DPL (দুর্গাপুর প্রোজেক্ট লিমিটেড) থেকে তামা, লোহা চুরি হচ্ছে । অর্থের বিনিময়ে কর্মী ঢোকানো হচ্ছে ।

টোটন প্রশ্ন তোলেন, "চন্দ্রশেখর ব্যানার্জি যদি বোরোর চেয়ারম্যান হন তাহলে ট্রেড ইউনিয়নে কী করছেন ? নিজের ওয়ার্ডে যাচ্ছেন না কেন ?" "দিদিকে বলো" তে ফোন করেছেন কি না জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "দিদিকে কী বলব ? আজ দিদিকে ফোন করে বলব ৷ কাল আমার বাড়িতে হামলা হবে ৷ তখন দিদি সামলাতে পারবে ? আজ ঘরে গিয়ে মা বোনকে যদি মেরে দেয় তখন দিদি সামলাতে পারবে ? দিদি তাহলে ফোন নম্বরের সঙ্গে নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করুক ৷"

অন্যদিকে চন্দ্রশেখরের দাবি, "মত্ত অবস্থায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছিল । আমি শ্রমিক সংগঠন করি না । এটা ঠিক যে আমি ওদের পরিবারের দিকে তাকিয়ে ওর মাকে আমাদের বাড়িতে রেখেছি । আমি ওর মাকে দিদি বলে সম্মান দিই । আর ওর ছেলে মদ্যপান করে বাজে অভিযোগ করছিল ।" বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি ।

দুর্গাপুর, 3 অগাস্ট : এবার "দিদিকে বলো" কর্মসূচির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরাই ৷ তাঁদের কথায়, অভিযোগ জানানোর পর যদি ঘরে হামলা হয়, তাহলে কী করব ? আমাদের নিরাপত্তা কোথায় ? দিদি কি পরিস্থিতি সামাল দেবেন ?

গতকাল দুর্গাপুর জেলা তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে INTTUC-র পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি বিশ্বনাথ পাড়িয়াল ও তাঁর ঘনিষ্ঠ 4 নম্বর বোরো কমিটির চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর ব্যানার্জির বিরুদ্ধে চুরি, অর্থের বিনিময়ে কর্মী নিয়োগ একাধিক অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান টোটন দাস ও নুরুল হোতা নামে দু'জন তৃণমূল কর্মী ৷ সেখানেই উঠে আসে তৃণমূল নেতাদের একাধিক গাফিলতি ৷ তাঁদের অভিযোগ, এরা সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা ।

এই বিষয়ে লেবারহাটের টোটন দাস বলেন, "2007 সাল থেকে আমি TMC করছি । প্রথমে আমরা বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের সঙ্গেই ছিলাম । পরে তিনি কংগ্রেসে চলে যান ৷ আমাদের যাওয়ার কথা বলেছিলেন ৷ কিন্তু আমি TMC ছেড়ে যাইনি৷ তিনবছর আগে বিশ্বনাথ যখন ফের TMC-তে ফিরলেন, তখন আমার বাবাকে ইন্ডিয়ান ওয়েল বটলিং প্ল্যান্টের চাকরি থেকে বের করে দিলেন । 2007 সালে দিদি যখন বাঁকুড়া এসেছিলেন, আমি তাঁর সঙ্গে বাঁকুড়ায় মুড়ি খেয়েছিলাম । রাতের অন্ধকারে CPI(M)-র ভয়কে উপেক্ষা করে দেওয়াল লিখেছি । আর আজ আমার মা এই বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর ব্যানার্জির বাড়িতে ঝি-এর কাজ করে । আমার বাবা বাড়িতে বসে আছে । এরা সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা ।"

ভিডিয়োয় শুনুন তৃণমূল কর্মী টোটন দাসের বক্তব্য

পরে চন্দ্রশেখর ব্যানার্জি মেজাজ হারিয়ে টোটনকে গলাধাক্কা দেন । বলেন, "মত্ত অবস্থায় মিথ্যা বদনাম করছে ৷" এরপর টোটন ও নুরুল চিৎকার করে বলতে শুরু করেন রাজ্য সরকারের তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র DPL (দুর্গাপুর প্রোজেক্ট লিমিটেড) থেকে তামা, লোহা চুরি হচ্ছে । অর্থের বিনিময়ে কর্মী ঢোকানো হচ্ছে ।

টোটন প্রশ্ন তোলেন, "চন্দ্রশেখর ব্যানার্জি যদি বোরোর চেয়ারম্যান হন তাহলে ট্রেড ইউনিয়নে কী করছেন ? নিজের ওয়ার্ডে যাচ্ছেন না কেন ?" "দিদিকে বলো" তে ফোন করেছেন কি না জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "দিদিকে কী বলব ? আজ দিদিকে ফোন করে বলব ৷ কাল আমার বাড়িতে হামলা হবে ৷ তখন দিদি সামলাতে পারবে ? আজ ঘরে গিয়ে মা বোনকে যদি মেরে দেয় তখন দিদি সামলাতে পারবে ? দিদি তাহলে ফোন নম্বরের সঙ্গে নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করুক ৷"

অন্যদিকে চন্দ্রশেখরের দাবি, "মত্ত অবস্থায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছিল । আমি শ্রমিক সংগঠন করি না । এটা ঠিক যে আমি ওদের পরিবারের দিকে তাকিয়ে ওর মাকে আমাদের বাড়িতে রেখেছি । আমি ওর মাকে দিদি বলে সম্মান দিই । আর ওর ছেলে মদ্যপান করে বাজে অভিযোগ করছিল ।" বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি ।

Intro:""দিদিকে বলো""- কিন্তু বলার পরে আমার বাড়িঘর ভাঙচুর হলে দিদি কি বাঁচাতে আসবেন।তাই আগে দিদি এটা আগে নিশ্চিত করুন যে তাকে বলার পরে অভিযোগ করবে যে তাকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে""- দুর্গাপুরে জেলা টিএমসি কার্য্যালয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে এমন অভিযোগ করল এক তৃনমূল কর্মী।আর এই জেলা অফিসে দিদিকে বলো কর্মসূচি নিয়ে সাংবাদিক সন্মেলনের পরেই এই দুজন টিএমসি কর্মী ক্ষোভে ফেটে পড়লেন কংগ্রেস বিধায়ক তথা বর্তমান আই এন টি টি ইউ সি পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি বিশ্বনাথ পাড়িয়াল এর বিরুদ্ধে।সেইসময় জেলা কার্য্যালয়ের বাইরে দিদিকে বলো কর্মসূচির সাংবাদিক সন্মেলন করে বেরিয়ে আসা বিশ্বনাথ পাড়িয়াল ঘনিষ্ট ৪ নম্বর বোরো কমিটির চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর ব্যানার্জ্জীর কাছে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা যায় নিজেদের কে দীর্ঘদিনের টিএমসি কর্মী পরিচয় দেওয়া দুই যুবক।টোটন দাস নামক এক টিএমসি কর্মী র অভিযোগ "" আমি ২০০৭ সাল থেকে টিএমসি করছি।আমরা বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের সাথেই ছিলাম।কিন্তু উনি যখন কংগ্রেসে গেলেন আমাদের কে যাওয়ার কথা বললেও আমি যায়নি টিএমসি ছেড়ে।তারপর তিনবছর আগে বিশ্বনাথ যখন ফের টিএমসি তে ফিরল তখন আমার বাবা কে ইন্ডিয়ান ওয়েলের বটলিং প্লাণ্ট এর চাকরি থেকে বের করে দিলেন।আমি দিদি র সাথে বাঁকুড়ায় মুড়ি খেয়েছি।রাতের অন্ধকারে সিপিআই(এম) এর ভয় কে উপেক্ষা করে দেওয়াল লিখেছি।আর আজ আমার মা এই বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর ব্যানার্জ্জীর বাড়িতে ঝি এর কাজ করে।আমার বাবা বাড়িতে বসে।এরা সবাই দুর্নীতি গ্রস্থ নেতা।""এই কথা বলার পরেই চন্দ্রশেখর ব্যানার্জ্জী মেজাজ হারিয়ে টোটন দাস নামক যুবকের গলাধাক্কা দেয়।এই টিএমসি কর্মী মদ্যপ অবস্থায় তাকে মিথ্যা বদনাম করছে বলে অভিযোগ করেন চন্দ্রশেখর ব্যানার্জ্জী।লেবারহাটের বাসিন্দা টোটন দাস এবং তার সাথে থাকা উত্তেজিত আরো এক টিএমসি কর্মী সাংবাদিকদের সামনে চিৎকার করে বলতে থাকে "" রাজ্যসরকারের তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র ডিপিএল থেকে তামা,লোহা চুরি হচ্ছে।কর্মী ঢোকানো হচ্ছে অর্থের বিনিময়ে। সব এরা মিলে করছে।এরা ইঙ্গিত করেন বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের সাথে চন্দ্রশেখর ব্যানার্জ্জীরা এই অপকর্ম তে জড়িত।এরপরে টোটন কে বলে হয় ""দিদিকে বলো " এই কর্মসুচি তে দিদিকে কেনও এসব জানাচ্ছেন না?টোটন দাস বলে"জানাবার পরে আমার ঘরে ভাংচুর হবে।আমার মা বোনদের নিরাপত্তা কে দেবে?দিদি সামলাবেন তো? সেই নিরাপত্তা আগে ঠিক করুন।""জেলা অফিসের সামনে টিএমসি র এই সক্রিয় কর্মীর সাথে চন্দ্রশেখর ব্যানার্জ্জী র হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়া র পরেই চন্দ্রশেখরের দাবী "" মদ্যপ অবস্থায় আমার নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করছিল।আমি শ্রমিক সংগঠন করিনা।এটা ঠিক যে আমি ওদের পরিবারের দিকে তাকিয়ে ওর মা কে আমাদের বাড়িতে রেখেছি।আমি তার মা কে দিদি বলে সম্মান দি।আর তার ছেলে মদ্যপ অবস্থায় এসে এই বাজে অভিযোগ করছিল।""এই দুই কর্মী টিএমসি ছেড়ে সিপিআই(এম) ও কংগ্রেস জোটে কংগ্রেস প্রার্থী হয়ে বিধায়ক হয়ে ফের টিএমসি র ঘনিষ্ট হওয়া বিশ্বনাথ পাড়িয়াল কে তাদের মত টিএমসি র পুরানো কর্মীর বাবার চাকরি যাওয়ার জন্য দায়ী করেন।বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের সাথে ফোনে যোগাযোগ এর চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।Body:হConclusion:হ
Last Updated : Aug 3, 2019, 11:26 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.