দুর্গাপুর, 5 মে: দীর্ঘ 38 দিন ধরে দুর্গাপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স হোস্টেলে কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকা ঝাড়খণ্ডের যুবক পালিয়ে যায় ৷ গতকাল রাতে পালিয়ে যায় সে । এরপর দুর্গাপুর থানার পুলিশ রাতভর তল্লাশি চালায় ৷ আজ সকালে অন্ডাল থানা এলাকায় একটি ট্রাকের ভিতর থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ ৷ এরপর তাকে ফের কোয়ারানটিন সেন্টারে নিয়ে আসা হয় । কিন্তু 38 দিন ধরে কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকা ওই যুবকের একাধিকবার শারীরিক পরীক্ষার পরও দেখা যায় সে সুস্থ । তারপরও কেন তাকে কোয়ারানটিন সেন্টারে রাখা হয়েছে ৷ জেলা প্রশাসনের দিকে উঠেছে অভিযোগ ৷
আজ থেকে 38 দিন আগে আসানসোলের কুলটি থানার পক্ষ থেকে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা যুবক কৃষ্ণাকে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ইঞ্জিনিয়ার্স হোস্টেলে কোয়ারানটিন সেন্টারে রাখা হয় । ঝাড়খণ্ডের ওই যুবকের একাধিকবার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে । দুর্গাপুরের হোস্টেল এভিনিউয়ের এই ইঞ্জিনিয়ার্স হোস্টেলে কৃষ্ণা নামের ওই যুবক গতকাল রাতে পাইপ বেয়ে নিচে নেমে পালিয়ে যায় । এরপর শুরু হয় পুলিশি তল্লাশি । রাতভর দুর্গাপুর থানার পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় ৷ আজ সকালে অন্ডাল থানা এলাকায় 2 নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর একটি ট্রাকে শুয়ে থাকতে দেখা যায় কৃষ্ণাকে । এরপর পুলিশ কৃষ্ণাকে ফের নিয়ে আসে ইঞ্জিনিয়ার্স হোস্টেলে ৷
জানা গেছে, 38 দিনে একাধিকবার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা গেছে কৃষ্ণা সুস্থ । কোরোনা সংক্রমণ তার শরীরে নেই । তাহলেও কেন এত দীর্ঘ সময় ধরে ওই যুবককে কোয়ারানটিন সেন্টারে রাখা হচ্ছে? মহকুমা বা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেন তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে না ? এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে । দীর্ঘদিন এই কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকতে থাকতে কৃষ্ণার মতো অনেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছে । বাড়ি যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়েই কৃষ্ণা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ৷
অনেকেরই মত, বিষয়টিকে দ্রুত গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত মহকুমা ও জেলা প্রশাসনের । এই মুহূর্তে দুর্গাপুরের হোস্টেল অ্যাভিনিউয়ে যে কোয়ারানটিন সেন্টারগুলি রয়েছে তাতে মোট 19 জন রয়েছেন । প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এরা সবাই সুস্থ ।