আসানসোল, ৫ জুলাই : করোনা রুখতে রাজ্যে চলছে কড়া বিধিনিষেধ । এই অবস্থায় বেড়ে চলেছে চোরের উপদ্রব । যাঁরা বাড়ি ছেড়ে কাজের সূত্রে বাইরে থাকেন, তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারছেন না । এই সুযোগ নিচ্ছে চোরেরা । ঘরের জিনিসপত্র সাফাই করে দিচ্ছে ।
ধরুন, আপনার বাড়িতে চোর এসেছে ৷ ঠিক তখনই যদি আপনি জানতে পারেন খুবই ভাল হয় না? চোর দরজা ভাঙছে আর গৃহকর্তার কাছে যদি তৎক্ষণাৎ ফোনে সেই খবর পৌঁছে যায় , মানে গৃহকর্তা বুঝলেন অচেনা কেউ এসেছে, তবে কেমন হয়? আজগুবি শোনাচ্ছে বটে, তবে এমনই এক ডিভাইস তৈরি করে চমকে দিয়েছেন এক প্রাক্তন রেলকর্মী ।
সালানপুরের রূপনারায়ণপুরের বাসিন্দা স্নেহাশিস দে । পূর্ব রেলের প্রাক্তন কর্মী । বর্তমানে অবসর নেওয়ার পর বাড়িতেই নানা আবিষ্কারের নেশায় মেতে থাকেন । আর সেই ভাবনা থেকেই তৈরি করেছেন খুব সস্তায় একটি ডিভাইস । যা দিয়ে নাকি চুরি রুখে দেওয়া যাবে এবং চোরও ধরা পড়ে যাবে ।
আরও পড়ুন...করোনা ও জ্বালানির মৃল্যবৃদ্ধির জাঁতাকলে পড়ে দুর্গাপুরের মিনিবাস পরিষেবা সংকটে
কি এই যন্ত্র? যন্ত্রটি কাঠের তৈরি । রয়েছে তিনটি সুইচ এবং তার সঙ্গে লাগানো রয়েছে একটি মোবাইল ফোন । এই যন্ত্রটি দরজায় আটকে দিতে হবে । যদি চোর দরজা ভাঙে, তাহলে যন্ত্রের সুইচ সিগন্যাল পাঠাবে যন্ত্রে আটকে থাকা ফোনে । আর সেই ফোন থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই শেষ ডায়াল করা নম্বর অনুযায়ী অর্থাৎ গৃহকর্তার কাছে ফোনে কল চলে যাবে ।
গৃহকর্তা বিপদ বুঝতে পেরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন । চুরি রুখতে এই ডিভাইস ব্যাপকভাবে কাজ করবে বলে দাবি স্নেহাশিসবাবুর ।
এর আগেও নানা জিনিস বানিয়েছেন তিনি । তবে এই চোর তাড়ানোর এই ডিভাইস যেন একেবারেই ব্যোমকেশের গল্পের বুবি ট্র্যাপ । যে কোনো দুষ্কৃতীকে ফাঁদে ফেলা যায় ।
আরও পড়ুন...টিকাকাণ্ডে তবাসুমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের, স্বাস্থ্য পরীক্ষা মহিলার
স্নেহাশিসবাবু বলেন, ‘‘মাত্র ১০০০ টাকার মধ্যেই এই ডিভাইস তৈরি করে দেওয়া যাবে ।’’ পেটেন্টের জন্য তিনি ইতিমধ্যেই আবেদন করেছেন এবং খুব দ্রুত এই যন্ত্রকে বাজারজাত করতে চান স্নেহাশিসবাবু । তাঁর আশা, জনপ্রিয় হবে এই চোর তাড়ানোর যন্ত্র ।