ETV Bharat / state

প্রাচীন ঐতিহ্য বাঁচিয়ে ঢেঁকির গুঁড়ো করা চালেই পিঠে পার্বন

আসানসোল পৌরনিগমের কামালপুরের বাউরি পরিবার আজও ঢেঁকিতে চাল গুঁড়ো করে সেই চাল দিয়ে পিঠে পুলি তৈরি করেন ৷ তাঁদের বক্তব্য, রেডিমেড চালের গুঁড়ো যা বাজারে পাওয়া যায় তা দিয়ে পিঠে বানালে সেই স্বাদ পাওয়া যায় না ৷

author img

By

Published : Jan 14, 2020, 7:49 PM IST

Updated : Jan 14, 2020, 8:00 PM IST

Still now Bauri Family of Kamalpur village uses old rice cutting machine
ঢেঁকিতে চাল গুঁড়ো করার কাজ চলছে

আসানসোল, 14 জানুয়ারি : পৌষ পার্বন মানেই পিঠে, পুলি ৷ আর সেই পিঠে, পুলি বানানোর জন্য শপিং মল থেকে শুরু করে মুদি দোকানগুলিতে দেদার বিকোচ্ছে চাল গুঁড়োর প্যাকেট ৷ কিন্তু একটা সময় ছিল যখন গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে ঢেঁকিতে চাল গুঁড়ো করে পিঠে, পুলি তৈরি করা হত ৷ সংক্রান্তির আগে বাড়ির মহিলারা ঢেঁকিতে চাল কুটো করতে ব্যস্ত থাকতেন ৷ তবে আজ সেই ব্যস্ততা অনেকাংশেই কম ৷ তবু আজও পশ্চিম বর্ধমানের কয়েকটি গ্রামে গ্রামবাসীরা পুরানো ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রেখেছে ৷ তেমনই ছবি ধরা পড়ল ETV ভারতের ক্যামেরায় ।

আসানসোল পৌরনিগমের 74 নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত কামালপুর গ্রাম ৷ প্রত্যন্ত এই গ্রামেই বাস বাউরি পরিবারের ৷ পৌষ পার্বন উপলক্ষে চরম ব্যস্ততা ৷ বাড়ির মহিলারা ঢেঁকিতে চাল গুঁড়ো করতে ব্যস্ত ৷ প্রয়োজনে হাত লাগাচ্ছেন পরিবারের পুরুষরাও ৷ নবান্নের পর নতুন ধান ঘরে এসেছে ৷ সেদ্ধ ধানের গন্ধে ম ম করছে বাড়ির আশপাশের এলাকা ৷

Still now Bauri Family of Kamalpur village uses old rice cutting machine
চলেছে চাল গুঁড়ো করার কাজ

পরিবারের এক সদস্য পুতুল বাউরি বলেন, "যখন থেকে বিয়ে হয়েছে পৌষ পার্বণে ঢেঁকিতে চাল গুঁড়ো করছি ৷ মেশিনের চালে ভালো পিঠে হয় না ৷ তাই বাড়িতে ঢেঁকি রেখেছি ৷ ঢেঁকিতেই চাল গুঁড়ো করি ৷ মেয়েদের শ্বশুরবাড়ি শহরে ৷ সেখানে ঢেঁকির গুঁড়ো চাল পাওয়া যায় না ৷ তাই সেখানে পাঠাবো ৷ "

প্রাচীন ঐতিহ্য বাঁচিয়ে ঢেঁকির গুঁড়ো করা চালেই পিঠে পার্বণ পালন বাউরি পরিবারের

বাউরি পরিবারের অপর এক সদস্য মনসা বাউরি বলেন, " আমাদের নিজেদের জমি নেই । অন্যের জমিতে চাষ করি । সেখান থেকে যে'টুকু ভাগের ধান পাওয়া যায় সেই ধান থেকে নিজেরাই চাল তৈরি করি ৷ সেই নতুন চাল দিয়ে পিঠে তৈরি হয় । বাজারের কেনা চালে সেই স্বাদ পাওয়া যায় না ।"

গ্রাম বাংলার প্রাচীন এই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে আজও বাঁচিয়ে রেখেছে কামালপুরের বাউরি পরিবার ৷

আসানসোল, 14 জানুয়ারি : পৌষ পার্বন মানেই পিঠে, পুলি ৷ আর সেই পিঠে, পুলি বানানোর জন্য শপিং মল থেকে শুরু করে মুদি দোকানগুলিতে দেদার বিকোচ্ছে চাল গুঁড়োর প্যাকেট ৷ কিন্তু একটা সময় ছিল যখন গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে ঢেঁকিতে চাল গুঁড়ো করে পিঠে, পুলি তৈরি করা হত ৷ সংক্রান্তির আগে বাড়ির মহিলারা ঢেঁকিতে চাল কুটো করতে ব্যস্ত থাকতেন ৷ তবে আজ সেই ব্যস্ততা অনেকাংশেই কম ৷ তবু আজও পশ্চিম বর্ধমানের কয়েকটি গ্রামে গ্রামবাসীরা পুরানো ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রেখেছে ৷ তেমনই ছবি ধরা পড়ল ETV ভারতের ক্যামেরায় ।

আসানসোল পৌরনিগমের 74 নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত কামালপুর গ্রাম ৷ প্রত্যন্ত এই গ্রামেই বাস বাউরি পরিবারের ৷ পৌষ পার্বন উপলক্ষে চরম ব্যস্ততা ৷ বাড়ির মহিলারা ঢেঁকিতে চাল গুঁড়ো করতে ব্যস্ত ৷ প্রয়োজনে হাত লাগাচ্ছেন পরিবারের পুরুষরাও ৷ নবান্নের পর নতুন ধান ঘরে এসেছে ৷ সেদ্ধ ধানের গন্ধে ম ম করছে বাড়ির আশপাশের এলাকা ৷

Still now Bauri Family of Kamalpur village uses old rice cutting machine
চলেছে চাল গুঁড়ো করার কাজ

পরিবারের এক সদস্য পুতুল বাউরি বলেন, "যখন থেকে বিয়ে হয়েছে পৌষ পার্বণে ঢেঁকিতে চাল গুঁড়ো করছি ৷ মেশিনের চালে ভালো পিঠে হয় না ৷ তাই বাড়িতে ঢেঁকি রেখেছি ৷ ঢেঁকিতেই চাল গুঁড়ো করি ৷ মেয়েদের শ্বশুরবাড়ি শহরে ৷ সেখানে ঢেঁকির গুঁড়ো চাল পাওয়া যায় না ৷ তাই সেখানে পাঠাবো ৷ "

প্রাচীন ঐতিহ্য বাঁচিয়ে ঢেঁকির গুঁড়ো করা চালেই পিঠে পার্বণ পালন বাউরি পরিবারের

বাউরি পরিবারের অপর এক সদস্য মনসা বাউরি বলেন, " আমাদের নিজেদের জমি নেই । অন্যের জমিতে চাষ করি । সেখান থেকে যে'টুকু ভাগের ধান পাওয়া যায় সেই ধান থেকে নিজেরাই চাল তৈরি করি ৷ সেই নতুন চাল দিয়ে পিঠে তৈরি হয় । বাজারের কেনা চালে সেই স্বাদ পাওয়া যায় না ।"

গ্রাম বাংলার প্রাচীন এই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে আজও বাঁচিয়ে রেখেছে কামালপুরের বাউরি পরিবার ৷

Intro:পৌষ পার্বণ মানেই পিঠে পুলির উৎসব। পিঠে পুলি করার জন্য এখন শপিং মলে চাল গুঁড়ার প্যাকেট দেদার বিকোচ্ছে। শখের এই মর্ডান পিঠেপুলি বেঁচে থাকলেও কিন্তু গ্রামবাংলায় হারিয়ে গেছে ঢেঁকি। একদা এক সময় গ্রামে গ্রামে ঢেঁকির চাল গুঁড়ো করে এই পিঠে পুলি উৎসব পালন করা হত। সেই চিত্র ম্রিয়মান হলেও এখনো পর্যন্ত বেশকিছু গ্রামে সেই ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রেখেছে কিছু পরিবার। তেমনই ছবি ধরা পড়ল ইটিভি ভারতের ক্যামেরায় ।



Body:আসানসোল পূরনিগমের 74 নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত কামালপুরে এখনো পিঠে পার্বণ হয় ঢেঁকিতে কুটো করা চালেই। নবান্নের পর নতুন ধান এসেছে বাড়িতে। সেই ধান সেদ্ধ করার গন্ধে গোটা এলাকা ম ম করছে। নবান্ন উৎসবের পরেই নতুন চাল গুঁড়োর পিঠে পুলি উৎসব। ঢেঁকিতে চাল গুঁড়ো করছে বাড়ির মহিলারা। কখনও পুরুষরাও হাত লাগাচ্ছে।
কামালপুরের বাসিন্দা ওই পরিবারের সদস্যা পুতুলা বাউরি জানান, বহু বছর ধরে এভাবেই চাল কুটো করে আমরা পিঠে তৈরি করি। আমরা বাজারের কেনা চাল গুঁড়ো ব্যবহার করি না। নিজেদের চাষ করা চাল ঢেঁকিতে গুঁড়ো করা হয় এবং সেই চালের গুঁড়ো পাঠানো হয় পিঠে করার জন্য আত্মীয়-পরিজনদের কাছে।
ওই পরিবারের সদস্য মনসা বাউরি জানান আমাদের নিজেদের জমি নেই। আমরা অন্যের জমিতে চাষ করি। সেখান থেকে যেটুকু ভাগের ধান পাওয়া যায় সেই ধান থেকে নিজেরাই চাল তৈরি করি এবং সেই নতুন চাল দিয়ে পিঠে তৈরি হয়। বাজারের কেনা চালে সেই স্বাদ পাওয়া যায় না।
অনেক কিছু হারানোর মাঝেও তবু কিছু বেঁচে থাকে। সেরকম ভাবেই প্রাচীন ঐতিহ্যে বাঁচিয়ে রেখেছে কামালপুরের এই পরিবারটি।


Conclusion:
Last Updated : Jan 14, 2020, 8:00 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.