ETV Bharat / state

দরিদ্র মানুষদের জন্য ‘দুয়ারে অক্সিজেন’-এর উদ্যোগ আসানসোলের চন্দ্রশেখরের - দরিদ্র মানুষদের জন্য "দুয়ারে অক্সিজেন"-র উদ্যোগ আসানসোলে

উচ্চবিত্ত বা মধ্যবিত্তরা এদিক ওদিক থেকে অক্সিজেন জোগাড় করলেও সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়ছেন প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষেরা ৷ তাদের কথা চিন্তা করে এবার ‘দুয়ারে অক্সিজেন’ প্রকল্প চালু করলেন আসানসোলের বিশিষ্ট সমাজসেবী ও শিক্ষক চন্দ্রশেখর কুণ্ডু ৷

দুয়ারে অক্সিজেন
দুয়ারে অক্সিজেন
author img

By

Published : May 7, 2021, 7:03 PM IST

আসানসোল, 7 মে : লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা । এই অবস্থায় হাসপাতালে বেড পাওয়া দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে । তার উপর অক্সিজেনের অভাব ৷ অক্সিজেন পেতে হাপিত্যেশ করছেন মানুষ । অক্সিজেনের অভাবে বহু মানুষ মারা যাচ্ছেন ৷ দেশজুড়ে চিত্রটা এখন এমনই ৷ এ রাজ্যের পরিস্থিতিও খুব একটা ভাল নয় ৷ উচ্চবিত্ত বা মধ্যবিত্তরা তাও এদিক ওদিক থেকে অক্সিজেন জোগাড় করে ফেললেও সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়ছেন প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষেরা ৷ তাঁদের কাছে না আছে ফোন, না আসে সঠিক যোগাযোগ । এবার তাদের কথা ভেবেই ‘দুয়ারে অক্সিজেন’ প্রকল্প চালু করলেন আসানসোলের কয়েকজন সমাজসেবী । তাঁরা বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামকে চিহ্নিত করে অক্সিজেন ক্লাস্টার বানাচ্ছেন । যাতে গ্রামের মানুষরা করোনায় আক্রান্ত হলে বা তাঁদের অক্সিজেনের দরকার পড়লে নিজেরাই নিজেদের সহযোগী হতে পারবেন ।

অক্সিজেন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে গ্রামবাসীদের
অক্সিজেন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে গ্রামবাসীদের
বিশিষ্ট সমাজসেবী ও শিক্ষক চন্দ্রশেখর কুণ্ডুর মস্তিষ্কপ্রসূত এই ভাবনা । সঙ্গে পেয়েছেন আরও দুই শিক্ষক অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় ও অমিতাভ চক্রবর্তীকে । এই তিনজন শিক্ষক মূলত বিভিন্ন গ্রামে অক্সিজেন ক্লাস্টার গড়ে তুলতে চেয়েছেন । শিক্ষকদের সঙ্গে এগিয়ে এসেছেন ইসিএলের সালানপুর এরিয়ার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক শম্পা চট্টোপাধ্যায় । চন্দ্রশেখর কুণ্ডু বলেন, "সরকারি হাসপাতালের বেড এখন উচ্চবিত্তরা-মধ্যবিত্তরা দখল করে নিচ্ছেন । দোষ দিয়েও লাভ নেই ৷ এই অবস্থায় আর কোনও উপায় নেই । কিন্তু প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষজনের কাছে না আছে ফোন না আছে যোগাযোগ । তাই তাঁরা অসুস্থ হলে কী করবেন ? এটা ভেবেই আমাদের এই উদ্যোগ । আমরা দু'টি করে গ্রাম নিয়ে ক্লাস্টার গড়ছি । একটি বড় সাইজের অক্সিজেন দিচ্ছি । যাতে সেখানে কোনও একটি জায়গাকে আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলা যায় । আমরা সেখানে অক্সিজেন চালানোর ট্রেনিং দিচ্ছি ৷ কোন পরিস্থিতিতে অক্সিজেন দিতে হবে, সেটাও শেখানো হচ্ছে ।"
দরিদ্র মানুষদের জন্য "দুয়ারে অক্সিজেন"-র উদ্যোগ আসানসোলে

আরও পড়ুন, করোনাকে কিস্তিমাত করতে এবার টেরাকোটার আদলে দাবা

তবে শুধু অক্সিজেনই নয় ৷ রোগীদের প্রাথমিক লক্ষণ এবং কী কী ওষুধ খাওয়াতে হবে তাও শিখিয়ে দিচ্ছেন চিকিৎসক শম্পা চট্টোপাধ্যায় । শম্পা চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এখন সব জ্বরকেই আমরা করোনা হিসেবে ধরে চিকিৎসা শুরু করেছি । গ্রামের মানুষদের শেখানো হচ্ছে । তাঁদের মেডিকেল কিট দেওয়া হচ্ছে ৷ ওষুধ দেওয়া হচ্ছে । ফোন দেওয়া হয়েছে । তাঁরা যাতে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসাটা নিজেরাই করে নিতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হয়েছে । এছাড়াও, ফোনে আমাদের সঙ্গে গ্রামের মানুষদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ থাকছে ।

আপাতত চারটি গ্রামে এই অক্সিজেন ক্লাস্টার বানানো হয়েছে । আগামী দিনে আরও গ্রামকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে চন্দ্রশেখর এবং তাঁর সহযোগীদের ।

আসানসোল, 7 মে : লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা । এই অবস্থায় হাসপাতালে বেড পাওয়া দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে । তার উপর অক্সিজেনের অভাব ৷ অক্সিজেন পেতে হাপিত্যেশ করছেন মানুষ । অক্সিজেনের অভাবে বহু মানুষ মারা যাচ্ছেন ৷ দেশজুড়ে চিত্রটা এখন এমনই ৷ এ রাজ্যের পরিস্থিতিও খুব একটা ভাল নয় ৷ উচ্চবিত্ত বা মধ্যবিত্তরা তাও এদিক ওদিক থেকে অক্সিজেন জোগাড় করে ফেললেও সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়ছেন প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষেরা ৷ তাঁদের কাছে না আছে ফোন, না আসে সঠিক যোগাযোগ । এবার তাদের কথা ভেবেই ‘দুয়ারে অক্সিজেন’ প্রকল্প চালু করলেন আসানসোলের কয়েকজন সমাজসেবী । তাঁরা বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামকে চিহ্নিত করে অক্সিজেন ক্লাস্টার বানাচ্ছেন । যাতে গ্রামের মানুষরা করোনায় আক্রান্ত হলে বা তাঁদের অক্সিজেনের দরকার পড়লে নিজেরাই নিজেদের সহযোগী হতে পারবেন ।

অক্সিজেন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে গ্রামবাসীদের
অক্সিজেন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে গ্রামবাসীদের
বিশিষ্ট সমাজসেবী ও শিক্ষক চন্দ্রশেখর কুণ্ডুর মস্তিষ্কপ্রসূত এই ভাবনা । সঙ্গে পেয়েছেন আরও দুই শিক্ষক অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় ও অমিতাভ চক্রবর্তীকে । এই তিনজন শিক্ষক মূলত বিভিন্ন গ্রামে অক্সিজেন ক্লাস্টার গড়ে তুলতে চেয়েছেন । শিক্ষকদের সঙ্গে এগিয়ে এসেছেন ইসিএলের সালানপুর এরিয়ার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক শম্পা চট্টোপাধ্যায় । চন্দ্রশেখর কুণ্ডু বলেন, "সরকারি হাসপাতালের বেড এখন উচ্চবিত্তরা-মধ্যবিত্তরা দখল করে নিচ্ছেন । দোষ দিয়েও লাভ নেই ৷ এই অবস্থায় আর কোনও উপায় নেই । কিন্তু প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষজনের কাছে না আছে ফোন না আছে যোগাযোগ । তাই তাঁরা অসুস্থ হলে কী করবেন ? এটা ভেবেই আমাদের এই উদ্যোগ । আমরা দু'টি করে গ্রাম নিয়ে ক্লাস্টার গড়ছি । একটি বড় সাইজের অক্সিজেন দিচ্ছি । যাতে সেখানে কোনও একটি জায়গাকে আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলা যায় । আমরা সেখানে অক্সিজেন চালানোর ট্রেনিং দিচ্ছি ৷ কোন পরিস্থিতিতে অক্সিজেন দিতে হবে, সেটাও শেখানো হচ্ছে ।"
দরিদ্র মানুষদের জন্য "দুয়ারে অক্সিজেন"-র উদ্যোগ আসানসোলে

আরও পড়ুন, করোনাকে কিস্তিমাত করতে এবার টেরাকোটার আদলে দাবা

তবে শুধু অক্সিজেনই নয় ৷ রোগীদের প্রাথমিক লক্ষণ এবং কী কী ওষুধ খাওয়াতে হবে তাও শিখিয়ে দিচ্ছেন চিকিৎসক শম্পা চট্টোপাধ্যায় । শম্পা চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এখন সব জ্বরকেই আমরা করোনা হিসেবে ধরে চিকিৎসা শুরু করেছি । গ্রামের মানুষদের শেখানো হচ্ছে । তাঁদের মেডিকেল কিট দেওয়া হচ্ছে ৷ ওষুধ দেওয়া হচ্ছে । ফোন দেওয়া হয়েছে । তাঁরা যাতে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসাটা নিজেরাই করে নিতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হয়েছে । এছাড়াও, ফোনে আমাদের সঙ্গে গ্রামের মানুষদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ থাকছে ।

আপাতত চারটি গ্রামে এই অক্সিজেন ক্লাস্টার বানানো হয়েছে । আগামী দিনে আরও গ্রামকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে চন্দ্রশেখর এবং তাঁর সহযোগীদের ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.