দুর্গাপুর, 9 ডিসেম্বর: শাসকদলের প্রথমসারির নেতারা দুর্নীতির দায়ে সংশোধনাগারে ৷ লাগাতার বিরোধীদের তোপের মুখে শাসকদলের নেতারা ৷ ঠিক সে সময় কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির এক কর্মাধ্যক্ষের সহজ, সরল জীবনযাপন প্রমাণ করে শাসকদলের সবার গায়ে দুর্নীতির আঁচ লাগেনি। আজও ভাগের জমিতে সবজি চাষ করে কোনওক্রমে চলে সংসার। আর পাঁচজন কৃষকের সঙ্গেই নিয়মিত মাঠে যান, হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সবজি চাষ করেন মধু রুইদাস। আর সেই সবজি বিক্রি করতে নিজেই কখনও কাঁকসা আবার কখনও লাউদোহার বাজারে পৌঁছে যান তিনি। সবজি বিক্রির সেই আয়ের টাকায় চলে সংসার (Simple Life Living of a Ruling Party Leader at Kanksa) ।
কাঁকসার বাসুদেবপুরে মাটির ঘরে থাকেন মধু রুইদাস । নিয়মিত যান কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতিতে । সন্ধ্যায় এলাকাবাসীর সমস্যা শুনতে পৌঁছে যান পাড়ায় পাড়ায়। ইনি হলেন কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মধু রুইদাস । এলাকার মানুষকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার পরই তিনি নেন সরকারি পরিষেবা । এলাকার দরিদ্র পরিবারগুলিকে আগে আবাস যোজনায় ঘর পাইয়ে দিয়েছেন । আর পাঁচজনের মতোই সাধারণ জীবন-যাপন করেন ।
আরও পড়ুন: কুমারগ্রাম থেকে বক্সাপাহাড়, প্রত্যন্ত এলাকায় পরিষেবা পৌঁছে দিতে ছুটে বেড়াচ্ছেন জেলাশাসক
বাম আমল থেকে তৃণমূলের যোগ্য সংগঠক ছিলেন মধু রুইদাস । সেই সময় সাইকেল চালিয়ে কাঁকসাবাসীর বিপদে-আপদে ঝাঁপিয়ে পড়তেন । তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর উপপ্রধান হন মধু রুইদাস । সেই সময়ও এলাকায় কৃষি ক্ষেত্রে প্রসার ঘটিয়েছিল । এলাকার দীন-দরিদ্র মানুষকে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিতেন । এখন তিনি কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ । জনপ্রতিনিধি হয়েও মাটির সম্পর্ককে ভুলে থাকতে চান না ।
জমি নেই অন্যের জমিতে করেন ভাগ চাষ । আর পাঁচজন কৃষকের সঙ্গে নিজেও চাষ করেন । এলাকাবাসীরা দাবি করেন, মধু রুইদাস নিয়মিত তাঁদের খেয়াল রাখে । কারও বিপদ হলে ছুটে যান । সকলে চান মধুবাবু পুনরায় জনপ্রতিনিধি হোক ।
আরও পড়ুন: ট্রেকিং করে পৌঁছে গেলেন দুর্গম এলাকায়, সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিলেন জেলাশাসক