আসানসোল, 5 জানুয়ারি: আসানসোল সিবিআই আদালতে (Asansol CBI Court) অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) সায়গল হোসেনেরও (Saigal Hossain) শুনানি হয় বৃহস্পতিবার । বর্তমানে সায়গল হোসেন দিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন । সেখান থেকেই ভার্চুয়াল শুনানি হয় সায়গল হোসেনের । বিচারক মোবাইলে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে সায়গল হোসেনের সঙ্গে কথা বলেন ।
সায়গল সেই সময় মৌখিক ভাবে বিচারকের কাছে আর্জি জানান, দিল্লিতে প্রচণ্ড ঠান্ডা ৷ সেই কারণে যদি তাঁকে সশরীরে আসানসোলে হাজির করিয়ে শুনানি করানো যায় তাহলে তার পক্ষে সুবিধা হয় । যদিও আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক এই বিষয়ে তাঁকে বলেন, "এভাবে হয় না । আপনাকে তার জন্য কোর্টে আবেদন করতে হবে । দুই পক্ষের সওয়াল জবাবের পরেই সে বিষয়ে স্বিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ।"
গত 21 অক্টোবর দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয় সায়গল হোসেনকে । গরু পাচার মামলায় তাঁর হিসাব বহির্ভূত প্রচুর সম্পত্তির হদিশ মেলায় তাঁকে আসানসোল সংশোধনাগারে জেরা করেছিল ইডি । কিন্তু সন্তুষ্ট না হওয়ায় তাঁকে শোন অ্যারেস্ট করা হয় । পরবর্তীকালে সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয় । প্রথমে ইডি হেফাজতে ছিলেন সায়গল হোসেন । পরে দিল্লির তিহাড় জেল হেফাজতে রাখা হয় তাঁকে ।
আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলায় সায়গল হোসেনের আরও 1.5 কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি
এরপর গরু পাচার মামলায় আসানসোল সিবিআই আদালতে শুনানির দিনগুলিতে তাঁকে ভার্চুয়ালি হাজির করা হয়েছে । বৃহস্পতিবার সেরকম ভাবেই ভার্চুয়াল শুনানির আয়োজন করা হয় । বিচারক তাঁর খবর জানতে চান । তখন সায়গল বলেন, "স্যার খুব ঠান্ডা দিল্লিতে । আসানসোলে সশরীরে প্রোডাকশন হলে সুবিধে হত ।" এ প্রসঙ্গে সিবিআই বিচারক তাঁকে বলেন, "এ ভাবে তো হয় না । এর জন্য আপনাকে কোর্টে আবেদন করতে হবে । দু'পক্ষের সওয়াল জবাবের শেষে সিদ্ধান্ত হবে ।"
অন্যদিকে, সায়গল হোসেনের জামিনের জন্যও এ দিন কোনও আবেদন করা হয়নি । বিচারক অনুব্রত মণ্ডলের মতোই সায়গল হোসেনকে জেল হেফাজতে পাঠান । পরবর্তী শুনানি আগামী 19 জানুয়ারি ।