দুর্গাপুর ,2 মে : কোরোনা তথ্য নিয়ে এবার কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করলেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেত্রী ঐশী ঘোষ । আজ দুর্গাপুরে ত্রাণ বিলি করতে এসে ঐশী বলেন, "কোরোনা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার তথ্য গোপন করছে । আর এর জেরে বেশি গুজব ছড়াচ্ছে সোশাল মিডিয়ায় ।"
আজ দুর্গাপুরের কোকওভেন থানা এলাকার গ্রাফাইট কারখানার সামনে বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন CITU- র তরফে কারখানা সংলগ্ন 200 টি দরিদ্র পরিবারের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় । এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে উপস্থিত ছিলেন বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেত্রী ঐশী ঘোষ । কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে ঐশী বলেন, " কোরোনা নিয়ে দুই সরকারকে তথ্য গোপন করতে দেখা যাচ্ছে । সেজন্যই সোশাল মিডিয়ায় আরও বেশি করে গুজব ছড়াচ্ছে। আর কোনটা ঠিক কোনটা গুজব তা মানুষ বুঝতে পারছেন না । কোরোনা সংক্রমণে মৃত্যুর ঘটনা লুকোনোর পেছনে কী যুক্তি আছে?" MR বাঙুরের প্রসঙ্গ তুলে ঐশী ঘোষের বক্তব্য, "সব বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে । । নাহলে সংক্রমণ ঠেকানো যাবে না ।"
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ঐশী আরও বলেন, কোরোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেও, শুধু লকডাউন করেই সংক্রমণ কতটা রুখে দেওয়া গেছে সে ব্যাপারে কোনও সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। আর শুধু লকডাউন করেই কোনও কোনও এলাকাকে গ্রিনজ়োন বলে ঘোষণা করে দেওয়া হচ্ছে । এটা ঠিক নয় । মানুষের পরীক্ষা করা দরকার । লকডাউনকে সার্থক করতে হলে ক্ষুধার্ত মানুষদের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে হবে । এমনই মনে করেন ঐশী । তিনি বলেন, "খাবার না পৌঁছালে, যাঁরা কর্মহীন হয়ে, খেতে না পেয়ে, ঘরে বসে আছেন তাঁরা বাইরে বেরিয়ে আসবেন। তাহলে লকডাউন আর সার্থকতা পাবে না । তাই আমরা চেষ্টা করছি সেইসব মানুষজনের কাছে পৌঁছাতে যারা ক্ষুধার্ত । SFI, CITU সবাই মিলে চেষ্টা চালাচ্ছে ।"
JNU বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্র নেত্রী বলেন, "আরও বেশি টেস্টিংয়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে । পাশাপাশি আমাদের মতো দেশে গরিবদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া সবচেয়ে বেশি জরুরি । কারণ লকডাউনের জেরে কোনও মানুষের না খেতে পেয়ে মৃত্যু হওয়াটা আরও বেশি দুঃখজনক ।"