দুর্গাপুর, 11 ডিসেম্বর: একদিকে যখন টেট নিয়ে সাজোসাজো রব, বেশকিছু জায়গায় যখন পুলিশের মানবিক মুখ ফুটে উঠল, ঠিক তখনই এক উলটো চিত্র দেখা গেল দুর্গাপুর বেনাচিতি বাজারে । গাড়ির বৈধ নথিপত্র চেকিং করার নামে দুর্গাপুর বেনাচিতি বাজার গোয়েল গলির সামনে দীর্ঘদিন ধরে চলছে 'তোলাবাজি' (Extortion Allegation against Police)৷ এমনটাই অভিযোগ আমজনতা থেকে এলাকার ব্যবসায়ীদের । মানুষের ক্ষোভে ঘৃতাহুতি পড়ল রবিবাসরীয় সকালে (Road Blocked at Durgapur)।
উত্তম রুইদাস নামে এক বাইক আরোহীর অভিযোগ, তিনি আজ সকালে যখন গোয়েল গলি দিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময় পুলিশের গাড়ির চালক এবং সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁর পথ আটকান । তাঁকে গাড়ির বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বললে উত্তম রুইদাস গাড়ির কাগজপত্র বের করতে যান ৷ তখনই তাঁর কাছে 500 টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ । তিনি তা দিতে রাজি না হলে তাঁকে উত্তম-মধ্যম প্রহার করার পাশাপাশি টেনে-হিঁচড়ে পুলিশের গাড়িতে তোলার চেষ্টা চালানো হয় বলেও অভিযোগ । আর এরপরই উত্তাল হয়ে ওঠে দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারের গোয়েল গলি এলাকা (West Burdwan News)।
আরও পড়ুন: ভ্যান চালকদের থেকে তোলাবাজি ! অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান
ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি ছুটে যেতে হয় দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সৌমেন্দ্র সিংহ ঠাকুরকে । পরিস্থিতি সামাল দিতে দেখা যায় দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ও এজোন ফাঁড়ির অফিসার ইন চার্জকে । ক্ষুব্ধ মানুষ বেনাচিতি বাজার এলাকায় পথ অবরোধও করেন । অভিযোগ, উত্তম রুইদাসের হেলমেট ও যাবতীয় নথি থাকার পরেও তাঁকে মারধর করেছে পুলিশ । পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন ওই ব্যক্তি । স্থানীয়রা ও দোকানদাররাও তাঁর সঙ্গে প্রতিবাদে সামিল হন । পথ অবরোধ করে শুরু হয় বিক্ষোভ । আধঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রাস্তা ।
এই ঘটনায় এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে উঠলে, ঘটনাস্থলে নামানো হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী । পুলিশের আশ্বাসে শেষ পর্যন্ত অবরোধ ওঠে । দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সৌমেন্দ্র সিংহ ঠাকুর স্পষ্ট জানান, পুলিশ যদি এই জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে তোলাবাজি চালাচ্ছিল, তাহলে তাঁর কাছে কেউ অভিযোগ করেননি কেন ? যদিও সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশের অভিযোগের আঙুল ফাঁড়ির পুলিশের গাড়ির এক চালক ভোলার বিরুদ্ধে । প্রসঙ্গত, এর আগেও বহুবার এই ভোলার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ উঠে এলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা পুলিশ নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে ।