আসানসোল, 28 ডিসেম্বর: বয়স তিন বছর পেরিয়ে মাত্র কয়েক মাস । এই বয়সেই আশ্চর্য স্মৃতি ঋদ্ধিতা মাজির ৷ মনে রাখতে পারে পৃথিবীর 44টি দেশ-সহ ফুল, ফল-পশু, পাখি, কে কোন যন্ত্র আবিষ্কার করেছে তাঁদের নাম ৷ এই স্মৃতিশক্তির পুরস্কারও মিলেছে ৷ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলল এই খুদে ৷
আসানসোলের মহিশীলার ভগতপাড়া এলাকার বাসিন্দা ঋদ্ধিতা মাজি । বাবা মিলন মাজি পেশায় ফোটোগ্রাফার । মা রত্না মাজি গৃহবধূ । একেবারে মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে উঠছে ঋদ্ধিতা । সাধারণ একটি প্রি নার্সারি স্কুলের ছাত্রী সে । তবে সাধারণ ঘরের মেয়ে হয়েও স্মৃতিশক্তিতে ভর করে অসাধারণ তকমা পেয়েছে এই খুদে । একবার শুনেই নাকি অনেক কিছু মনে রাখতে পারে ঋদ্ধিতা । তার সেই প্রতিভা শোরগোল ফেলে দিয়েছে জেলায় ৷
পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, জ্ঞান হওয়ার পর থেকে মায়ের কাছে শুনে শুনেই শিক্ষা অর্জন ঋদ্ধিতার । মা যা বলেন সবই মনে রেখে দেয় সে ৷ এখন আধো আধো কথা বলে খুদে । কিন্তু সেই আধো আধো গলায় 44টি দেশের জাতীয় পতাকা দেখে ঋদ্ধিতা বলে দেয় কোনটা কোন দেশের পতাকা । শুধু তাই নয়, তাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় টেলিভিশন কে আবিষ্কার করেছে, সে সঙ্গে সঙ্গে আবিষ্কারকের নাম বলে দেয় । টেলিফোন থেকে শুরু করে এরোপ্লেনের আবিষ্কারকদের নাম গড়গড় করে বলে দেয় সে । ছবি দেখেই চিনে যেতে পারে কোন পাখি, কোন পশু বা কোন ফুল ৷
মেয়ের এই প্রতিভা নিয়ে মা রত্না মাজি বলেন, "ছোট থেকেই ও যে কোনও জিনিস শুনলেই মনে রাখতে পারত । আমরা ছোট থেকেই দেখছি ওর স্মৃতিশক্তি প্রবল । কোনও গৃহশিক্ষক নেই ঋদ্ধিতার । আমার কাছে যেটুকু শুনে শুনে পড়ে ।" মেয়েরই স্মৃতিশক্তি দেখে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে আবেদন করেছিলেন বাবা মিলন মাজি । মিলেছে স্বীকৃতির পুরস্কার । মেডেল ও সার্টিফিকেট বাড়িতে এসে পৌঁছেছে কুরিয়ারের মাধ্যমে । তাতে খুশি ঋদ্ধিতা নিজেও । তবে সে জানে না এখনও পর্যন্ত এই রেকর্ড আসলে কী । বাবা মিলন মাজি জানিয়েছেন, আগামিদিনে মেয়ের এই স্মৃতিশক্তি নিয়ে তিনি গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে আবেদন করতে চান । মেয়েকে নিয়ে বাবার অনেক স্বপ্ন । যদিও মা রত্না দেবী জানিয়েছেন, "আমরা কোনওভাবেই তাকে চাপ দিতে রাজি নই । ও নিজের ইচ্ছে মতো মনের আনন্দে যেটুকু পড়াশোনা করবে সেটাই করুক ।"
আরও পড়ুন: