ETV Bharat / state

তিনবছরেই আশ্চর্য স্মৃতি, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম ঋদ্ধিতার - ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস

India Book of Records: ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম আসানসোলের মহিশীলার বাসিন্দা ঋদ্ধিতা মাজির ৷ ইতিমধ্যেই তার স্মৃতিশক্তি দিয়ে বেশ শোরগোল ফেলেছে সে । একবার শুনেই নাকি অনেক কিছু মনে রাখতে পারে তিন বছরের এই খুদে ।

India Book of Records
ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 28, 2023, 10:41 PM IST

ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম ঋদ্ধিতার

আসানসোল, 28 ডিসেম্বর: বয়স তিন বছর পেরিয়ে মাত্র কয়েক মাস । এই বয়সেই আশ্চর্য স্মৃতি ঋদ্ধিতা মাজির ৷ মনে রাখতে পারে পৃথিবীর 44টি দেশ-সহ ফুল, ফল-পশু, পাখি, কে কোন যন্ত্র আবিষ্কার করেছে তাঁদের নাম ৷ এই স্মৃতিশক্তির পুরস্কারও মিলেছে ৷ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলল এই খুদে ৷

আসানসোলের মহিশীলার ভগতপাড়া এলাকার বাসিন্দা ঋদ্ধিতা মাজি । বাবা মিলন মাজি পেশায় ফোটোগ্রাফার । মা রত্না মাজি গৃহবধূ । একেবারে মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে উঠছে ঋদ্ধিতা । সাধারণ একটি প্রি নার্সারি স্কুলের ছাত্রী সে । তবে সাধারণ ঘরের মেয়ে হয়েও স্মৃতিশক্তিতে ভর করে অসাধারণ তকমা পেয়েছে এই খুদে । একবার শুনেই নাকি অনেক কিছু মনে রাখতে পারে ঋদ্ধিতা । তার সেই প্রতিভা শোরগোল ফেলে দিয়েছে জেলায় ৷

পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, জ্ঞান হওয়ার পর থেকে মায়ের কাছে শুনে শুনেই শিক্ষা অর্জন ঋদ্ধিতার । মা যা বলেন সবই মনে রেখে দেয় সে ৷ এখন আধো আধো কথা বলে খুদে । কিন্তু সেই আধো আধো গলায় 44টি দেশের জাতীয় পতাকা দেখে ঋদ্ধিতা বলে দেয় কোনটা কোন দেশের পতাকা । শুধু তাই নয়, তাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় টেলিভিশন কে আবিষ্কার করেছে, সে সঙ্গে সঙ্গে আবিষ্কারকের নাম বলে দেয় । টেলিফোন থেকে শুরু করে এরোপ্লেনের আবিষ্কারকদের নাম গড়গড় করে বলে দেয় সে । ছবি দেখেই চিনে যেতে পারে কোন পাখি, কোন পশু বা কোন ফুল ৷

India Book of Records
বাবা-মায়ের সঙ্গে ঋদ্ধিতা

মেয়ের এই প্রতিভা নিয়ে মা রত্না মাজি বলেন, "ছোট থেকেই ও যে কোনও জিনিস শুনলেই মনে রাখতে পারত । আমরা ছোট থেকেই দেখছি ওর স্মৃতিশক্তি প্রবল । কোনও গৃহশিক্ষক নেই ঋদ্ধিতার । আমার কাছে যেটুকু শুনে শুনে পড়ে ।" মেয়েরই স্মৃতিশক্তি দেখে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে আবেদন করেছিলেন বাবা মিলন মাজি । মিলেছে স্বীকৃতির পুরস্কার । মেডেল ও সার্টিফিকেট বাড়িতে এসে পৌঁছেছে কুরিয়ারের মাধ্যমে । তাতে খুশি ঋদ্ধিতা নিজেও । তবে সে জানে না এখনও পর্যন্ত এই রেকর্ড আসলে কী । বাবা মিলন মাজি জানিয়েছেন, আগামিদিনে মেয়ের এই স্মৃতিশক্তি নিয়ে তিনি গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে আবেদন করতে চান । মেয়েকে নিয়ে বাবার অনেক স্বপ্ন । যদিও মা রত্না দেবী জানিয়েছেন, "আমরা কোনওভাবেই তাকে চাপ দিতে রাজি নই । ও নিজের ইচ্ছে মতো মনের আনন্দে যেটুকু পড়াশোনা করবে সেটাই করুক ।"

India Book of Records
ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম ঋদ্ধিতা মাজির

আরও পড়ুন:

  1. দু'বছর বয়সেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড গড়ল হরিপালের অরণ্য
  2. সবচেয়ে ছোট ছবি আঁকার স্ট্যান্ড, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে কাকদ্বীপের কোয়েল
  3. ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম আরামবাগের সঞ্জনা নন্দীর

ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম ঋদ্ধিতার

আসানসোল, 28 ডিসেম্বর: বয়স তিন বছর পেরিয়ে মাত্র কয়েক মাস । এই বয়সেই আশ্চর্য স্মৃতি ঋদ্ধিতা মাজির ৷ মনে রাখতে পারে পৃথিবীর 44টি দেশ-সহ ফুল, ফল-পশু, পাখি, কে কোন যন্ত্র আবিষ্কার করেছে তাঁদের নাম ৷ এই স্মৃতিশক্তির পুরস্কারও মিলেছে ৷ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলল এই খুদে ৷

আসানসোলের মহিশীলার ভগতপাড়া এলাকার বাসিন্দা ঋদ্ধিতা মাজি । বাবা মিলন মাজি পেশায় ফোটোগ্রাফার । মা রত্না মাজি গৃহবধূ । একেবারে মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে উঠছে ঋদ্ধিতা । সাধারণ একটি প্রি নার্সারি স্কুলের ছাত্রী সে । তবে সাধারণ ঘরের মেয়ে হয়েও স্মৃতিশক্তিতে ভর করে অসাধারণ তকমা পেয়েছে এই খুদে । একবার শুনেই নাকি অনেক কিছু মনে রাখতে পারে ঋদ্ধিতা । তার সেই প্রতিভা শোরগোল ফেলে দিয়েছে জেলায় ৷

পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, জ্ঞান হওয়ার পর থেকে মায়ের কাছে শুনে শুনেই শিক্ষা অর্জন ঋদ্ধিতার । মা যা বলেন সবই মনে রেখে দেয় সে ৷ এখন আধো আধো কথা বলে খুদে । কিন্তু সেই আধো আধো গলায় 44টি দেশের জাতীয় পতাকা দেখে ঋদ্ধিতা বলে দেয় কোনটা কোন দেশের পতাকা । শুধু তাই নয়, তাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় টেলিভিশন কে আবিষ্কার করেছে, সে সঙ্গে সঙ্গে আবিষ্কারকের নাম বলে দেয় । টেলিফোন থেকে শুরু করে এরোপ্লেনের আবিষ্কারকদের নাম গড়গড় করে বলে দেয় সে । ছবি দেখেই চিনে যেতে পারে কোন পাখি, কোন পশু বা কোন ফুল ৷

India Book of Records
বাবা-মায়ের সঙ্গে ঋদ্ধিতা

মেয়ের এই প্রতিভা নিয়ে মা রত্না মাজি বলেন, "ছোট থেকেই ও যে কোনও জিনিস শুনলেই মনে রাখতে পারত । আমরা ছোট থেকেই দেখছি ওর স্মৃতিশক্তি প্রবল । কোনও গৃহশিক্ষক নেই ঋদ্ধিতার । আমার কাছে যেটুকু শুনে শুনে পড়ে ।" মেয়েরই স্মৃতিশক্তি দেখে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে আবেদন করেছিলেন বাবা মিলন মাজি । মিলেছে স্বীকৃতির পুরস্কার । মেডেল ও সার্টিফিকেট বাড়িতে এসে পৌঁছেছে কুরিয়ারের মাধ্যমে । তাতে খুশি ঋদ্ধিতা নিজেও । তবে সে জানে না এখনও পর্যন্ত এই রেকর্ড আসলে কী । বাবা মিলন মাজি জানিয়েছেন, আগামিদিনে মেয়ের এই স্মৃতিশক্তি নিয়ে তিনি গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে আবেদন করতে চান । মেয়েকে নিয়ে বাবার অনেক স্বপ্ন । যদিও মা রত্না দেবী জানিয়েছেন, "আমরা কোনওভাবেই তাকে চাপ দিতে রাজি নই । ও নিজের ইচ্ছে মতো মনের আনন্দে যেটুকু পড়াশোনা করবে সেটাই করুক ।"

India Book of Records
ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম ঋদ্ধিতা মাজির

আরও পড়ুন:

  1. দু'বছর বয়সেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড গড়ল হরিপালের অরণ্য
  2. সবচেয়ে ছোট ছবি আঁকার স্ট্যান্ড, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে কাকদ্বীপের কোয়েল
  3. ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম আরামবাগের সঞ্জনা নন্দীর
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.