ETV Bharat / state

Bankola Colliery Protest: খনিগর্ভে দুর্ঘটনায় মৃত্যু, দেহ আটকে বিক্ষোভ শ্রমিকদের

author img

By

Published : Jan 31, 2023, 7:58 PM IST

বাঁকোলার খনিগর্ভে দুর্ঘটনায় মৃত্যু এক শ্রমিকের ৷ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ (Bankola Colliery Protest) ৷

Bankola Colliery
দুর্ঘটনায় মৃত্যু শ্রমিকের
বাঁকোলার খনিগর্ভে দেহ আটকে বিক্ষোভ শ্রমিকদের

দুর্গাপুর, 31 জানুয়ারি: খনিগর্ভে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক শ্রমিকের ৷ ঘটনাটি ঘটেছে পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার বাঁকোলা কয়লাখনিতে ৷ মৃত শ্রমিকের নাম সুরেশ গোপ(54) ৷ এই দুর্ঘটনায় মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে খনিতে। দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা ৷ প্রায় 5 ঘণ্টা অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখনও দেহ খনিগর্ভ থেকে তোলা যায়নি বিক্ষোভের জেরে (Protest in Bankola Colliery following worker death) ৷

শ্রমিকদের অভিযোগ, নিয়মবিরুদ্ধভাবে সুরেশ একাই গিয়েছিলেন খনির নিচে এসডিএল নামের যন্ত্রাংশ অপারেট করতে । আর সেই সময় এসডিএল যন্ত্রের ধাতব তৈরির বিরাট বাকেট চাপা পড়ে সুরেশের মৃত্যু হয়। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার পর কয়লা খনিতে কোন চিকিৎসক না-থাকার কারণে সুরেশের চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি বলেও অভিযোগ শ্রমিকদের। এরপরেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন বাঁকোলা কয়লাখনির শ্রমিকরা ।

যে কাজ একার দ্বারা সম্ভব নয়, তেমন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে কীভাবে এবং কার কথায় খনি কর্তৃপক্ষ সুরেশকে পাঠাল ৷ এমনটাই ঘটনার পরে শ্রমিকরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন ৷ বাঁকোলা কোলিয়ারির 8 নম্বর পিটের মেকানিক্যাল ফিটার সুরেশ গোপের মৃত্যুর পর ঘটনাস্থলে যান পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী । তিনি এই কয়লাখনির অবসরপ্রাপ্ত এক শ্রমিকও বটেন । ক্ষুব্দ শ্রমিকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন । এর পরে তিনি ইস্টার্ন কোয়ালফিল্ড লিমিটেডের বাঁকোলা কয়লা খনি কর্তৃপক্ষকে নিয়ে খনি গর্ভের নিচে নামেন এবং দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে আসেন ।

এরপরে নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সাংবাদিকদের সামনে ইসিএল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ ব্যক্ত করেন । কয়লাখনি শ্রমিক সংগঠনের নেতা আনারুল ইসলাম বলেন, "খনিগর্ভে দুর্ঘটনা মানেই কর্তৃপক্ষের গাফিলতি । যদি ডিজিএমএসের সমস্ত নিয়ম মেনে কয়লাখনিগুলিতে উৎপাদনের কাজ হয়, তাহলে দুর্ঘটনা ঘটবে না । কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ এই নিয়মগুলি নিজেরাই মানেন না বলে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে ।"

এই মৃত্যুর ঘটনার পরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন কয়লা খনির শ্রমিকরা । এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি যে বা যারা সুরেশ গোপকে ঝুঁকি বহুল এই কাজ করতে একা পাঠিয়েছিলেন, দ্রুত চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জিও জানিয়েছেন শ্রমিকরা । এই ঘটনার জেরে বাঁকোলা কয়লাখনির 8 নম্বর পিটের কয়লা উৎপাদনের কাজ প্রায় অনেকক্ষণ ব্যাহত হয়ে যায় । ঘটনাস্থলে আসে উখরা ফাঁড়ির পুলিশ ।

বাঁকোলা কয়লা খনির প্রজেক্ট ম্যানেজার হীরক সরকারের কাছে সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে এই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় ৷ কিন্তু এ বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি । তবে খনিগর্ভে বাড়তে থাকা দুর্ঘটনার কারণে খনির শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ৷ কয়লা খনির শ্রমিকরা কার্যত এখন জীবনকে বাজি রেখে কয়লা উৎপাদন কাজ করছেন ৷ এমনই দাবি করেছেন বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী । মৃত খনি শ্রমিকের পরিবারের পোষ্যের চাকরি এবং বিভিন্ন কয়লা খনির শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য-সহ ইসিএল কর্তৃপক্ষের সবরকম নিয়ম মানার কথা বলা হয়েছে ।

আরও পড়ুন: ফের দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় শ্রমিক মৃত্যু, দুর্ঘটনায় ছিন্নভিন্ন দেহ

বাঁকোলার খনিগর্ভে দেহ আটকে বিক্ষোভ শ্রমিকদের

দুর্গাপুর, 31 জানুয়ারি: খনিগর্ভে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক শ্রমিকের ৷ ঘটনাটি ঘটেছে পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার বাঁকোলা কয়লাখনিতে ৷ মৃত শ্রমিকের নাম সুরেশ গোপ(54) ৷ এই দুর্ঘটনায় মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে খনিতে। দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা ৷ প্রায় 5 ঘণ্টা অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখনও দেহ খনিগর্ভ থেকে তোলা যায়নি বিক্ষোভের জেরে (Protest in Bankola Colliery following worker death) ৷

শ্রমিকদের অভিযোগ, নিয়মবিরুদ্ধভাবে সুরেশ একাই গিয়েছিলেন খনির নিচে এসডিএল নামের যন্ত্রাংশ অপারেট করতে । আর সেই সময় এসডিএল যন্ত্রের ধাতব তৈরির বিরাট বাকেট চাপা পড়ে সুরেশের মৃত্যু হয়। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার পর কয়লা খনিতে কোন চিকিৎসক না-থাকার কারণে সুরেশের চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি বলেও অভিযোগ শ্রমিকদের। এরপরেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন বাঁকোলা কয়লাখনির শ্রমিকরা ।

যে কাজ একার দ্বারা সম্ভব নয়, তেমন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে কীভাবে এবং কার কথায় খনি কর্তৃপক্ষ সুরেশকে পাঠাল ৷ এমনটাই ঘটনার পরে শ্রমিকরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন ৷ বাঁকোলা কোলিয়ারির 8 নম্বর পিটের মেকানিক্যাল ফিটার সুরেশ গোপের মৃত্যুর পর ঘটনাস্থলে যান পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী । তিনি এই কয়লাখনির অবসরপ্রাপ্ত এক শ্রমিকও বটেন । ক্ষুব্দ শ্রমিকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন । এর পরে তিনি ইস্টার্ন কোয়ালফিল্ড লিমিটেডের বাঁকোলা কয়লা খনি কর্তৃপক্ষকে নিয়ে খনি গর্ভের নিচে নামেন এবং দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে আসেন ।

এরপরে নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সাংবাদিকদের সামনে ইসিএল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ ব্যক্ত করেন । কয়লাখনি শ্রমিক সংগঠনের নেতা আনারুল ইসলাম বলেন, "খনিগর্ভে দুর্ঘটনা মানেই কর্তৃপক্ষের গাফিলতি । যদি ডিজিএমএসের সমস্ত নিয়ম মেনে কয়লাখনিগুলিতে উৎপাদনের কাজ হয়, তাহলে দুর্ঘটনা ঘটবে না । কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ এই নিয়মগুলি নিজেরাই মানেন না বলে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে ।"

এই মৃত্যুর ঘটনার পরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন কয়লা খনির শ্রমিকরা । এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি যে বা যারা সুরেশ গোপকে ঝুঁকি বহুল এই কাজ করতে একা পাঠিয়েছিলেন, দ্রুত চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জিও জানিয়েছেন শ্রমিকরা । এই ঘটনার জেরে বাঁকোলা কয়লাখনির 8 নম্বর পিটের কয়লা উৎপাদনের কাজ প্রায় অনেকক্ষণ ব্যাহত হয়ে যায় । ঘটনাস্থলে আসে উখরা ফাঁড়ির পুলিশ ।

বাঁকোলা কয়লা খনির প্রজেক্ট ম্যানেজার হীরক সরকারের কাছে সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে এই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় ৷ কিন্তু এ বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি । তবে খনিগর্ভে বাড়তে থাকা দুর্ঘটনার কারণে খনির শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ৷ কয়লা খনির শ্রমিকরা কার্যত এখন জীবনকে বাজি রেখে কয়লা উৎপাদন কাজ করছেন ৷ এমনই দাবি করেছেন বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী । মৃত খনি শ্রমিকের পরিবারের পোষ্যের চাকরি এবং বিভিন্ন কয়লা খনির শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য-সহ ইসিএল কর্তৃপক্ষের সবরকম নিয়ম মানার কথা বলা হয়েছে ।

আরও পড়ুন: ফের দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় শ্রমিক মৃত্যু, দুর্ঘটনায় ছিন্নভিন্ন দেহ

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.