ETV Bharat / state

দুর্গাপুরে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা চরমে - দুর্গাপুরে জাত জানতে চেয়ে গণপিটুনি

ক্ষুব্ধ জনতা বারবার জিজ্ঞাসা করছিল, জাত কী? । উত্তরে হিন্দু শুনে ক্ষুব্ধ জনতা একটু শান্ত হয়েছিলেন । কিন্তু ততক্ষণে প্রায় সব শেষ । হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো যায়নি তাঁকে । গণপিটুনির এই ঘটনায় কার্যত নাম না নিয়ে BJP-কেই দুষতে দেখা গেল বাম ও তৃণমূলকে ।

ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Sep 28, 2019, 12:03 PM IST

দুর্গাপুর, 28 সেপ্টেম্বর : ছেলেধরা সন্দেহে ক্ষুব্ধ জনতা বেধড়ক মারধর করেছিল অণ্ডালের কাজোড়া এলাকার হরিশপুরের বাসিন্দা বিনদানন্দ গোপকে । ক্ষুব্ধ জনতা তাঁকে বারবার জিজ্ঞাসা করছিল, "তোর জাত কী ?" আধমরা অবস্থায় উত্তরে বলেছিলেন, হিন্দু । উত্তরটা শুনে ক্ষুব্ধ জনতা একটু শান্ত হয়েছিলেন । বন্ধ হয়েছিল তাঁর উপর প্রহার । কিন্তু ততক্ষণে প্রায় সব শেষ । হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো যায়নি তাঁকে । গণপিটুনির এই ঘটনায় কার্যত নাম না নিয়ে BJP-কেই দুষতে দেখা গেল CPI(M)ও তৃণমূলকে ।

বৃহস্পতিবার (26 সেপ্টেম্বর) রাতে একটি ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে । তারপরেই বিনদানন্দের গণপিটুনির বিষয়টি গোচরে আসে । গতকাল এই ঘটনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে একে অপরকে দুষতে দেখা যায় । তৃণমূল ও CPI(M)-এর তরফে কার্যত নাম না করে এই ঘটনার জন্য BJP কে দায়ি করা হয় । তৃণমূল নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, "এই ঘটনা মর্মান্তিক । সারা বিশ্বে বিশেষ করে বাংলায় জাতপাতের যে লড়াই নতুন করে তৈরি হয়েছে তার রহস্য বের করার জন্য সাংবাদিকের কাছে আমার অনুরোধ । যদি এই ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক দলের মদত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জন্য মানুষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি । "

পশ্চিম বর্ধমানের CPI(M) সদস্য পঙ্কজ রায় বলেন, "দেশ, সভ্যতা, সমাজ কোথায় যাচ্ছে আমি জানি না । আজ থেকে 10 বছর আগে পশ্চিমবঙ্গে এ ধরনের ঘটনার কথা ভাবতে যেত না । যারা এই ছেলেধরা গুজব রটিয়েছে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । আমি বলছি, এর পিছনে মাস্টারমাইন্ড আছে ।"

পশ্চিম বর্ধমান জেলার BJP-র গুণীজন সেলের অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমরা কোনওভাবে এই ঘটনার সমর্থন করি না । যদি এরকম ভবঘুরেকে কেউ দেখতে পায় তাহলে তাকে প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া উচিত । যদিও পশ্চিবঙ্গের প্রশাসনের অবস্থা খুবই খারাপ । তারা নিজেরাই দোষ ঢাকার জন্য দৌঁড়ে বেরাচ্ছে । তাও আমি বলব এরকমভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয় । "

প্রসঙ্গত, 30 অগাস্ট বিধানসভায় পাশ হয় দা ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রিভেনশন অফ লিঞ্চিং বিল 2019 বা গণপ্রহার রোধ বিল । এই বিল অনুযায়ী, গণপ্রহারে কারও মৃত্যু হলে দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা হবে । গণপ্রহারে কেউ জখম হলে দোষীর সর্বোচ্চ তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে । কিন্তু বিল পাশ হওয়ার পরেও এ বিষয়ে যে জনমানসে এখনও সেভাবে সচেতনতা গড়ে ওঠেনি তা দুর্গাপুরের ঘটনায় ফের একবার প্রমাণিত হল ।

দুর্গাপুর, 28 সেপ্টেম্বর : ছেলেধরা সন্দেহে ক্ষুব্ধ জনতা বেধড়ক মারধর করেছিল অণ্ডালের কাজোড়া এলাকার হরিশপুরের বাসিন্দা বিনদানন্দ গোপকে । ক্ষুব্ধ জনতা তাঁকে বারবার জিজ্ঞাসা করছিল, "তোর জাত কী ?" আধমরা অবস্থায় উত্তরে বলেছিলেন, হিন্দু । উত্তরটা শুনে ক্ষুব্ধ জনতা একটু শান্ত হয়েছিলেন । বন্ধ হয়েছিল তাঁর উপর প্রহার । কিন্তু ততক্ষণে প্রায় সব শেষ । হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো যায়নি তাঁকে । গণপিটুনির এই ঘটনায় কার্যত নাম না নিয়ে BJP-কেই দুষতে দেখা গেল CPI(M)ও তৃণমূলকে ।

বৃহস্পতিবার (26 সেপ্টেম্বর) রাতে একটি ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে । তারপরেই বিনদানন্দের গণপিটুনির বিষয়টি গোচরে আসে । গতকাল এই ঘটনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে একে অপরকে দুষতে দেখা যায় । তৃণমূল ও CPI(M)-এর তরফে কার্যত নাম না করে এই ঘটনার জন্য BJP কে দায়ি করা হয় । তৃণমূল নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, "এই ঘটনা মর্মান্তিক । সারা বিশ্বে বিশেষ করে বাংলায় জাতপাতের যে লড়াই নতুন করে তৈরি হয়েছে তার রহস্য বের করার জন্য সাংবাদিকের কাছে আমার অনুরোধ । যদি এই ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক দলের মদত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জন্য মানুষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি । "

পশ্চিম বর্ধমানের CPI(M) সদস্য পঙ্কজ রায় বলেন, "দেশ, সভ্যতা, সমাজ কোথায় যাচ্ছে আমি জানি না । আজ থেকে 10 বছর আগে পশ্চিমবঙ্গে এ ধরনের ঘটনার কথা ভাবতে যেত না । যারা এই ছেলেধরা গুজব রটিয়েছে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । আমি বলছি, এর পিছনে মাস্টারমাইন্ড আছে ।"

পশ্চিম বর্ধমান জেলার BJP-র গুণীজন সেলের অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমরা কোনওভাবে এই ঘটনার সমর্থন করি না । যদি এরকম ভবঘুরেকে কেউ দেখতে পায় তাহলে তাকে প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া উচিত । যদিও পশ্চিবঙ্গের প্রশাসনের অবস্থা খুবই খারাপ । তারা নিজেরাই দোষ ঢাকার জন্য দৌঁড়ে বেরাচ্ছে । তাও আমি বলব এরকমভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয় । "

প্রসঙ্গত, 30 অগাস্ট বিধানসভায় পাশ হয় দা ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রিভেনশন অফ লিঞ্চিং বিল 2019 বা গণপ্রহার রোধ বিল । এই বিল অনুযায়ী, গণপ্রহারে কারও মৃত্যু হলে দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা হবে । গণপ্রহারে কেউ জখম হলে দোষীর সর্বোচ্চ তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে । কিন্তু বিল পাশ হওয়ার পরেও এ বিষয়ে যে জনমানসে এখনও সেভাবে সচেতনতা গড়ে ওঠেনি তা দুর্গাপুরের ঘটনায় ফের একবার প্রমাণিত হল ।

Intro:চোর সন্দেহেই হোক বা শিশুচোর সন্দেহে হোক অসুস্থ অন্ডালের কাজোড়ার বাসিন্দা বিনদানন্দ কে উন্মত্ত জিজ্ঞাসা ছিল, ""তোর কাস্ট কি?"" কেনও এই জিজ্ঞাসা?সোশ্যাল মিডিয়া তে এমন ছবি ভাইরাল হওয়ার পরে ইটিভি ভারতে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে ""এই তোর জাত কি রে""এই প্রশ্ন নিয়েই আপাত দৃষ্টিতে শান্ত দুর্গাপুরে রাজনৈতিক তর্জা শুরু হয়ে যায় শুক্রবার সকাল থেকেই।পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার রানীগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকায় মাঝে মধ্যেই সাম্প্রদায়িক হানাহানির ঘটনা ঘটেছে।দুর্গাপুরের মেইনগেট এলাকাও মাঝে মধ্যেই উত্তপ্ত হয়েছে গোষ্ঠীসংঘর্ষের জেরে।কিন্তু গনপিটুনি দেওয়ার সময় উন্মত্ত জনতার রক্তাক্ত বিনদানন্দ গোপকে জিজ্ঞাসা,"" তোর জাত কি?""এক অন্য প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড় করালো সবাইকে।শাসকদলের নেতা উত্তম মুখার্জ্জী এই ভাইরাল ভিডিও ইটিভি ভারতে খবর দেখার পরে জানালেন,""অত্যন্ত বর্বরোচিত ঘটনা।জাতপাতের রাজনীতি এখানে ভাবতেও কেমন লাগছে।এর পিছনে ইন্ধন আছে।প্রশাসন এবং আমরাও সজাগ আছি।""
সিপিআই(এম) এর পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার ঘটনার চরম নিন্দা করে বললেন,""কি হচ্ছে জানিনা।তবে এর মাষ্টারমাইন্ড আছে।আমরা সারাবছর পুলিশের ভুমিকার সমালোচনা করলেও এইক্ষেত্রে পুলিশকে সহায়তা করা দরকার।তবে এই ঘটনা আজ থেকে ৯-১০ বছর আগে ছিল না এই রাজ্যে।যোগী রাজ্যের ঘটনা ঘটছে।
বিজেপি র পশ্চিম বর্ধমান জেলার গুনীজন সেলের অমিতাভ বন্দোপাধ্যায় বললেন,""এই ঘটনাকে ভারতীয় জনতা পার্টি সমর্থন করেনা।জাতপাতের কথা তুলে পিটিয়ে মারার এই ঘটনা নিন্দনীয়। আমরা চাই আমজনতা সচেতন হোক। শুধুই পুলিশের পক্ষ থেকে এই কাজ করা সম্ভব নয়।আমরা এরপরে এই গনপিটুনি রুখতে মহকুমা শাসকের কাছে এবং পুলিশের কাছে লিখিত জানাব।""
সম্প্রতি গনপিটুনি রুখতে মুখ্যমন্ত্রী কড়া আইন প্রনয়ন করেছেন।কিন্তু তার পরেও আসানসোলের সালানপুর,বর্ধমানে ছেলেধরা সন্দেহে গনপিটুনি তে দুজনের মৃত্যুর পরে এবার শিল্পশহরের বুকেও লাগল কলঙ্কের কালিমা।তবে এবার আরো ভয়ানয় এক বার্তা শোনা গেল উন্মত্ত এক ব্যাক্তির গলায়, "" তোর কাস্ট কি?""তাহলে কি এই ছেলেধরা সন্দেহে গনপিটুনির ঘটনার পিছনেও এক অন্য রাজনৈতিক উস্কানি লুকিয়ে আছে?প্রশ্ন ওঠায় স্বাভাবিক।কারন পুলিশের পক্ষ থেকে বারংবার সাধারণ মানুষকে সতর্ক করার পরেও কেনও এই গনপিটুনির ঘটনা দিন-প্রতিদিন বাড়ছে?গনপিটুনির সাথে সাথে এই মৃত্যু থেকে প্রশ্ন উঠছে সাম্প্রদায়িক বিভেদের এক নৃষংশতার ছবি।।Body:হConclusion:হ
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.