কাঁকসা, 2 মে : 16 বছরের নাবালিকার বিয়ে দিচ্ছিল পরিবার ৷ আর ঠিক তখনই বিয়ে বাড়িতে হাজির হয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকরা সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিল । ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর কাঁকসার আড়া মাঝপাড়া এলাকার । 18 বছরের আগে মেয়ের বিয়ে দেওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ, বোঝানো হয় পরিবার-পরিজনকে তা সত্ত্বেও বিয়ের প্রস্তুতি নেন তাঁরা (Police stopped Minor Marriage in Kanksa) ৷
আজ রাতে ছিল নাবালিকা মেয়েটির বিয়ে । সব প্রস্তুতি শেষ করে ফেলে বাড়ির লোকজন । আত্মীয় স্বজনদের ভিড় ছিল মেয়েটির বাড়িতে, চলছিল রান্নার আয়োজনও । ঠিক তখনই বিয়ে বাড়িতে হাজির হয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা । পাত্রী নাবালিকা ও সদ্য মাধ্যমিক দিয়েছে এবং এখনও কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ।
কাঁকসার রূপগঞ্জ এলাকায় যুবকের সঙ্গে আড়া এলাকার নাবালিকার মেয়ের বিয়ে হচ্ছে গোপন সূত্রে খবর পায় দুর্গাপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ৷ সংস্থার সদস্য শিল্পী পালের নেতৃত্বে কাঁকসার মলানদীঘি ফাঁড়ির পুলিশ একযোগে পৌঁছে যায় মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া ওই ছাত্রীর বিয়ের আয়োজনের আসরে ৷ ডেকে পাঠানো হয় ওই নাবালিকা ও তার বাবা-মাকে ৷ দেখতে চাওয়া হয় নাবালিকার বয়সের প্রমাণপত্র ও আধার কার্ড । সব কিছু দেখার পর শেষ পর্যন্ত ওই নাবালিকা ও তার পরিবারকে জেরা শুরু করেন শিল্পী পাল ও পুলিশের আধিকারিকরা ৷ জেরায় তাঁরা স্বীকার করে নেন নাবালিকার বিয়ে দেওয়ার ঘটনা । পরিবার-পরিজনের বাঁধা দিতে আসে পুলিশকে ৷ পুলিশ সাফ জানিয়ে দেয়, সরকারি কাজে বাধা দিতে এলে আইনমাফিক ব্যবস্থা তাঁরা নেবেন ।
শেষ পর্যন্ত ওই নাবালিকার সঙ্গে তার বাবা-মাকেও কাঁকসার মলানদীঘি ফাঁড়িতে নিয়ে যায় পুলিশ । নাবালিকার বিয়ে দিয়ে অন্যায় করছিলেন স্বীকার করে নেন তার কাকিমা । সেচ্ছাসেবী সংস্থার ওই সদস্য জানান, ওই পড়ুয়া কন্যাশ্রীর আওতায় । এছাড়াও রাজ্য সরকারের একাধিক সুযোগ-সুবিধা পায় ৷ নাবালিকার বিয়ে চলছে এই খবর পেয়েই তাঁরা আসেন এবং বিয়ে বন্ধ করে দেন । সব মিলিয়ে সোমবার সকালে নাবালিকার বিয়ে রুখে দিয়ে প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সদর্থক ভূমিকা নিল বলে গ্রামের মানুষের মত ।
আরও পড়ুন : Labourer Beaten Up : সারা গায়ে কালশিটে, চোর সন্দেহে মে দিবসেই শ্রমিককে বেধড়ক মার !