দুর্গাপুর, 17 নভেম্বর: প্রতিবেশী তার মোবাইল ফোনে নাবালিকার ধর্ষণের ভাইরাল ভিডিয়ো দেখাল নির্যাতিতার মাকে ৷ তা দেখেই মা থানায় অভিযোগ জানান ৷ এরপরই দুর্গাপুরের কোকওভেন থানা এলাকা থেকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় প্রতিবেশী লাতিফুল শেখকে ৷ বৃহস্পতিবারই পুলিশি হেফাজত চেয়ে তাকে দুর্গাপুর আদালতে পেশ করা হয় ৷ দুর্গাপুর আদালতের বিচারক অভিযুক্তকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় ৷
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসইপি দুর্গাপুর তথাগত পাণ্ডে বলেন, " নির্যাতিতার মায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে, হেফাজতের আবেদন জানিয়ে আদালতে পেশ করা হয়। নির্যাতিতার মায়ের বয়ান অনুযায়ী তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করে সেই ভিডিও ভাইরাল করা হয়।"
নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, প্রায় 15 দিন আগে তাঁর মেয়েকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্ত প্রতিবেশী ৷ সেখানে নাবালিকাকে জোর করে পানীয় জলের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে খাইয়ে অচৈতন্য করে ৷ এরপর ওই অবস্থায় নাবালিকাকে ধর্ষণ করে ওই প্রতিবেশী ৷ শুধু তাই নয়, সেই ধর্ষণের ভিডিয়ো, ছবি মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করেও রাখা হয় ৷
ধর্ষিতা নাবালিকার মা আরও জানিয়েছেন, নাবালিকা ভয়ে বাড়িতে কিছু না বললেও পাড়ায় থাকতে চাইছিল না ৷ তাই নির্যাতিতা নাবালিকা ভয়ে ঠাকুমার বাড়ি চলে যায় ৷ ধর্ষণের ঘটনাটি তিনি জানতে পারেন প্রতিবেশীর মোবাইল ফোন থেকে ৷ প্রায় 15 দিন পরে প্রতিবেশীর মোবাইলে নিজের মেয়ের ধর্ষণের ভিডিয়ো দেখে আঁতকে ওঠেন তিনি ৷
এরপর নির্যাতিতাকে জিজ্ঞাসা করলে সে সব কথা খুলে বলে ৷ কোকওভেন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ ধর্ষণের মামলা রুজু করে ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার জন্য দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে কোকওভেন থানার পুলিশ ৷ 7 দিনের পুলিশে হেফাজতের নির্দেশ দেয় মহাকুমা আদালতের বিচারক ৷ এই ব্যক্তির চরম শাস্তি দাবি করছে নাবালিকার পরিবার এবং এলাকাবাসীরা ৷
কয়েকদিন আগে বিহারের বেগুসরাইয়ে একটি গর্ত থেকে এক নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷ তাকে ধর্ষণ করে তারপর হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে ৷
আরও পড়ুন: