ETV Bharat / state

"কাটমানি নেওয়া বিধায়করা বাড়ি বাড়ি গেলে আটকে রাখবে লোকজন" - didkbolo.com

তৃণমূলের টোল ফ্রি নম্বর নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ BJP নেতা সায়ন্তন বসুর ৷ বলেন, "তৃণমূলের পক্ষে টোল ফ্রি নম্বর দিয়ে আর বিশ্বাস ফেরানো সম্ভব হবে না ৷ তৃণমূলের নেতা, বিধায়ক, সাংসদ বা কাউন্সিলরদের পক্ষেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে রাত কাটানো সম্ভব নয় ৷ মুখ্যমন্ত্রী নিজেও জানেন হবে না ৷ তাঁর দলের লোকজনও জানেন হবে না ৷"

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Jul 30, 2019, 8:58 AM IST

Updated : Jul 30, 2019, 11:03 AM IST

দুর্গাপুর, 30 জুলাই : "দিদিকে বলো" টোল ফ্রি নম্বর ও ওয়েবসাইট নিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন BJP নেতা সায়ন্তন বসু ৷ বলেন, "টোল ফ্রি নম্বর দিয়ে আর বিশ্বাস ফেরানো সম্ভব হবে না ৷"

জনসংযোগ বাড়াতে গতকাল তৃণমূলের তরফে টোল ফ্রি নম্বর চালু করা হয় ৷ তা নিয়ে সায়ন্তনবাবু বলেন, "উনি ফ্রি নম্বর, টোল-ফ্রি নম্বর দিতেই পারেন ৷ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগযোগ করবেন এটাই স্বাভাবিক ৷ সমস্যা হল, ওদের প্রতি মানুষের বিশ্বাস ভেঙে গেছে ৷ সেই বিশ্বাস কি টোল ফ্রি নম্বর দিয়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে? মুখ্যমন্ত্রী মানুষকে আহ্বান করবেন, নম্বর দেবেন কিন্তু বাংলার মানুষ তৃণমূলের অত্যাচারের প্রতি সরব হয়েছেন৷ এই সব নম্বর দিয়ে কিছু করা যাবে না৷"

তিনি আরও বলেন, "বিধায়করা লোকজনের বাড়ি যাবেন, রাত কাটাবেন ! আমি বলছি বাড়ি বাড়ি যান রাত কাটান ৷ কিন্তু যাঁরা কাটমানি নিয়েছেন তাঁরা কিন্তু লোকের বাড়ি যাবেন না ৷ গেলে কিন্তু লোকে আটকে রেখে দেবে ৷ তাই অধিকাংশ নেতাই ভয়ে কারও বাড়ি যেতে পারবেন না ৷ আর এতদিন আরামে থেকেছেন ৷ লাল-নীল-হলুদ আলোতে ঘুরে বেড়িয়েছেন ৷ আটবছর আরাম করে তারপর লোকজনের বাড়ি গিয়ে দাওয়ায় বসা, তাদের খাটিয়ায় গিয়ে বসা, বাড়ির খাওয়ার খাওয়া ! এগুলো আর তৃণমূলের নেতা, বিধায়ক, সাংসদ বা কাউন্সিলরদের পক্ষে সম্ভব নয়৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বলছেন ৷ তিনি নিজেও জানেন হবে না ৷ তাঁর দলের লোকজনও জানেন হবে না ৷ আমি ঝাড়গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকা শিলদা থেকে খাওয়া-দাওয়া করে এলাম ৷ প্রায় 50 বছর ধরে আমরা সংগঠনের কাজ করছি ৷ তাই BJP-কে অনুসরণ করছে হয়তো কিন্তু এত শক্তিশালী দল তৈরি করতে পারবে না ৷ "

ভিডিয়োয় শুনুন সায়ন্তন বসুর বক্তব্য

দুর্গোপুজোয় সভাপতি হওয়ার কথা নিয়ে তিনি বলেন, "আগেও ডাক পেয়েছি ৷ কয়েকজনকে চিনি ৷ কয়েকজন আমাকে আগে থেকেই চেনে ৷ সেই সূত্রে আমাকে ডাকা হয়েছে৷ তবে, আমি কোনও ক্লাব দখল করতে যাইনি ৷ কাউকে সরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছেও নেই ৷ আমরা দুর্গাপুজো করতে চাই ৷ সবাই অংশগ্রহণ করতে চাই ৷ আমরা চাই না মহরমের জন্য দুর্গাপুজোর বিসর্জন বন্ধ হোক ৷ আমরা চাই না, মহালয়ার আগে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন হোক৷ মুখ্যমন্ত্রীর সময় নেই বলে এগুলো হচ্ছে ৷ কিন্তু এই অনাচার তো চলতে দেওয়া যায় না ৷ আমরা এর বিরুদ্ধে ৷ এবং রাজনৈতিক নেতা হয়ে পুজোতে যাচ্ছি না ৷ পুজো রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হওয়া উচিত ৷ যেসব রাজনৈতিক ব্যক্তি পুজো করছেন, সভাপতি হচ্ছেন, পুলিশকে ব্যবহার করে পুজোয় হস্তক্ষেপ করছেন, আমার মনে হয় পুজোতে হয়তো অন্তত তাঁদের রাজনৈতিক প্রভাব প্রয়োগ করা উচিত নয় ৷"

দুর্গাপুর, 30 জুলাই : "দিদিকে বলো" টোল ফ্রি নম্বর ও ওয়েবসাইট নিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন BJP নেতা সায়ন্তন বসু ৷ বলেন, "টোল ফ্রি নম্বর দিয়ে আর বিশ্বাস ফেরানো সম্ভব হবে না ৷"

জনসংযোগ বাড়াতে গতকাল তৃণমূলের তরফে টোল ফ্রি নম্বর চালু করা হয় ৷ তা নিয়ে সায়ন্তনবাবু বলেন, "উনি ফ্রি নম্বর, টোল-ফ্রি নম্বর দিতেই পারেন ৷ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগযোগ করবেন এটাই স্বাভাবিক ৷ সমস্যা হল, ওদের প্রতি মানুষের বিশ্বাস ভেঙে গেছে ৷ সেই বিশ্বাস কি টোল ফ্রি নম্বর দিয়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে? মুখ্যমন্ত্রী মানুষকে আহ্বান করবেন, নম্বর দেবেন কিন্তু বাংলার মানুষ তৃণমূলের অত্যাচারের প্রতি সরব হয়েছেন৷ এই সব নম্বর দিয়ে কিছু করা যাবে না৷"

তিনি আরও বলেন, "বিধায়করা লোকজনের বাড়ি যাবেন, রাত কাটাবেন ! আমি বলছি বাড়ি বাড়ি যান রাত কাটান ৷ কিন্তু যাঁরা কাটমানি নিয়েছেন তাঁরা কিন্তু লোকের বাড়ি যাবেন না ৷ গেলে কিন্তু লোকে আটকে রেখে দেবে ৷ তাই অধিকাংশ নেতাই ভয়ে কারও বাড়ি যেতে পারবেন না ৷ আর এতদিন আরামে থেকেছেন ৷ লাল-নীল-হলুদ আলোতে ঘুরে বেড়িয়েছেন ৷ আটবছর আরাম করে তারপর লোকজনের বাড়ি গিয়ে দাওয়ায় বসা, তাদের খাটিয়ায় গিয়ে বসা, বাড়ির খাওয়ার খাওয়া ! এগুলো আর তৃণমূলের নেতা, বিধায়ক, সাংসদ বা কাউন্সিলরদের পক্ষে সম্ভব নয়৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বলছেন ৷ তিনি নিজেও জানেন হবে না ৷ তাঁর দলের লোকজনও জানেন হবে না ৷ আমি ঝাড়গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকা শিলদা থেকে খাওয়া-দাওয়া করে এলাম ৷ প্রায় 50 বছর ধরে আমরা সংগঠনের কাজ করছি ৷ তাই BJP-কে অনুসরণ করছে হয়তো কিন্তু এত শক্তিশালী দল তৈরি করতে পারবে না ৷ "

ভিডিয়োয় শুনুন সায়ন্তন বসুর বক্তব্য

দুর্গোপুজোয় সভাপতি হওয়ার কথা নিয়ে তিনি বলেন, "আগেও ডাক পেয়েছি ৷ কয়েকজনকে চিনি ৷ কয়েকজন আমাকে আগে থেকেই চেনে ৷ সেই সূত্রে আমাকে ডাকা হয়েছে৷ তবে, আমি কোনও ক্লাব দখল করতে যাইনি ৷ কাউকে সরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছেও নেই ৷ আমরা দুর্গাপুজো করতে চাই ৷ সবাই অংশগ্রহণ করতে চাই ৷ আমরা চাই না মহরমের জন্য দুর্গাপুজোর বিসর্জন বন্ধ হোক ৷ আমরা চাই না, মহালয়ার আগে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন হোক৷ মুখ্যমন্ত্রীর সময় নেই বলে এগুলো হচ্ছে ৷ কিন্তু এই অনাচার তো চলতে দেওয়া যায় না ৷ আমরা এর বিরুদ্ধে ৷ এবং রাজনৈতিক নেতা হয়ে পুজোতে যাচ্ছি না ৷ পুজো রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হওয়া উচিত ৷ যেসব রাজনৈতিক ব্যক্তি পুজো করছেন, সভাপতি হচ্ছেন, পুলিশকে ব্যবহার করে পুজোয় হস্তক্ষেপ করছেন, আমার মনে হয় পুজোতে হয়তো অন্তত তাঁদের রাজনৈতিক প্রভাব প্রয়োগ করা উচিত নয় ৷"

Intro:"" মানুষের ভেঙে যাওয়া বিশ্বাস কি শুধু একটা টোল ফ্রী নাম্বার দিয়ে ফিরিয়ে আনা যাবে?""-""দিদিকে বলো""এমন টোল-ফ্রি নাম্বার চালু করা প্রসঙ্গে এমন প্রশ্ন তুললেন বিজেপি র রাজ্যসম্পাদক সায়ন্তন বসু।

দলীয় কাজকর্ম সেরে দুর্গাপুরে ক্ষনিকের জন্য আসা বিজেপি র রাজ্যসম্পাদক সায়ন্তন বসু কে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সাথে রাজ্যবাসীর সরাসরি যোগাযোগের জন্য আজ থেকে টোল-ফ্রী নাম্বার চালু নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "" মুখ্যমন্ত্রী জনগনের।তাই তার সাথে জনগন সরাসরি কথা বলবে তার জন্য ফ্রী নাম্বার, টোল-ফ্রী নাম্বার চালু হয়েছে তা ভালো।কিন্তু মানুষের যে বিশ্বাস ভেঙে গেছে তা কি আর শুধু একটা টোল-ফ্রী নাম্বারে ফিরে আসবে?আর টিএমসি র এম পি,এম এল এ দের মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রাত কাটানোর যে কথা মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন তাতে করে আমি বলব তারা যান তবে যারা কাটমানি নিয়েছেন তারা গেলেই মানুষ ঘরে বেঁধে রেখে দেবেন।আর অধকাংশ নেতারাই এই ভয়েই যাবেন না।তাছাড়া গত আট বছর এই নেতারা যেভাবে লাল,নীল,হলুদ বাতি নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন তাতে এরা আর দলীয় কর্মীদের ঘরের মেঝে,দড়ির খাটে গিয়ে আর বসতে বা তাদের বাড়ির খাওয়ার খাবেন বলে মনে হয়না।""সায়ন্তন বসু কে আজ আগাগোড়া সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে রাজ্যসরকারকে তুলোধোনা করতে দেখা যায়।তিনি বলেন "" লোকসভায় হাফ হয়েছে আর একটা ভোট ভালো করে হতে দিন এরা সাফ হয়ে যাবে।""বিজেপি নেতাদের অনুকরনে দলীয় কর্মীদের বাড়িতে অন্নগ্রহনের প্রসঙ্গে এই বিজেপি নেতা বলেন তাদের অনুকরণ, অনুসরন করলেও তারা বিজেপি র মত হতে পারবেন না।ত্যাগের আদর্শে অনুপ্রাণিত বিজেপি নেতা এরা হবেন না।দুর্গাপুজায় তার কাছে বিভিন্ন ক্লাবের আমন্ত্রন আসা প্রসঙ্গে বিজেপি র রাজ্যসম্পাদকের দাবী "" আগেও দুর্গাপুজায় ডাক পেয়েছি।এখন।একটু বেশি পাচ্ছি।তবে মহরমের জন্য দুর্গাপুজার বিসর্জ্জন বন্ধ মানব না।আর মহালয়ার আগে দুর্গাপুজার উদবোধনের নামে ব্যাভিচার সহ্য করব না।আর টিএমসি র মন্ত্রীরা পুলিশ কে ভাঙিয়ে দুর্গাপুজায় রাজনৈতিক প্রভাব আনে চাই সেই দুর্গাপুজা রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হোক।Body:হConclusion:হ
Last Updated : Jul 30, 2019, 11:03 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.