দুর্গাপুর, 30 জুলাই : "দিদিকে বলো" টোল ফ্রি নম্বর ও ওয়েবসাইট নিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন BJP নেতা সায়ন্তন বসু ৷ বলেন, "টোল ফ্রি নম্বর দিয়ে আর বিশ্বাস ফেরানো সম্ভব হবে না ৷"
জনসংযোগ বাড়াতে গতকাল তৃণমূলের তরফে টোল ফ্রি নম্বর চালু করা হয় ৷ তা নিয়ে সায়ন্তনবাবু বলেন, "উনি ফ্রি নম্বর, টোল-ফ্রি নম্বর দিতেই পারেন ৷ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগযোগ করবেন এটাই স্বাভাবিক ৷ সমস্যা হল, ওদের প্রতি মানুষের বিশ্বাস ভেঙে গেছে ৷ সেই বিশ্বাস কি টোল ফ্রি নম্বর দিয়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে? মুখ্যমন্ত্রী মানুষকে আহ্বান করবেন, নম্বর দেবেন কিন্তু বাংলার মানুষ তৃণমূলের অত্যাচারের প্রতি সরব হয়েছেন৷ এই সব নম্বর দিয়ে কিছু করা যাবে না৷"
তিনি আরও বলেন, "বিধায়করা লোকজনের বাড়ি যাবেন, রাত কাটাবেন ! আমি বলছি বাড়ি বাড়ি যান রাত কাটান ৷ কিন্তু যাঁরা কাটমানি নিয়েছেন তাঁরা কিন্তু লোকের বাড়ি যাবেন না ৷ গেলে কিন্তু লোকে আটকে রেখে দেবে ৷ তাই অধিকাংশ নেতাই ভয়ে কারও বাড়ি যেতে পারবেন না ৷ আর এতদিন আরামে থেকেছেন ৷ লাল-নীল-হলুদ আলোতে ঘুরে বেড়িয়েছেন ৷ আটবছর আরাম করে তারপর লোকজনের বাড়ি গিয়ে দাওয়ায় বসা, তাদের খাটিয়ায় গিয়ে বসা, বাড়ির খাওয়ার খাওয়া ! এগুলো আর তৃণমূলের নেতা, বিধায়ক, সাংসদ বা কাউন্সিলরদের পক্ষে সম্ভব নয়৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বলছেন ৷ তিনি নিজেও জানেন হবে না ৷ তাঁর দলের লোকজনও জানেন হবে না ৷ আমি ঝাড়গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকা শিলদা থেকে খাওয়া-দাওয়া করে এলাম ৷ প্রায় 50 বছর ধরে আমরা সংগঠনের কাজ করছি ৷ তাই BJP-কে অনুসরণ করছে হয়তো কিন্তু এত শক্তিশালী দল তৈরি করতে পারবে না ৷ "
দুর্গোপুজোয় সভাপতি হওয়ার কথা নিয়ে তিনি বলেন, "আগেও ডাক পেয়েছি ৷ কয়েকজনকে চিনি ৷ কয়েকজন আমাকে আগে থেকেই চেনে ৷ সেই সূত্রে আমাকে ডাকা হয়েছে৷ তবে, আমি কোনও ক্লাব দখল করতে যাইনি ৷ কাউকে সরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছেও নেই ৷ আমরা দুর্গাপুজো করতে চাই ৷ সবাই অংশগ্রহণ করতে চাই ৷ আমরা চাই না মহরমের জন্য দুর্গাপুজোর বিসর্জন বন্ধ হোক ৷ আমরা চাই না, মহালয়ার আগে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন হোক৷ মুখ্যমন্ত্রীর সময় নেই বলে এগুলো হচ্ছে ৷ কিন্তু এই অনাচার তো চলতে দেওয়া যায় না ৷ আমরা এর বিরুদ্ধে ৷ এবং রাজনৈতিক নেতা হয়ে পুজোতে যাচ্ছি না ৷ পুজো রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হওয়া উচিত ৷ যেসব রাজনৈতিক ব্যক্তি পুজো করছেন, সভাপতি হচ্ছেন, পুলিশকে ব্যবহার করে পুজোয় হস্তক্ষেপ করছেন, আমার মনে হয় পুজোতে হয়তো অন্তত তাঁদের রাজনৈতিক প্রভাব প্রয়োগ করা উচিত নয় ৷"