অন্ডাল, 15 ফেব্রুয়ারি : কাজী নজরুল বিমানবন্দরের সঙ্গে আশপাশের জেলাগুলির যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও সুদৃঢ় করতে একাধিক প্রকল্পের কথা জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রশাসনিক বৈঠকে থেকে মনোরেল ও স্পিড বাস চালু করার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী । বলা বাহুল্য, এই যোগাযোগ সম্ভব হলে পশ্চিম বর্ধমান জেলার পাশাপাশি আশপাশের পুরুলিয়া,বাঁকুড়া জেলাতেও শিল্প সম্ভাবনা যে বাড়তে পারে তারও ইঙ্গিত দিলেন তিনি ।
13 ফেব্রুয়ারি দুর্গাপুরে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী । বৈঠকে শুরুর দিকে দীর্ঘক্ষণ অন্ডাল বিমানবন্দরের বর্তমান অবস্থা এবং তা নিয়ে রাজ্যের বর্তমান শাসকদল যে অনেক সম্ভাবনা দেখছে তা স্পষ্ট হয় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে । অন্ডাল বিমাননগরী দেশের মধ্যে সর্বপ্রথম বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা বিমাননগরী । BEPL (বেঙ্গল এরোট্রোপোলিশ প্রজেক্ট লিমিটেড) এবং সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি ইন্টারন্যাশনালের যৌথ উদ্যোগে গড়ে উঠেছে এই বিমাননগরী । এই মুহূর্তে অন্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর থেকে দিল্লি, হায়দরাবাদ, চেন্নাই বিমান যোগাযোগ চালু হয়েছে । বেঙ্গালুরু ও দিল্লির আরও একটি আলাদা ফ্লাইট চালু হওয়ার প্রক্রিয়াও সম্পূর্ণ । বেশ কিছু বেসরকারি শিল্প কলকারখানা সহ, বেসরকারি স্কুল,হোটেল,হাসপাতাল,ITপার্ক,রেস্তোরা,শপিংমল,আবাসন প্রকল্প গড়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে ।
এবার এই বিমানবন্দরের সঙ্গে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার যোগাযোগের উপর গুরুত্ব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী । প্রশাসনিক বৈঠক থেকে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া জেলার সঙ্গে অন্ডাল বিমানবন্দর পর্যন্ত যদি বেসরকারি উদ্যোগে মনোরেল চালু করা যায় সেই বিষয়টি ভেবে দেখতে বলেন । পাশাপাশি স্পিড বাস চালু করার কথাও বলেন তিনি ।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার শিল্প সম্ভাবনার জন্য অন্ডাল বিমানবন্দর যে অগ্রণী ভূমিকা নিতে চলেছে, তার আভাস পাওয়া গেছে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে । তবে পরিকল্পনার কতটা বাস্তবায়ন হয়, আপাতত সেই অপেক্ষায় জেলাবাসী । বুক বেঁধেছে বণিকমহলও ।