দুর্গাপুর , 6 এপ্রিল : কোরোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউন ৷ ফলে খাদ্য সংকটের মধ্যে রয়েছে দরিদ্র মানুষগুলি ৷ এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন , রাজনৈতিক দলগুলি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ৷ আর এবার এরকম মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল দুর্গাপুরের শারীরিকভাবে অক্ষম 63 বছরের অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষিকাকে ৷ তাঁর জীবনের শেষ সম্বলটুকু দিয়ে দেশের এই কঠিন সময়ে 500 জনের বেশি দরিদ্র পরিবারের হাতে তুলে দিলেন খাদ্যসামগ্রী । তাঁর একটাই আবেদন "আমাদের পৃথিবী কোরোনা মুক্ত হোক ৷ "
পশ্চিম বর্ধমান জেলার অণ্ডাল থানা এলাকার দক্ষিণ খণ্ডের বাসিন্দা আন্না রানি মণ্ডল । জন্ম থেকেই তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী ।আর পাঁচজন মানুষের মতো স্বাভাবিক উচ্চতা তাঁর নয় । কিন্তু অদম্য জেদ আর নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াসের উপর ভর করেই একদিন তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার পদে চাকরি পান । দক্ষিণখণ্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন চাকরি করার পর প্রায় তিন বছর আগে তিনি অবসর নেন । শারীরিকভাবে অক্ষমতার কারণেই তিনি বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হননি । তাঁর পরিবার বলতে, তাঁর দুই ভাই এবং বোন ৷ তাঁরা অন্যত্র থাকেন । সেক্ষেত্রে তিনি একাই থাকেন ৷ তাই অবসর নেওয়ার পর সামান্য যা কিছু অর্থ পান , তাই দিয়েই তাঁর ভালোভাবে কেটে যায় । কিন্তু কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণের জেরে লকডাউনের ডাক দিয়েছে সরকার । আর সেই সময়ে বিপাকে পড়েছে তাঁর আশপাশে থাকা দীন-দরিদ্র মানুষগুলি । তাঁদের দেখে তিনি তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর চিন্তাভাবনা করেন । সেই মতোই তিনি নিজের এলাকার 500 টির বেশি দুস্থ পরিবারের হাতে তুলে দিলেন চাল- আলু - তেল । এই দীন-দরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তিনি অবিরাম প্রার্থনা করে চলেছেন "দেশ থেকে চিরতরে দূর হোক কোরোনা ভাইরাস । শুধু আমার দেশ নয় , গোটা পৃথিবী কোরোনা সংক্রমণ মুক্ত হয়ে উঠুক ।"
দেশের এই দুরাবস্থায় আজ সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করছে । আর সেই লড়াইয়ে শরীর সঙ্গ না দিলেও মানসিক জোরেই আন্না রানি মণ্ডলরা যে সৈনিক তাঁর প্রমাণ আজ তিনি নিজেই দিয়ে দিলেন ৷
জীবনের শেষ সঞ্চয় দিয়ে দরিদ্রদের পাশে প্রতিবন্ধী শিক্ষিকা - Lockdown
লকডাউনের জেরে এলাকার দুস্থ মানুষগুলিকে অনাহারে কাটাতে হচ্ছে ৷ তাই দেখে আর থাকতে পারেননি পশ্চিম বর্ধমান জেলার অণ্ডাল থানা এলাকার দক্ষিণ খণ্ডের বাসিন্দা আন্না রানি মণ্ডল । নিজের প্রতিবন্ধকতা জয় করে স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা নিজের এলাকার 500 টির বেশি দুস্থ পরিবারের হাতে তুলে দিলেন চাল- আলু - তেল ।
![জীবনের শেষ সঞ্চয় দিয়ে দরিদ্রদের পাশে প্রতিবন্ধী শিক্ষিকা Durgapur](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/768-512-6684740-291-6684740-1586183386114.jpg?imwidth=3840)
দুর্গাপুর , 6 এপ্রিল : কোরোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউন ৷ ফলে খাদ্য সংকটের মধ্যে রয়েছে দরিদ্র মানুষগুলি ৷ এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন , রাজনৈতিক দলগুলি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ৷ আর এবার এরকম মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল দুর্গাপুরের শারীরিকভাবে অক্ষম 63 বছরের অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষিকাকে ৷ তাঁর জীবনের শেষ সম্বলটুকু দিয়ে দেশের এই কঠিন সময়ে 500 জনের বেশি দরিদ্র পরিবারের হাতে তুলে দিলেন খাদ্যসামগ্রী । তাঁর একটাই আবেদন "আমাদের পৃথিবী কোরোনা মুক্ত হোক ৷ "
পশ্চিম বর্ধমান জেলার অণ্ডাল থানা এলাকার দক্ষিণ খণ্ডের বাসিন্দা আন্না রানি মণ্ডল । জন্ম থেকেই তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী ।আর পাঁচজন মানুষের মতো স্বাভাবিক উচ্চতা তাঁর নয় । কিন্তু অদম্য জেদ আর নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াসের উপর ভর করেই একদিন তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার পদে চাকরি পান । দক্ষিণখণ্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন চাকরি করার পর প্রায় তিন বছর আগে তিনি অবসর নেন । শারীরিকভাবে অক্ষমতার কারণেই তিনি বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হননি । তাঁর পরিবার বলতে, তাঁর দুই ভাই এবং বোন ৷ তাঁরা অন্যত্র থাকেন । সেক্ষেত্রে তিনি একাই থাকেন ৷ তাই অবসর নেওয়ার পর সামান্য যা কিছু অর্থ পান , তাই দিয়েই তাঁর ভালোভাবে কেটে যায় । কিন্তু কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণের জেরে লকডাউনের ডাক দিয়েছে সরকার । আর সেই সময়ে বিপাকে পড়েছে তাঁর আশপাশে থাকা দীন-দরিদ্র মানুষগুলি । তাঁদের দেখে তিনি তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর চিন্তাভাবনা করেন । সেই মতোই তিনি নিজের এলাকার 500 টির বেশি দুস্থ পরিবারের হাতে তুলে দিলেন চাল- আলু - তেল । এই দীন-দরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তিনি অবিরাম প্রার্থনা করে চলেছেন "দেশ থেকে চিরতরে দূর হোক কোরোনা ভাইরাস । শুধু আমার দেশ নয় , গোটা পৃথিবী কোরোনা সংক্রমণ মুক্ত হয়ে উঠুক ।"
দেশের এই দুরাবস্থায় আজ সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করছে । আর সেই লড়াইয়ে শরীর সঙ্গ না দিলেও মানসিক জোরেই আন্না রানি মণ্ডলরা যে সৈনিক তাঁর প্রমাণ আজ তিনি নিজেই দিয়ে দিলেন ৷