ETV Bharat / state

আগমনিতেই দুর্গাকে নিরঞ্জন আসানসোলের ধেনুয়ায় - Durga puja 2019

আপামর বাঙালি আগমনির সুরে মেতে ৷ তখন নিরঞ্জনের সুর শোনা যায় আসানসোলের ধেনুয়া গ্রামে ৷ দামোদরের ধারে এই মনোরম আশ্রমেই আয়োজন করা হয় দুর্গাপুজোর । 1937 সালে পুজোর উদ্বোধন করেন কালিকৃষ্ণ সরস্বতী ৷ এই পুজো একদিনেই হয় ৷ একইদিনে নিয়ম করে সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমী পুজো হয় ৷ সেই দিনই প্রতিমার নিরঞ্জন দেওয়া হয় ৷

ছবি
author img

By

Published : Sep 28, 2019, 9:27 PM IST

আসানসোল : বাতাসে শিউলির সুবাস ৷ শরতের ভোরে সবাই মহালয়া শোনায় মত্ত ৷ পিতৃপক্ষের শেষ, দেবীপক্ষের শুরু ৷ পুজো আসছে ৷ আপামর বাঙালি আগমনির সুরে মেতে ৷ তখন নিরঞ্জনের সুর শোনা যায় আসানসোলের ধেনুয়া গ্রামে ৷ বোধনের দিনই মায়ের নিরঞ্জন হয়ে যায় এখানে ৷

হীরাপুরের ধেনুয়া গ্রামের কালিকৃষ্ণ আশ্রম । দামোদরের ধারে এই মনোরম আশ্রমেই আয়োজন করা হয় দুর্গাপুজোর । মা এখানে কুমারী রূপে পূজিত ৷ 1937 সালে পুজোর উদ্বোধন করেন কালিকৃষ্ণ সরস্বতী ৷ আশ্রমের সেবাইতরা জানাচ্ছেন, বাংলাদেশ থেকে এখানে এসেছিলেন বাবা ৷ মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে তিনিই এই পুজোর প্রচলন করেন ৷ আশ্রমের কালী ও শিবমন্দিরও তৈরি করেন ৷ এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নেও তাঁর ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য ৷ স্কুলও গড়ে তুলেছিলেন তিনি ৷ মাঝে 1973 সাল থেকে পুজো বন্ধ হয়ে যায় ৷ পরে 1979 সাল থেকে আবার পুজো শুরু হয় ৷

image
দামোদরের তীরে আশ্রম ৷ পাশে শিব ও কালীর মন্দির

এই পুজো একদিনেই হয় ৷ পিতৃপক্ষে বোধন হয় আর দেবীপক্ষে নিরঞ্জন ৷ মহালয়ার আগের রাতে অমাবস্যা লাগলে প্রথমে কালীপুজো করা হয় । কালীপুজোর শেষে ভোরবেলায় নবপত্রিকাকে দামোদরে স্নান করিয়ে নিয়ে আসা হয়৷ মায়ের ঘটও প্রতিষ্ঠা করা হয় ৷ এরপর মহালয়ায় দেবীপক্ষের সূচনায় শুরু হয় মা দুর্গার পুজো । একইদিনে নিয়ম করে সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমী পুজো হয় ৷ এইদিনই প্রতিমার নিরঞ্জন দেওয়া হয় ৷ দেবীর রূপও এখানে আলাদা ৷ মাকে এখানে কুমারী রূপে পুজো করা হয় ৷ তাই মায়ের পাশে লক্ষ্মী, সরস্বতী,গণেশ, কার্তিক কেউ নেই ৷ দু'পাশে শুধু দুই সখী রয়েছেন জয়া ও বিজয়া ৷ নেই মহিষাষুরও । তাই মা এখানে মৃন্ময়ী ৷ মুখে প্রশান্তির ছাপ ৷

দেখুন ভিডিয়ো

সাড়ম্বরে সারাদিন ধরে চলে মায়ের আরাধনা ৷ আশপাশের গ্রামের লোকজনও এসে যোগ দেয় পুজোয় ৷ ঠাকুর দালানে বসে সবাই একসঙ্গে খিচুড়ি ভোগ খায় ৷ একদিনের পুজোতেই মেতে ওঠে ধেনুয়াবাসী ৷

আসানসোল : বাতাসে শিউলির সুবাস ৷ শরতের ভোরে সবাই মহালয়া শোনায় মত্ত ৷ পিতৃপক্ষের শেষ, দেবীপক্ষের শুরু ৷ পুজো আসছে ৷ আপামর বাঙালি আগমনির সুরে মেতে ৷ তখন নিরঞ্জনের সুর শোনা যায় আসানসোলের ধেনুয়া গ্রামে ৷ বোধনের দিনই মায়ের নিরঞ্জন হয়ে যায় এখানে ৷

হীরাপুরের ধেনুয়া গ্রামের কালিকৃষ্ণ আশ্রম । দামোদরের ধারে এই মনোরম আশ্রমেই আয়োজন করা হয় দুর্গাপুজোর । মা এখানে কুমারী রূপে পূজিত ৷ 1937 সালে পুজোর উদ্বোধন করেন কালিকৃষ্ণ সরস্বতী ৷ আশ্রমের সেবাইতরা জানাচ্ছেন, বাংলাদেশ থেকে এখানে এসেছিলেন বাবা ৷ মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে তিনিই এই পুজোর প্রচলন করেন ৷ আশ্রমের কালী ও শিবমন্দিরও তৈরি করেন ৷ এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নেও তাঁর ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য ৷ স্কুলও গড়ে তুলেছিলেন তিনি ৷ মাঝে 1973 সাল থেকে পুজো বন্ধ হয়ে যায় ৷ পরে 1979 সাল থেকে আবার পুজো শুরু হয় ৷

image
দামোদরের তীরে আশ্রম ৷ পাশে শিব ও কালীর মন্দির

এই পুজো একদিনেই হয় ৷ পিতৃপক্ষে বোধন হয় আর দেবীপক্ষে নিরঞ্জন ৷ মহালয়ার আগের রাতে অমাবস্যা লাগলে প্রথমে কালীপুজো করা হয় । কালীপুজোর শেষে ভোরবেলায় নবপত্রিকাকে দামোদরে স্নান করিয়ে নিয়ে আসা হয়৷ মায়ের ঘটও প্রতিষ্ঠা করা হয় ৷ এরপর মহালয়ায় দেবীপক্ষের সূচনায় শুরু হয় মা দুর্গার পুজো । একইদিনে নিয়ম করে সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমী পুজো হয় ৷ এইদিনই প্রতিমার নিরঞ্জন দেওয়া হয় ৷ দেবীর রূপও এখানে আলাদা ৷ মাকে এখানে কুমারী রূপে পুজো করা হয় ৷ তাই মায়ের পাশে লক্ষ্মী, সরস্বতী,গণেশ, কার্তিক কেউ নেই ৷ দু'পাশে শুধু দুই সখী রয়েছেন জয়া ও বিজয়া ৷ নেই মহিষাষুরও । তাই মা এখানে মৃন্ময়ী ৷ মুখে প্রশান্তির ছাপ ৷

দেখুন ভিডিয়ো

সাড়ম্বরে সারাদিন ধরে চলে মায়ের আরাধনা ৷ আশপাশের গ্রামের লোকজনও এসে যোগ দেয় পুজোয় ৷ ঠাকুর দালানে বসে সবাই একসঙ্গে খিচুড়ি ভোগ খায় ৷ একদিনের পুজোতেই মেতে ওঠে ধেনুয়াবাসী ৷

Intro:বাতাসে শিউলির সুবাস, কাশফুলের দোলা, রেডিওতে বিরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের স্তোত্রে যখন বাঙালির দুর্গাপুজোর আমেজ শুরু হয়, তখনই দুর্গাপুজো শেষ হয়ে যায় আসানসোলের হীরাপুরের ধেনুয়াগ্রামে। আবাহনেই যেন বিসর্জন। মহালয়াতেই আগমনী দুর্গা হিসেবে পুজো করে প্রতিমার ভাসান দিয়ে দেওয়া হয়। আর এই একদিনের দুর্গাপুজোয় মেতে ওঠে ধেনুয়া সহ আসেপাশের গ্রামের মানুষজন।
হীরাপুরের ধেনুয়া গ্রামে কালিকৃষ্ণ আশ্রম। দামোদরের ধারে এই মনোরম আশ্রমেই আয়োজন হয় আগমনী দুর্গাপুজোর। মন্দিরের সেবাইতরাই জানালেন আনুমানিক ১৯৩৭ সাল থেকেই এই পুজো হয়ে আসছে। মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজোর প্রচলন হয়েছিল। মহালয়ার আগের রাতে অমাবস্যা লাগলে প্রথমে কালিপুজো করা হয়। কালিপুজোর শেষে ভোরবেলা নবপত্রিকাকে স্নান করিয়ে নিয়ে আসা হয় দামোদরে। নিয়ে আসা হয় মায়ের ঘট। এরপর মহালয়ায় দেবীপক্ষের সুচনায় শুরু হয় মা দুর্গার পুজো। একদিনেই নিয়ম করে সপ্তমী, অষ্টমী, নবনী ও দশমীর পুজো আর্চা হয়। তারপরে প্রতিমার ভাসান দিয়ে দেওয়া হয় এদিনেই। পিতৃপক্ষে বোধন হয় আর দেবী পক্ষে বিসর্জন।
কালীকৃষ্ণ আশ্রমের মা দুর্গার রুপেও পরিবর্তন রয়েছে। যেহেতু দেবী এখানে কুমারী মা, তাই দেবীর সাথে গনেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতীকে দেখা যায়না। তার বদলে জয়া ও বিজয়া দুই সখীকে দেখা যায় মা দুর্গার সাথে। অন্যদিকে মা দুর্গার সাথে নেই মহিষাষুরও। তাই এখানে মায়ের মুখে কোন ক্রুব্ধ ভাব থাকে না। বরঙ মৃন্ময়ী মুর্তির মুখে প্রশান্তির ছাপ।
সারাদিন ধরে পুজো আর্চা সহ ধুমধাম উত্সবে মেতে থাকে এলাকাবাসীরা। আসেন দূরদূরান্তের ভক্তকূলও। ভোগের খিচুড়ি সবাই মিলে বসে ঠাকুর দালানেই খায়। কিন্তু বিসর্জনের পর সবারই মন খারাপ। চারিদিকে যখন পুজোর আমেজ, তখন পুজো শেষ হয়ে গেল ধেনুয়া গ্রামে। সেখানে এখন বিজয়ার করুন সুর।
Body:..Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.