দুর্গাপুর, 11 ডিসেম্বর: চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়ে পড়ুয়ার মৃত্যুর পর আতঙ্কে আবাসিক পড়ুয়ারা ৷ আবাসিক বিদ্যালয় আর আবাসনের হাল ফেরানোর দাবিতে বিদ্যালয়ের মূল প্রবেশদ্বারে তালা দিয়ে চূড়ান্ত আন্দোলনে অভিভাবকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ।
পরীক্ষা শেষে আবাসিক বিদ্যালয় থেকে দোকান, আর দোকান থেকে আবার আবাসিক বিদ্যালয় হয়ে আবাসনে ফেরার পথে চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়ে মৃত্যু হয় কুলটির বছর তেরোর সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়ার। তারপর থেকেই আতঙ্কের মধ্যে আবাসিক পড়ুয়ারা। নিরাপত্তা আর সাফাইয়ের দাবিতে বিদ্যালয়ের ভিতর তালা দিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের আটকে রেখে সোমবার আন্দোলন করলেন অভিভাবকরা।
দুর্গাপুরের ফুলঝড়ে রয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে গড়ে ওঠা পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক বিদ্যালয় আর আবাসন। আর সেই বিদ্যালয়ে রয়েছে 278 জন পড়ুয়া। সেই পড়ুয়ারা থাকে বিদ্যালয়ের আবাসনে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে এই আবাসিক বিদ্যালয় আর আবাসন আতঙ্কের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। চারিদিকে আগাছায় বাড়ছে বিষাক্ত সাপ আর জীবজন্তুর উপদ্রব। চলতি মাসের 1 তারিখ কুলটির এক সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া আবাসিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার পর বাইরের দোকানে গিয়েছিল।
ফেরার পথে আবাসিক বিদ্যালয়ের সামনে চন্দ্রবোড়া সাপে কামড় দেয় ওই নাবালক পড়ুয়াকে ৷ অভিভাবকদের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় পর তাকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে স্থানান্তর করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। চলতি মাসের 6 তারিখ চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় সপ্তম শ্রেণির ওই পড়ুয়ার। তাকে সাপে কামড়ানোর পর 10দিন পেরিয়েছে। কিন্তু আগাছাতেই ঢেকে রয়েছে আবাসন ও বিদ্যালয়।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের 278 জন আদিবাসী পড়ুয়া এই আবাসিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। এই মৃত্যুর পর মৃত্যু আতঙ্কে পড়ুয়ারা। অনেক পড়ুয়াদের ইতিমধ্যেই হস্টেল থেকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন অভিভাবকরা। দ্রুত হাল ফিরুক বিদ্যালয় আর আবাসনের এই দাবি তুলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আটকে রেখে আবাসিক বিদ্যালয়ের মূল প্রবেশদ্বারে তালা বন্ধ করে আন্দোলনে নামলেন অভিভাবকরা। বিদ্যালয়ে আর আবাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সাবর্ণি সেনশর্মা জানান, খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছেন কিন্তু তাঁরাও গুরুত্ব সহকারে দেখছে না। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক অনগ্রসর সম্প্রদায় কল্যাণ দফতর চাইছেন তাঁরাও।
আরও পড়ুন: