দুর্গাপুর, 26 নভেম্বর: তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ নেতারা কি কোণঠাসা ? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সেনাপতি হওয়ার পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গীরা কি ব্রাত্য ? এমন একাধিক প্রশ্ন বহুদিন ধরেই ঘোরাফেরা করছে তৃণমূলের অন্দরে ৷ আর তাতে ঘৃতাহুতি দিয়েছে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের এক বিতর্কিত সাক্ষাৎকার ৷ সেই বিতর্কের বেলুনে এবার ছুঁচ ফোটানোর চেষ্টা দিলীপ ঘোষের ৷ প্রবীণ এই বিজেপি সাংসদের খোঁচা, ‘‘যুবরাজের তর সইছে না ৷ তাই পুরনো রাজাকে সরিয়ে, নতুন রাজা হবে ৷’’
পুরো রাজা বলতে যে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বুঝিয়েছেন, তা স্পষ্ট ৷ আর যুবরাজ তথা নতুন রাজার ইঙ্গিত অবশ্যই অভিষেক ৷ কিন্তু, এই মন্তব্য হঠাৎ করে আসেনি ৷ দিন দু’য়েক আগে এক বাংলা সংবাদমাধ্য়মকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কুণাল ঘোষ বলেন, তৃণমূলে পুরনোদের সরিয়ে নতুনদের জায়গা করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন ৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদল স্বাভাবিক, এই ছিল তাঁর বক্তব্য ৷ কিন্তু, এখানেই বিতর্কের সূত্রপাত ৷ তবে, কি মমতাকেও সরে যেতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষপদ থেকে ? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কি তবে, দ্বিতীয় থেকে প্রথম হওয়ার জন্য মরিয়া ?
এই বিতর্কেই এবার দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘ওদের দলে পরিবর্তন হচ্ছে ৷ নতুন তৃণমূল তৈরি হবে ৷ দেখুন কেমন হয় ! পুরনোরা সবাই ক্ষুব্ধ, যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একসময় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দলটা দাঁড় করিয়েছিলেন ? কিন্তু, আজ তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷’’
এখানেই সাংবাদিকরা পালটা প্রশ্ন করেন, তাহলে কি এবার মমতা বনাম অভিষেক ? দিলীপের জবাব, ‘‘হতেই পারে ৷ যুবরাজের আর তর সইছে না ৷ আমরা আগেও দেখেছি উত্তরপ্রদেশে মুলায়ম সিং যাদবকে সরিয়ে তাঁর ছেলে অখিলেশ ক্ষমতায় এসেছে ৷ ভারতের ইতিহাসে এমন উদাহরণ অনেক রয়েছে ৷ ঔরঙ্গজেব তাঁর বাবা শাহাজাহানকে বন্দি করে রাজা হয়েছিলেন ৷ এখানেও পুরনোকে বন্দি করে নতুন রাজা হতেই পারে ৷ দেখা যাক কি হয় ৷’’
আরও পড়ুন: