আসানসোল, 4 ফেব্রুয়ারি : বড় মঞ্চ করা হয়েছিল । সামনে পাতা হয়েছিল চেয়ার । সাজানো সভায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর (BJP Leader Suvendu Adhikari) জন্য বিরাট আয়োজন । অথচ সভায় লোক নেই । এমনকি শুভেন্দু অধিকারী পৌঁছে যাওয়ার পরেও সভাস্থল কার্যত ফাঁকা । ইতিউতি ছড়িয়ে আছেন কয়েকজন বিজেপি সমর্থক । প্রায় 15 মিনিট শুভেন্দু গাড়ি থেকে নামলেন না । শেষে অন্য ওয়ার্ডের কর্মী-সমর্থকরা এসে সামান্য ভিড় বাড়ালেন এবং তাঁদের সামনে বক্তব্য রাখলেন এই বিজেপি নেতা ৷ বৃহস্পতিবার রাতে এই চিত্র ধরা পড়েছে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের খাসতালুক আসানসোলের 51 নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মপল্লি এলাকায় ৷
আসানসোল পৌরনিগমের নির্বাচন আগামী 12 ফেব্রুয়ারি ৷ সেই উপলক্ষ্যে এখানকার কিছু ওয়ার্ডে প্রচার কর্মসূচি রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর ৷ বৃহস্পতিবার বিজেপি'র তরফে তেমনই একটি প্রচার সভার আয়োজন করা হয়েছিল আসানসোলের 51 নম্বর ওয়ার্ডে ধর্মপল্লি মাঠে । এখানকার 50 ও 51 নম্বর ওয়ার্ড মলয় ঘটক এবং তার ভাই অভিজিৎ ঘটকের খাসতালুক বলে চিহ্নিত আসানসোলে ।
আরও পড়ুন : 108 পৌর নির্বাচন নিয়ে জেলাশাসক ও এসপিদের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন
বৃহস্পতিবার দেখা যায়, সভাস্থলের আশেপাশে তৃণমূল কর্মীরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন, অথচ বিজেপি কর্মীদের দেখা নেই । এমনকি শুভেন্দু অধিকারী সভাস্থলে চলে এলেও সেখানেও প্রথমে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দেখা যায়নি । যদিও শেষ পর্যন্ত সামান্য কিছু কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে সভা শুরু হয় । জিতেন্দ্র তিওয়ারি মঞ্চে উঠে বলেই ফেললেন, "শুধু বিজেপি সমর্থক নয়, আশেপাশে ঘোরাঘুরি করা তৃণমূল সমর্থকদেরও ধন্যবাদ জানাই তাঁরাও শুভেন্দুদার বক্তব্য শুনতে এসেছে ।" বিজেপির অভিযোগ, এলাকার তৃণমূল কর্মীদের হুমকির জেরেই এলাকার মানুষ এদিন এই সভায় বেশি আসেননি ৷ শুভেন্দু এদিন বক্তব্য রাখতে মঞ্চে উঠেই আক্রমণ করেন মলয় ঘটক ও তার ভাই অভিজিৎ ঘটককে ৷ নাম না করে তিনি মলয় ঘটককে কয়লামন্ত্রী বলে ব্যঙ্গ করে বলেন "ওই কয়লামন্ত্রীর ভাইয়ের কান পর্যন্ত এই কথাটা পৌঁছানো দরকার । চারবার ইডি হয়ে গিয়েছে । বেশিদিন বাইরে থাকবেন না । নিশ্চিন্ত থাকুন । এসব মাতব্বরি আমি অনেক দেখেছি । লক্ষ্মণ শেঠ'কে সোজা করার লোক তো আমি । অভিজিৎ ও তাঁর দাদা যে কোম্পানির কর্মচারী টিএমসি প্রাইভেট লিমিটেড, তার যে মালিক রয়েছে সে নন্দীগ্রামের 1956 ভোটে আমার কাছে হেরেছে । মালিককে হারিয়েছি । কর্মচারীরা বেশি খেলাধুলা করবেন না । মিটিং করতে পারবেন না? সভা করতে পারবেন না? আটকাতে পারলেন নাকি? 10 মিনিট গাড়িতে বসে আছি, একটা গ্রিন'টি খেয়েছি মাত্র, মাঠ ভরে গেছে ।"