দুর্গাপুর ,12 মে: "দুর্গাপুরে এখনই কোনও এলাকাকে কনটেনমেন্ট জ়োন হিসেবে ঘোষণা করা হবে না । পশ্চিম বর্ধমানের পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে আছে ।" গতকাল সন্ধেয় একথা জানান পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি । তবে দুর্গাপুরের কোরোনা আক্রান্ত দুইজনের বাড়ির সামনে আজ প্রায় 200 মিটার এলাকায় বাঁশের অস্থায়ী ব্যারিকেড দিয়ে দেওয়া হয় দুর্গাপুর থানার পুলিশের তরফে ।
রবিবার দুর্গাপুরের দু'জন কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যায় । প্রশ্ন ওঠে, তাঁদের বাড়ি দুর্গাপুরের যে এলাকায় সেখানটা কি কনটেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করা হবে ? গতকাল সন্ধেয় দুর্গাপুর স্টেশন পরিদর্শনে আসেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি । তখনই তিনি জানান, "পশ্চিম বর্ধমান জেলার পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে আছে । দুর্গাপুরের বিষয়ে আমরা জেনেছি । কিন্তু এখনই দুর্গাপুরের কোনও নির্দিষ্ট এলাকাকে কনটেনমেন্ট এলাকা বলে চিহ্নিত করা হবে না ।"
রবিবার দুর্গাপুর থানা এলাকার 79 বছরের এক বৃদ্ধ ও 65 বছরের এক প্রবীণ COVID-19-এ আক্রান্ত বলে জানা যায় । তাঁরা দু'জনেই অন্যান্য শারীরিক অসুবিধাজনিত কারণে দুর্গাপুরের গান্ধি মোড়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন 6 মে । এই দু'জনের সোয়াবের নমুনাা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয় । সেই রিপোর্ট COVID-19 পজ়িটিভ আসে । এরপরেই তড়িঘড়ি তাঁদের কাঁকসার মলানদিঘিতে COVID হাসপাতালে পাঠানো হয় । দু'জনের বাড়ির সামনেই পুলিশ পিকেট বসানো হয় । গতকাল সন্ধেয় তাঁদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ইঞ্জিনিয়ার্স হস্টেলের কোয়ারানটিন সেন্টারে রাখা হয় । মঙ্গলবার সকালে ACP ( পূর্ব) স্বপন দত্ত ও দুর্গাপুর থানার অফিসার-ইন-চার্জ রাজশেখর মুখোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দু'জনের বাড়ির সামনে প্রায় 200 মিটার এলাকা বাঁশের বেড়া দিয়ে অস্থায়ীভাবে ঘিরে দেওয়া হয় ।
তবে জেলাশাসকের কথায় আপাতত স্বস্তি শিল্পাঞ্চলের মানুষদের । কারণ পশ্চিম বর্ধমান জেলার পরিস্থিতি যে উদ্বেগজনক নয়, তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি । সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের পক্ষ থেকে বারংবার সোশাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে । আবেদনে কাজ না হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ ।