আসানসোল, 13 নভেম্বর : লোহার শিক ঘেরা কুয়ো । তার মধ্যে নাকি রয়েছে লক্ষাধিক প্রেত । নাম প্রেতকুয়ো । আর তারপাশেই রয়েছে কালী মন্দির । এই প্রেতকুয়ো আর কালী মন্দির রয়েছে আসানসোলের কালিপাহাড়ি এলাকার প্রদীপ বাবার আশ্রমে । আর এই প্রেতকুয়োকে ঘিরে রয়েছে একাধিক মিথ ।
প্রদীপ বাবার দাবি, এই কুয়োতেই নাকি ভূতেরা কোয়ারানটিনে রয়েছে । সেবিষয়ে অবশ্য গুরুত্ব দেননি বিজ্ঞানকর্মীরা । প্রায় বছর চল্লিশেক আগে প্রদীপ বাবার আশ্রম ও কালী মন্দির গড়ে উঠেছিল । প্রতিবছর ধূমধাম করে হয় কালীপুজো । সঙ্গে অগ্রহায়ণ মাসেও হয় বিরাট পুজো ।
প্রদীপ বাবার আশ্রমের শ্মশান কালীর মূর্তি । ভয়ানক এই মূর্তি দেখলেই গায়ে কাটা দেয় । মূর্তির গায়ে খেলা করে পায়রা । এছাড়া গোটা আশ্রম জুড়ে রয়েছে অসংখ্য মূর্তি । আর প্রেতকুয়োর উপরে লোহার শিক আটকানো । লাল শালু বাঁধা রয়েছে । এই কুয়োর জল কেউ ব্যবহার করেন না ।
স্থানীয়দের বিশ্বাস এই কুয়োতে পিণ্ডদানের মধ্যে দিয়ে প্রেতদের শান্তি কামনা করা হয় । পিণ্ডদানের মাধ্যমে প্রদীপ বাবা প্রেতদের গয়া কাশি পাঠান । তারা কুয়োতে শান্তিতেই রয়েছে । তাদের কেউ বিরক্ত করে না । অবশ্য প্রদীপ বাবা কুয়োয় প্রেত বন্দী রাখার বিষয়টি নিজেও মানেন না । তাঁর দাবি, প্রেতরা যখন ইচ্ছা তখন কুয়ো থেকে বের হয় । তাদের কখনও স্বর্গে কখনও দূরে কোথাও পাঠিয়ে দেওয়া হয় ।
তবে এবিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞানমঞ্চের রাজ্য কাউন্সিলের সদস্য কিংশুক মুখোপাধ্যায় বলেন, "আমরা গল্পটা জানি । কিন্তু উনি যেহেতু কোনও ব্যবসা করছেন না, তাই আমরা বিষয়টিকে নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করছি না । যদি দেখি উনি ব্যবসা করছেন তাহলে তারজন্য় উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব ।"