দুর্গাপুর, 27 মে: দুই বোন-সহ সিভিক ভলান্টিয়ার দাদার অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার । শনিবার সকালের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার লস্করবাঁধ এলাকায়। ঘটনাস্থলে দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার পুলিশ। ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম মঙ্গল সোরেন 33 । দুই বোনের নাম সুমি সোরেন (35) ও বাহামণি সোরেন (23), ।
সুমি সোরেন কলকাতায় নার্সিংয়ের কাজ করতেন ৷ অন্যজন বাড়িতেই থাকতেন। সম্প্রতি মঙ্গল সোরেনের বিয়েও ঠিক হয়েছিল। দাদার বিয়ে দেওয়ার জন্য বোন সুমি সোরেন বাড়ি ফিরেছিলেন। শনিবার সকালে বৃদ্ধ বাবা হফনা সোরেন বাড়ি ফিরে এসে দেখেন দরজা ভিতর থেকে লাগানো রয়েছে । তা থেকে ধোঁয়াও বেরোচ্ছে।
তা দেখতে পেয়েই হফনা সোরেন শাবল দিয়ে দরজা ভাঙেন। তারপরই দেখেন দুই মেয়ে ও ছেলে অগ্নিদগ্ধ হয়ে পড়ে আছে। খবর দেওয়া হয় দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে তিনজনকে উদ্ধার করে। মঙ্গল সোরেনের দেহের বেশিটাই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বলে খবর । ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। দুই বোনকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসকরা তাঁদেরও মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কিন্তু কী কারণে এই মৃত্যু? তা নিয়ে ধন্ধে আত্মীয়, প্রতিবেশী থেকে পরিজনরা। মঙ্গল সোরেনের বিয়ের জন্য সমস্ত কিছুই ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছিল। আগামী রবিবার পাত্রীপক্ষ আসার কথা। প্রতিবেশী সুন্দরী মুর্মু বলেন, "বাড়িতে কোনও ঝামেলাই ছিল না। মঙ্গলের দিদি কলকাতায় কাজ করে। সে বাড়ি ফিরে এসেছিল ভাইয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য। সে বলেছিল ভাইয়ের বিয়ে দিয়ে তবেই সে কাজে যোগ দেবে। কিন্তু কীভাবে কী হল কিছুই বুঝতে পারছি না।"
আরও পড়ুন: ধানবাদের হাসপাতালে আগুন পুড়ে মৃতদের মধ্যে গোঘাটের 3
মৃত তিন সন্তানের বাবা বলেন, "ভোরবেলায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম ৷ বাড়ি ফিরে দেখি ঘরের ভিতর থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। এরপর শাবল দিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে দেখি তিনজন পড়ে আছে। প্রতিবেশীদের খবর দিতে তারাই পুলিশকে খবর দেন।" কিন্তু তিনজন একসঙ্গে কীভাবে ঘরের মধ্যে অগ্নিদগ্ধ হল তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার পুলিশ ঘটনা তদন্তে নেমেছে।