দুর্গাপুর, 30 জুলাই : দুর্গাপুরের এক চিকিৎসকের আ্যকাউন্ট থেকে উধাও লক্ষাধিক টাকা । দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালের চিকিৎসক গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডলের অভিযোগ, অনলাইন কেনাকাটার জন্য তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে দফায় দফায় টাকা তোলা হলেও মোবাইলে সেই সংক্রান্ত কোনও মেসেজ আসেনি । কিন্তু হঠাৎ একদিন ব্যাঙ্ক থেকে মেসেজ আসে, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে 23 হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে । এরপর নিশ্চিত হওয়ার জন্য ব্যাঙ্কে গিয়ে নিজের পাসবই আপডেট করাতেই চক্ষু চড়কগাছ গোবিন্দবাবুর ।
দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালের চিকিৎসক গোবিন্দবাবু দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর A জ়োন গুরুনানক রোডের ইস্পাত আবাসনের বাসিন্দা । তিনি বেনাচিতি শাখার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহক । গোবিন্দবাবুর অভিযোগ, জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে তাঁর মোবাইলে একটি মেসেজ আসে । তাতে বলা হয়, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে 23 হাজার টাকা তোলা হয়েছে । তৎক্ষণাৎ তিনি ব্যাঙ্কে যান । ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে জানান যে তিনি ওই টাকা তোলেননি । গোবিন্দবাবুর অভিযোগ, ব্যাঙ্কে গিয়ে বললেও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ একবারে তাঁর পাসবই আপডেট করে দেয়নি ।
এরপর পাসবই আপডেট করিয়ে গোবিন্দবাবু দেখেন, তিনি তাঁর মেয়ের জন্য মে-জুন মাসে এক লাখ টাকা তোলার পরপরই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন অনলাইন বিপণি সংস্থা থেকে একাধিক জিনিসের দাম মেটানো হয়েছে । যার কোনও মেসেজই তাঁর মোবাইলে আসেনি বলে দাবি ওই চিকিৎসকের । তিনি জানান, লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী কেনা হয়েছে তাঁর অ্যাকাউন্টের টাকা দিয়ে ।
এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গোবিন্দবাবু ব্যাঙ্কের কাছে এবং আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম বিভাগে লিখিত অভিযোগ জানান । অভিযোগ জানানোর পরও কিছু প্রশ্ন ভাবাচ্ছে গোবিন্দবাবুকে । কেন তাঁর মোবাইলে কোনও মেসেজ আসেনি? ব্যাঙ্কের কর্মীরাই বা কেন প্রথমে তাঁর পাসবই আপডেট করতে চাননি ? এসব প্রশ্নের মনে রেখে এখন পুলিশ ও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ কি ব্যবস্থা নেয় সেদিকেই তাকিয়ে গোবিন্দবাবু ।