অন্ডাল, 15 মে: বাংলার পড়ুয়াদের "সবুজ সাথী" এখন পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার বাহন। তার উপর সাইকেলে স্কুলের মতো ব্যাগ, পরনে নীল-সাদা পোশাক! মুখ ঢাকা মাস্কে। একঝলক দেখলে মনে হবে কোনও স্কুল পড়ুয়া চলছে জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে। না, এরা আসলে পরিযায়ী শ্রমিক। বর্ধমানের কেতুগ্রাম থেকে রওনা দিয়েছেন বিহারের উদ্দেশে। লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার বাহন হিসেবে রাজ্যের পড়ুয়াদের বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া "সবুজ সাথী" সাইকেল চড়া দামে বিকোচ্ছে।
পরিযায়ী শ্রমিকরা জানাচ্ছেন, লকডাউনে হেঁটে ঘরে ফেরার চেয়ে সাইকেলে ফেরা অনেক দিক থেকেই সুবিধাজনক। প্রথমদিকে পরিযায়ী শ্রমিকরা যে সাইকেল চেপে ভিনরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন তা প্রশাসন বুঝতেও পারেনি। অপরপক্ষে, পায়ে হেঁটে যেতে গেলে পুলিশের নজরে পড়ার সম্ভাবনা থাকেই। তারপর ঠাঁই হয় কোয়েরানটিন সেন্টারে। অন্যদিকে সাইকেলে যাওয়া তুলনামূলক আরামদায়কও। এমত অবস্থায় ভাঙা, লজঝড়ে সাইকেলও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। এবার দেখা গেল পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরছেন রাজ্যের পড়ুয়াদের দেওয়া মুখ্যমন্ত্রীর "সবুজ সাথী" সাইকেল চেপেও। যুবক পরিযায়ী শ্রমিকদের পোশাক আবার একেবারে স্কুল পড়ুয়াদের মতো। উদ্দেশ্য প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে যতটা সম্ভব কম বাধায় গন্তব্যে পৌঁছানো। গতকাল পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম থেকে বিহারের উদ্দেশে রওনা দেওয়া 12 জন শ্রমিককেই দেখা গেল 2 নম্বর জাতীয় সড়কে সাইকেলে সওয়ার। পড়ুয়াদের কাছ থেকে সাইকেলেগুলি চড়া দামে কিনতে হয়েছে বলে জানালেন ওই পরিযায়ী শ্রমিকরা।
বিহারের বাসিন্দা মোহাম্মদ সাবির আলম বলেন, পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামে কারখানায় কাজ করতে এসেছিলাম। লকডাউনে কারখানা বন্ধ। জমা পুঁজি দিয়ে দিন কাটছিল। বাধ্য হয়ে গ্রামের ছাত্রদের কাছ থেকে চড়া দামে সাইকেল কিনে বাড়ি ফিরছি।