আসানসোল, 4 মার্চ : আসানসোলের বহুতল আবাসন প্রকল্প সৃষ্টিনগর এলাকায় লোপাট হয়ে গিয়েছে গাঁড়ুই নদী। আসানসোলের এই প্রাচীন নদী রূপান্তরিত হয়েছে ছোট নালাতে। পরিদর্শনে বেরিয়ে এমন চিত্র দেখে অবাক হয়ে গিয়েছেন আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক-সহ অন্যান্য পৌরকর্তারা। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।
কয়েক মাস আগেই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল আসানসোল শহরে। অভিযোগ উঠেছিল গাঁড়ুই নদী জবরদখলের ফলে নদীর গতিপথ অবরুদ্ধ হয়েছে। আর তাই অতিবর্ষণের ফলে নদীর জল ছাপিয়ে প্লাবিত হয়েছে গোটা আসানসোল। পৌরভোটের আগে সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রধান ইস্যু ছিল গাঁড়ুই নদীর সংস্কার। আর তাই মেয়রের চেয়ারে বসার পরেই বিধান উপাধ্যায় গাঁড়ুই নদী-সংস্কারের জন্য উদ্যোগী হন (Garui River Ttheft) ৷
আরও পড়ুন : Asansol Municipal Corporation : সবসময় খোলা থাকবে অফিসের দরজা, আসানসোলের মেয়রের অভিনব সিদ্ধান্ত
এদিন সেইমতো বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। আসানসোল সৃষ্টিনগর আবাসন এলাকায় যেখানে তাঁর নিজস্ব আবাসন সেখানে গিয়ে নির্মীয়মাণ বহুতলের কাছে গিয়ে তিনি দেখতে পেলেন কার্যত অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ লোপাট হয়ে গিয়েছে গাঁড়ুই নদী। সেই নদী রূপান্তরিত হয়েছে ছোট নালায়। এমনকি পাইপ দিয়ে নদীর গতিপথকেও অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নদীর দু'পাশে জবরদখল করে চলছে বহুতলের নির্মাণ।
এমন দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন পৌরকর্তারা ৷ মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, "আমরা অবিলম্বে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব বিভাগ থেকে নদী কতটা চওড়া এবং নদীর গতিপথ সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য নেব। যেখানেই বেআইনি কিছু প্রমাণ হবে, কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
আরও পড়ুন : Asn Councillor's Oath : কাগজ উল্টো ধরেই শপথ কাউন্সিলরের !
একই সুরে কথা বলেছেন আসানসোল পৌরনিগমের ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক। তিনি বলেন, "নদীর দু'পাশ থেকে জবরদখলকারীদের হঠানো হবে। নদীকে পুনরায় আগের চেহারায় ফেরানো হবে।"
পৌরকর্তাদের এই তোড়জোড় দেখে খুশি এলাকার মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা অনিমেষ দাস জানান, বর্ষাকালে আমাদের খুব চিন্তায় রাত্রিযাপন করতে হয়। বন্যার জলে প্রায় একতলা ঘর পর্যন্ত ভেসে যায়। বিপদ নিয়ে আমরা বসবাস করি। এবার মনে হচ্ছে কিছু একটা সুরাহা হবে।