আসানসোল, 27 নভেম্বর: কোভিড ভ্যাকসিনের (Covid Vaccine) প্রথম ডোজ নিয়েছেন 19 লক্ষ মানুষ, দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন 8 লক্ষ 68 হাজার। নির্দিষ্ট সময় হয়ে গেলেও দ্বিতীয় ডোজ নিতে আসেননি 1 লক্ষ 12 হাজার মানুষ। এমনই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা থেকে।
কেন করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পরেও দ্বিতীয় ডোজ নিতে আসছেন না মানুষ, তা নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়েছে জেলা স্বাস্থ্যকর্তাদের। ইতিমধ্যেই নামের তালিকা তৈরি করে আশা কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পাঠানো হচ্ছে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজে (Second Dose of Corona Vaccine) প্রাপকদের টিকা শিবিরে নিয়ে আসার জন্য।
মাস কয়েক আগেও কিন্তু চেহারাটা ছিল অন্য। রাত জেগে মানুষজন ভ্যাকসিনের জন্য লাইন দিয়েছেন, এমনকি ভ্যাকসিন না পেয়ে বিক্ষোভ, অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটছে ৷ কিন্তু এখন সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। ভ্যাকসিন নিয়ে বসে আছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা, রেজিস্ট্রেশন করানোর জন্য ল্যাপটপ নিয়ে বসে আছেন পৌরকর্মীরা। কিন্তু ভ্যাকসিন প্রাপকদের দেখা নেই। ভ্যাকসিন নিতে আসছেন না কেউ। প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রেই বেশিরভাগ অনীহা দেখা যাচ্ছে।
এবিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মহম্মদ ইউনুস বলেন, "অনেকেই হয়তো ভয় পাচ্ছেন ভ্যাকসিন নিতে। কেউ কেউ অন্যত্রও চলে গিয়ে থাকতে পারেন। আবার অনেকেই ভাবছেন টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর সংক্রমণের ভয় যেহেতু কিছুটা কম তাই আর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার প্রয়োজন নেই । মানুষের সাহস বেড়েছে তাই দ্বিতীয় ডোজ নিতে আসছেন না। তবে এটা আশঙ্কার কারণ। কারণ, ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ না নিলে করোনার হার আবার বাড়তে পারে।" জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে ইতিমধ্যেই যাঁরা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেননি, তাঁদের নামের তালিকা তৈরি করে আশা কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পাঠানো হচ্ছে ৷ দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারও করা হচ্ছে। এতে অবশ্য কিছুটা ফল মিলছে ৷ অনেকেই দ্বিতীয় ডোজ নিতে আসছেন বলে জানিয়েছেন পৌরনিগমের স্বাস্থ্যকর্মীরা।