দুর্গাপুর, 2 নভেম্বর: সংস্কারের অভাবে জলের চাপে বেঁকে গেল দুর্বল সেচ ক্যানেলের লকগেট ৷ তার জেরেই দুশ্চিন্তায় চাষীরা । যদিও দ্রুত লকগেট মেরামতির আশ্বাস দিয়েছে সেচ বিভাগ । বৃহস্পতিবার সকালে দুর্গাপুরের দামোদর ব্যারেজের বর্ধমান সেচ ক্যানেলের 5 নম্বর লকগেট থেকে হু হু করে জল বের হতে দেখেন স্থানীয়রা । সামনে যেতেই বুঝতে পারেন লকগেট বেঁকে যাওয়াতেই এই বিপত্তি । খবর দেওয়া হয় সেচ বিভাগের আধিকারিকদের ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সংস্কারের অভাবে জং পড়েছে লকগেটগুলিতে । আর সেই জন্য ঠিকমতো ওঠা নামাও করে না গেটগুলি । ফলে ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে ক্যানেলের গেটগুলি । বর্ধমান সেচ ক্যানেলে রয়েছে 6টি লকগেট । স্থানীয়দের আশংকা, শুধু একটাই নয়, সব লকগেটগুলিই ভেঙে যেতে পারে যে কোনও সময় । এই সেচ ক্যানেলের উপর ভরসা করেই আমন ও বোরো ধান রোপণ হয় বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকায় । আমন ধান কাটার সময় হঠাৎ এই বিপত্তির জেরে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে চাষীদের কপালে ।
যদিও এই বিষয়ে সেচ বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার চিত্তরঞ্জন সোরেন বলেন, "5 নম্বর লকগেটটি বেঁকে গিয়েছে আর সেই জন্যই জলের চাপ কমাতে অন্যান্য লকগেটগুলির সামান্য করে অংশ খুলে দেওয়া হয়েছে । দুর্গাপুরের দামোদর ব্যারেজ থেকে বর্ধমান সেচ ক্যানেলে জল পাঠানোর জন্য দুর্গাপুর ব্যারেজের 8টি লকগেট রয়েছে । সেই লকগেটগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । সেখান থেকে বর্ধমান সেচ ক্যানেল পর্যন্ত জমা জল বেরিয়ে গেলেই বেঁকে যাওয়া লকগেট মেরামতের কাজ শুরু হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন ।"
সুরজিৎ প্রামাণিক নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, "দীর্ঘদিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না সেচ ক্যানেলের এই লকগেটগুলির । ডিভিসি কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিচার করে দেখতে হবে । এখন জল বেরিয়ে যাচ্ছে । এই জল মূলত চাষের কাজে ব্যবহার হয় । জল বেরিয়ে গেলে পরে চাষের কাজে জল সংকট দেখা দিতে পারে । চাষীরা বিপাকে পড়তে পারেন ।"
মূলত, দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে দুটি সেচ ক্যানেল বের হয়েছে একটি বর্ধমানের দিকে (বিসি) আর এবং অন্যটি বাঁকুড়ার দিকে (এলবিসি)। বর্ধমানের দিকের এই লগ গেট ভেঙে যাওয়ার কারণে বিপত্তি দেখা দিল বলা যায় । কত দ্রুত কীভাবে এই গেট বদল করা যায় এখন সেটাই দেখার ।
আরও পড়ুন : দুর্গাপুর ব্যারেজের 4 লকগেটের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ, জানালেন বিজেপি সাংসদ আলুওয়ালিয়া