দুর্গাপুর, 17 জুলাই : কোরোনা আক্রান্তের খবর মিলতেই সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছেন দমকল কর্মীরা ৷ দ্রুত করা হচ্ছে স্যানিটাইজ়েশনের কাজ ৷ যে বাড়িতে কোরোনা সংক্রমণের খবর মিলেছে সে বাড়ি তো বটেই, আশেপাশের এলাকা পর্যন্ত স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে দমকলের তরফে ৷ দমকল বাহিনীর তৎপরে সন্তুষ্ট দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা ৷
উল্লেখ্য, পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে প্রতিদিন কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে ৷ কোরোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই দুর্গাপুরের মহকুমা শাসকের নির্দেশমতো সেই এলাকাকে জীবাণুমুক্ত করার কাজে ছুটে যাচ্ছেন দমকল কর্মীরা ৷ সকাল হোক বা সন্ধ্যে, দমকল কর্মীরা সবসময় সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেছেন এই এলাকায় ৷ সংক্রমিত বাড়ি স্যানিটাইজ়েশন করা হচ্ছে হাইপোক্লোরাইড ও জলের মিশ্রণ দিয়ে ৷ সংক্রমিত বাড়ির বাইরের অংশ, রাস্তাঘাট, এমনকি বাড়ির সামনে কোনও ফাঁকা মাঠ থাকলেও তা স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে ৷ শুধু দমকল দপ্তরের পক্ষ থেকেই নয় । এই কাজের জন্য দুর্গাপুর নগর নিগমের পক্ষ থেকে দুটি ট্যাংকার কেনা হয়েছে । দুর্গাপুর নগর নিগমের পক্ষ থেকেও জীবাণুমুক্ত করার কাজ করা হচ্ছে । দমকল দপ্তর ও দুর্গাপুর নগর নিগমের এই কাজে খুশি কোরোনা আক্রান্ত রোগীদের এলাকায় থাকা অন্যান্য বাসিন্দারা ।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, "পাড়াতে কেউ কোরোনা আক্রান্ত হলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েতেন তাঁরা ৷ কিন্তু গোটা এলাকাকে জীবাণুমুক্তকরণের কাজ করা হচ্ছে ৷ এমনকি আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য প্রশাসনিক কর্তারা প্রচারও করছেন ৷ "
দুর্গাপুর অগ্নিনির্বাপক কেন্দ্রের আধিকারিক শান্তি রায় বলেন, "মহকুমা শাসক আমাদের যেমন গাইড করছেন আমরা সেই মতো কাজ করে চলেছি । কোরোনা মোকাবিলার জন্য একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ করা হয়েছে । সেখানে আমাদের নির্দেশিকা দেওয়া হচ্ছে । দ্রুত সেই নির্দেশিকা পালন করা হচ্ছে । সকাল হোক কিংবা সন্ধ্যা, দমকলকর্মীরা তৈরি । মহকুমা প্রশাসকের থেকে নির্দেশ পাওয়া মাত্রই আমরা সেই এলাকাগুলোতে পৌঁছে যাচ্ছি । যদি কোথাও কোরোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে । তাহলে শুধু তাঁর বাড়ি নয় । আশপাশের সমস্ত বাড়ির বাইরের অংশগুলোর রাস্তাঘাট সমস্ত কিছুকে জীবাণুমুক্ত করার কাজ করা হচ্ছে । সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড মহাকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে ।" দুর্গাপুর নগর নিগমের স্বাস্থ্য দপ্তরের মেয়র পরিষদ সদস্য রাখি তেওয়ারি বলেন, "প্রথমে আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে দমকল দপ্তরের সহযোগিতায় দুর্গাপুরের বিভিন্ন বাজার হাট জনবহুল এলাকাগুলোকে জীবাণুমুক্ত করার কাজ করছিলাম । কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে আমরা দুটি স্যানিটাইজা়র এর সুবিধা যুক্ত ট্যাংকার কিনেছি । এখন আমরা সেই ট্যাংকার দুটি দিয়ে শুধু দুর্গাপুর পৌরসভা এলাকা নয় তার বাইরেও গ্রামীণ এলাকাগুলিতে জীবাণুমুক্ত করার কাজ করা হচ্ছে।"