কাঁকসা, 6 মার্চ: দোল উৎসবের আগের দিন প্রতিবাদে সামিল এলাকার মহিলারা ৷ এই প্রতিবাদ শিল্প-দূষণের বিরুদ্ধে (Protest Against Pollution) ৷ ঘটনাস্থল পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা (Kanksa) থানা এলাকার বাঁশকোপা শিল্প তালুক (Banskopa Industrial Area) ৷ সোমবার সকাল থেকেই এলাকার একটি ইস্পাত কারখানার ফটক বন্ধ করে চলে ঘেরাও কর্মসূচি ৷ তার জেরে কারাখানার শ্রমিকরাও ভিতরে আটকে পড়েন ৷ বিক্ষোভকারীদের সাফ কথা, দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী সমাধানসূত্র বের করা না-হলে তাঁদের কর্মসূচি চলবে ৷
ক্য়ালেন্ডারে বসন্তের আগমন ঘটেছে নিয়ম মেনে ৷ বসন্তের প্রকাশ ঘটছে গাছের নতুন পাতা আর নানা রঙের ফুলের সম্ভারে ৷ কিন্তু, সেই দৃশ্য-সুখ বাঁশকোপা শিল্প তালুকের আশপাশে পাওয়া যাবে না ৷ এখানকার অধিকাংশ গাছের পাতাই ফ্যাকাসে ৷ গাছে গাছে ফুল ফুটলেও রঙের তেমন চমক নেই ৷ বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার কারখানাগুলি থেকে লাগাতার দূষণ ছড়াচ্ছে ৷ তার জন্যই নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য ৷ যার জেরে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্য়ে রোগ, ব্যাধি বাড়ছে ৷ নষ্ঠ হচ্ছে মাঠের ফসল ৷ পুকুর, জলাশয়ে মরছে মাছ ৷ কিন্তু, এই বিষয়ে কারখানাগুলির কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি ৷ তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই আন্দোলনে সামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এলাকার মহিলারা ৷
আরও পড়ুন: ক্রমশ দূষিত হচ্ছে গ্রামীণ ভারত ! আইআইটি খড়্গপুরের রিপোর্টে উদ্বেগ
বাসিন্দাদের অভিযোগ যে সঠিক, তা মানছেন কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ গণেশচন্দ্র মণ্ডল ৷ তিনি মনে করেন, অনেক আগেই এ নিয়ে প্রতিবাদ হওয়া উচিত ছিল ৷ গণেশ জানান, এদিন যে কারখানার গেট আটকে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, তাদের সঙ্গে শিল্প-দূষণ নিয়ে বহুবার কথা বলা হয়েছে ৷ কিন্তু, তারা এলাকাবাসীর সমস্য়ায় কর্ণপাত করেনি ৷ যদিও সংশ্লিষ্ট কারখানার ম্য়ানেজার অশোক সিং দাবি করেন, বৃষ্টির অভাবে দৃষণ বাড়ছে ! চাপের মুখে দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দেন তিনি ৷ তবে, এই আশ্বাসে ভুলতে রাজি নন প্রতিবাদীরা ৷ তাঁদের দাবি, সমস্য়ার স্থায়ী সমাধান ৷