অন্ডাল, 20 জুন : গভীর রাতে অন্ডালের জামবাদ কয়লা খনি সংলগ্ন বেনিয়াডি এলাকায় ধস ৷ আর তাতেই তলিয়ে গেলেন এক মহিলা ৷ এছাড়া ECL-এর পাঁচটি পরিত্যক্ত আবাসনও ভেঙে পড়েছে ৷ ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ৷ ঘটনাস্থান পরিদর্শনে এসে পুনর্বাসন না দেওয়ায় ECL-এর বিরুদ্ধে ধরনায় বসেন আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি ৷
শুক্রবার গভীর রাতে পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালের জামবাদ কয়লাখনি সংলগ্ন বেনিয়াডি এলাকায় ধস নামে ৷ তার জেরে ECL-এর পাঁচটি পরিত্যক্ত আবাসনও ভেঙে পড়ে ৷ যে পরিবারগুলি ওই আবাসনে ছিল তাদের সকলে বেরিয়ে এলেও আটকে যান 36 বছর বয়সি এক মহিলা ৷ মাটির গভীরে তলিয়ে যান তিনি ৷ ঘটনার খবর পেতেই এলাকায় পৌঁছায় অন্ডাল থানার পুলিশ ও দমকল বাহিনী ৷ মহিলার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ ৷ এই ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা ECL-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ৷ তাঁদের অভিযোগ, ওই এলাকা বিপজ্জনক হওয়ায় ECL-এর কাছে পুর্নবাসনের দাবি করা হয়েছিল ৷ কিন্তু বারবার এই দাবি জানিয়েও কোনও ফল হয়নি ৷
ঘটনাস্থান পরিদর্শনে এসে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারিও ৷ তিনি ECL কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, "রাত দুটোর সময় ঘটনা ঘটলেও এখনও পর্যন্ত ECL-এর একজন আধিকারিককেও দেখা যায়নি ৷ ওই মহিলাকে উদ্ধারের কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি কর্তৃপক্ষ ৷" পাশাপাশি দলবল নিয়ে এলাকায় ধরনাতেও বসেন আসানসোলের মেয়র ৷
অন্ডালের কাজোড়া এলাকার জামবাদ কয়লা খনি সম্প্রসারণের কাজ চলছে ৷ কয়লাখনি সংলগ্ন বেনিয়াডি এলাকায় ECL-এর কয়েকটি আবাসন রয়েছে ৷ কয়েকটি বাড়িও রয়েছে ৷ সম্প্রসারণের কাজের জন্য 2013 সালে এই আবাসনগুলিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে রাষ্ট্রায়ত্ত ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেড ৷ বাসিন্দাদের উঠে অন্যত্র চলে যেতে বলা হয় ৷ কিন্তু ECL-এর তরফে পুনর্বাসন না দেওয়ায় ওই পরিত্যক্ত আবাসনগুলিতেই বাস করছিলেন কয়েকজন ৷ এলাকা ফাঁকা না হওয়ায় আটকে গিয়েছিল জামবাদ কোলিয়ারির সম্প্রসারণের কাজও ৷ তা সত্ত্বেও বিপজ্জনক এলাকায় প্রাণ হাতে করে বাস করা মানুষগুলির পুর্নবাসন দেওয়ার ব্যবস্থা করেনি ECL কর্তৃপক্ষ ৷