মহিশিলা, 13 অক্টোবর : অনাহারেই দিন কাটছিল আসানসোলের মহিশিলার বাসিন্দা দীপক ভট্টাচার্য ও তাঁর পরিবারের ৷ এই খবর পেয়েই তাঁদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন বিশিষ্টজন ও স্থানীয়রা ৷ এগিয়ে আসে বেশ কিছু সংগঠনও ৷ 'ব্রাদারহুড' নামে একটি সংগঠন এই বাড়িতে আজ লক্ষ্মীপুজোরও ব্যবস্থা করে দিল৷
বাড়িটা যেন অনেকটাই পরিষ্কার৷ সিঁড়িতে, দরজার চৌকাঠে আঁকা হয়েছে আলপনা, লক্ষ্মীর পায়ের ছাপ ৷ নিজের চোখকে যেন বিশ্বাস হচ্ছে না দীপকের ৷ সবটাই তাঁর কাছে স্বপ্নের মতো ৷
শুক্রবার নিজের অনাহারের কথা জানিয়েছিলেন দীপক ৷ আজ পরনে নতুন জামা ৷ বললেন, ''খুব ভালো লাগছে ৷ এইরকমই যেন থাকতে পারি৷''
বিকেল থেকেই হইচই দীপকের বাড়িতে ৷ ভিড় জমেছে তাঁর বাড়ির সামনে ৷ কারও হাতে লক্ষ্মী প্রতিমা, কারও ফুল, ফল ৷ কেউ বা ধুনুচি নিয়ে আরতির ব্যবস্থা করছেন৷ কেউ বাড়ির চারপাশে আলপনা দিতে ব্যস্ত ৷ ভোল পালটে গেছে মুহূর্তের মধ্যে ৷ উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনিতে কোজাগরী লক্ষ্মীপূজার আয়োজনে মেতে উঠেছেন সবাই ৷
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে টুঙ্কা ভট্টাচার্য বলেন, "সোশাল মিডিয়া থেকে খবরটা পেয়ে আমরা গতকালই আসি ৷ খাবারের জিনিসপত্র দিয়ে গেছি ৷ মনে হয়েছিল এই বাড়িতে সারা বছর লক্ষ্মী থাকুক ৷ আর সেই কারণেই আজ লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করতে এসেছি আমরা ৷"
দীপক ভট্টাচার্য বলেন, "পাঁচ বছর পর আমার বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো হল ৷ বহু মানুষ এসেছেন সাহায্য করতে ৷ অনেক দিনের খাবারের জিনিস আমাদের কাছে রয়েছে ৷ স্থানীয় কাউন্সিলর, লোকাল থানার OC-ও এসেছেন ৷ তাঁরাও যথাসাধ্য দিয়ে গিয়েছেন ৷ একটাই আবেদন, এইরকমভাবেই যেন থাকতে পারি ৷"