দুর্গাপুর, 2 এপ্রিল : তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বাধায় কোয়ারানটাইনে রাখা গেল না ঝাড়খণ্ড থেকে আসা শ্রমিকদের । ঘটনাটি ফরিদপুর থানা এলাকার । বর্তমানে ওই শ্রমিকদের দুর্গাপুর শহরে রাখা হয়েছে ।
বাঁকুড়ার বড়জোড়া থেকে ফিরছিলেন ঝাড়খণ্ডের 19 জন শ্রমিক । সেখানে একটি কারখানায় কাজ করেন তাঁরা। দু'-তিন দিন অভুক্ত থাকা ওই শ্রমিকরা হেঁটে দুর্গাপুরের ফরিদপুর থানা এলাকায় পৌঁছালে পুলিশের নজরে আসেন । সেখানে পুলিশ তাঁদের খাবার দিয়ে ওই এলাকার কোয়ারানটাইন কেন্দ্রে নিয়ে যায় । কিন্তু সেখানে তাঁদের ঢুকতে বাধা দেন স্থানীয়রা । ঘটনাস্থানে পুলিশ ও BDO গেলে তাঁদের সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় তৃণমূল নেতা মৃত্যুঞ্জয় মুখোপাধ্যায়সহ আরও কয়েকজন নেতা-কর্মী । ওই শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া হয় ওই থানা এলাকার আরও একটি কোয়ারানটাইন কেন্দ্রে । সেটি একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়। সেখানেও শ্রমিকদের ঢুকতে বাধা দেন তৃণমূলের একই নেতা-কর্মীরা ।
মৃত্যুঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, এরা বহিরাগত । কোথা থেকে কী রোগ বহন করে আনছেন জানি না । এঁদের এই ব্লকে রোগ ছড়াতে দেওয়া যাবে না। তাই এই ব্লকে রাখা যাবে না । অন্যদিকে, BDO মৃণালকান্তি বাগচিকে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় বাধাদানকারীদের সঙ্গে ।
অগত্যা অসহায় এই শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া হয় শহর দুর্গাপুরে। এখানেই আপাতত 14 দিনের কোয়ারানটাইনে রাখা হবে।
কিন্তু ফরিদপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে থাকলেও কেন মৃত্যুঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ।