ETV Bharat / state

Long Walk to Kedarnath: হুগলি থেকে পায়ে হেঁটে কেদারনাথ ! ঋষি-মুনির মতো বিজেপি কর্মীরা দিলেন দক্ষিণা - kedarnath journey of youth on foot

Kedarnath Journey of Youth on Foot: পায়ে হেঁটে কেদারনাথের পথে হুগলির এক যুবক ৷ বুধবার তিনি পশ্চিম বর্ধমানের কুলটি পেরনোর সময় স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা তাঁকে দেখতে পান এবং তাকে ফুল ছুড়ে স্বাগত জানান। পাশাপাশি বিজেপি দলীয় অফিসে নিয়ে গিয়ে তাঁকে সম্মান জানানোর সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু টাকা দক্ষিনা হিসেবে তাঁর হাতে দেন।

Long Walk to Kedarnath
হুগলি থেকে পায়ে হেঁটে কেদারনাথ
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 23, 2023, 10:21 PM IST

হুগলি থেকে পায়ে হেঁটে কেদারনাথ

কুলটি, 23 অগস্ট: এক বাবাধাম থেকে অন্য বাবাধামে। একদিকে সবাই যখন শ্রাবণ মাসে জল ঢালতে পায়ে হেঁটে হুগলির তারকেশ্বরে যাচ্ছেন। তখন ওই জেলা থেকে এক যুবক পায়ে হেঁটে কেদারনাথের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। বুধবার তিনি আসানসোলে এসে পৌঁছন। আসানসোল ছাড়িয়ে কুলটি যাওয়ার পথে নিয়ামতপুরে বিজেপি কর্মীরা ওই যুবককে ঋষি মুনির মতো দক্ষিনা প্রদান করেন।

হুগলির ধনেখালি বাসিন্দা অরিন্দম দাস। পেশায় ছোটখাটো একটি ব্যবসা করেন। অরিন্দমের মনে হয়েছে সবাই ট্রেনে, বাসে কেদারনাথ দর্শনে যান কিন্তু তিনি যাবেন পায়ে হেঁটে। আর যেই ভাবা তেমনি কাজ। গত 15 অগস্ট থেকে কেদারনাথের উদ্দেশ্যে হুগলির ধনেখালি থেকে যাত্রা শুরু করেছেন অরিন্দম দাস। বুধবার তিনি আসানসোলে এসে পৌঁছন এবং আসানসোল হয়ে তিনি ঝাড়খণ্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।

অরিন্দম দাস জানিয়েছেন, তিনি প্রথমে বেনারসে গিয়ে কাশী বিশ্বনাথ দর্শন করতে চান এবং তারপর তিনি কেদারনাথের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। 65 থেকে 70 দিন তাঁর এই যাত্রাপথে লাগতে পারে বলে অরিন্দমের প্রাথমিকভাবে অনুমান। প্রায় 1 হাজার 700 কিলোমিটার রাস্তা তাঁকে হাঁটতে হবে। এতটা রাস্তা পায়ে হেঁটে এর আগে কখনও কোথাও যাননি এবং এটাই প্রথম। যদিও মনের মধ্যে আত্মবিশ্বাস রয়েছে তিনি কেদারনাথ দর্শন করে আসবেন। বর্ষাকাল, যখন-তখন বৃষ্টি নামছে। রাস্তাঘাটও নানা এলাকায় দুর্গম হতে পারে। তাও কোনও ফিকির নেই। হাতে একটি মস্ত ছাতা এবং পিঠের ব্যাগে সামান্য জিনিসপত্র নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন অরিন্দম।

কুলটি দিয়ে পেরনোর সময় স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা তাঁকে দেখতে পান এবং তাকে ফুল ছুড়ে স্বাগত জানান। পাশাপাশি বিজেপি দলীয় অফিসে নিয়ে গিয়ে তাঁকে সম্মান জানানোর সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু টাকা দক্ষিণা হিসেবে তাঁর হাতে দেন। বিজেপি নেতা টিঙ্কু ভার্মা বলেন, "আমরা এই এলাকা দিয়ে যখন কোনও ঋষি-মুনি যায় তখন তাঁদেরকে দক্ষিণা দিই। এই যুবক কোনও ঋষি-মুনির থেকে আলাদা নয় তাই তাকেও সামান্য টাকা আমরা দক্ষিণা দিয়েছি, যদি তার কাজে লাগে।"

অরিন্দম বলেন, "রাস্তাজুড়েই আমি মানুষকে গাছ লাগানোর বার্তা দেব। কারণ আমরা কোভিডকালে দেখেছি মানুষ অক্সিজেনের জন্য হাপিত্যেস করেছে। তাই যদি গাছ লাগানো যায় তবে পৃথিবী ভালো থাকবে।"

আরও পড়ুন: বাইক কেনার সাধ্য নেই, সাধ মেটাতে পায়ে হেঁটেই লাদাখে আসানসোলের টোটোচালক

হুগলি থেকে পায়ে হেঁটে কেদারনাথ

কুলটি, 23 অগস্ট: এক বাবাধাম থেকে অন্য বাবাধামে। একদিকে সবাই যখন শ্রাবণ মাসে জল ঢালতে পায়ে হেঁটে হুগলির তারকেশ্বরে যাচ্ছেন। তখন ওই জেলা থেকে এক যুবক পায়ে হেঁটে কেদারনাথের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। বুধবার তিনি আসানসোলে এসে পৌঁছন। আসানসোল ছাড়িয়ে কুলটি যাওয়ার পথে নিয়ামতপুরে বিজেপি কর্মীরা ওই যুবককে ঋষি মুনির মতো দক্ষিনা প্রদান করেন।

হুগলির ধনেখালি বাসিন্দা অরিন্দম দাস। পেশায় ছোটখাটো একটি ব্যবসা করেন। অরিন্দমের মনে হয়েছে সবাই ট্রেনে, বাসে কেদারনাথ দর্শনে যান কিন্তু তিনি যাবেন পায়ে হেঁটে। আর যেই ভাবা তেমনি কাজ। গত 15 অগস্ট থেকে কেদারনাথের উদ্দেশ্যে হুগলির ধনেখালি থেকে যাত্রা শুরু করেছেন অরিন্দম দাস। বুধবার তিনি আসানসোলে এসে পৌঁছন এবং আসানসোল হয়ে তিনি ঝাড়খণ্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।

অরিন্দম দাস জানিয়েছেন, তিনি প্রথমে বেনারসে গিয়ে কাশী বিশ্বনাথ দর্শন করতে চান এবং তারপর তিনি কেদারনাথের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। 65 থেকে 70 দিন তাঁর এই যাত্রাপথে লাগতে পারে বলে অরিন্দমের প্রাথমিকভাবে অনুমান। প্রায় 1 হাজার 700 কিলোমিটার রাস্তা তাঁকে হাঁটতে হবে। এতটা রাস্তা পায়ে হেঁটে এর আগে কখনও কোথাও যাননি এবং এটাই প্রথম। যদিও মনের মধ্যে আত্মবিশ্বাস রয়েছে তিনি কেদারনাথ দর্শন করে আসবেন। বর্ষাকাল, যখন-তখন বৃষ্টি নামছে। রাস্তাঘাটও নানা এলাকায় দুর্গম হতে পারে। তাও কোনও ফিকির নেই। হাতে একটি মস্ত ছাতা এবং পিঠের ব্যাগে সামান্য জিনিসপত্র নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন অরিন্দম।

কুলটি দিয়ে পেরনোর সময় স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা তাঁকে দেখতে পান এবং তাকে ফুল ছুড়ে স্বাগত জানান। পাশাপাশি বিজেপি দলীয় অফিসে নিয়ে গিয়ে তাঁকে সম্মান জানানোর সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু টাকা দক্ষিণা হিসেবে তাঁর হাতে দেন। বিজেপি নেতা টিঙ্কু ভার্মা বলেন, "আমরা এই এলাকা দিয়ে যখন কোনও ঋষি-মুনি যায় তখন তাঁদেরকে দক্ষিণা দিই। এই যুবক কোনও ঋষি-মুনির থেকে আলাদা নয় তাই তাকেও সামান্য টাকা আমরা দক্ষিণা দিয়েছি, যদি তার কাজে লাগে।"

অরিন্দম বলেন, "রাস্তাজুড়েই আমি মানুষকে গাছ লাগানোর বার্তা দেব। কারণ আমরা কোভিডকালে দেখেছি মানুষ অক্সিজেনের জন্য হাপিত্যেস করেছে। তাই যদি গাছ লাগানো যায় তবে পৃথিবী ভালো থাকবে।"

আরও পড়ুন: বাইক কেনার সাধ্য নেই, সাধ মেটাতে পায়ে হেঁটেই লাদাখে আসানসোলের টোটোচালক

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.