আসানসোল, 25 অগস্ট: একদিকে যখন যাদবপুর-কাণ্ড সামনে এসেছে, তখন অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে নতুন সেশন শুরু হচ্ছে । কলেজে এসে ছাত্র-ছাত্রীরা র্যাগিং নিয়ে সম্ভবতই ভীত ও সন্ত্রস্ত । আর নবাগত পড়ুয়াদের ভয় দূর করতে শুক্রবার অভিনব উদ্যোগ নিল আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সিনিয়র ছাত্রছাত্রীরা । র্যাগিং তো দূরের কথা বরং উলটো পথে হেঁটে তারা প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের উপর কেউ অত্যাচার বা র্যাগিং করতে না পারে তার জন্য তাদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিল ৷ এই নিয়ে একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপও তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা ।
নতুন সেশন শুরু হতেই আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বাড়ছে পড়ুয়াদের ভিড় ৷ যাদবপুরকাণ্ডের পর অনেকের মনেই ভয় রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে আবার র্যাগিং হবে না তো ? আর সেখান থেকে দাঁড়িয়েই একদম কলেজের গেটের বাইরে কলেজের সিনিয়র ছাত্রছাত্রীরা অ্যান্টি র্যাগিং ক্যাম্পেনিং চালাল ।
নবাগত ছাত্রছাত্রীদের হাতে শুভেচ্ছাপত্র তুলে দেওয়া হয় এদিন ৷ পাশাপাশি তাদেরকে বোঝানো হয় যদি কোনওভাবে কেউ র্যাগিং করার চেষ্টা করে কিংবা অন্য কোনওভাবে নির্যাতন করার চেষ্টা করে তাহলে অবিলম্বে জানাতে ।
শুভেচ্ছাপত্রেই দেওয়া রয়েছে একটি কিউআর কোড । আর সেই কিউআর কোড স্ক্যান করলেই একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে যোগ দিতে পারবে নবাগত পড়ুয়ারা । কোনও সমস্যা হলে সেই গ্রুপে জানালেই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
তবে শুধু র্যাগিং নয়, শিক্ষক-শিক্ষিকারাও যদি পড়ুয়াদের উপর হেনস্থা বা অত্যাচার করে কিংবা কলেজ সংক্রান্ত করার দুর্নীতি, বেতন বৃদ্ধি, ডোনেশন ইত্যাদি নিয়েও ছাত্র-ছাত্রীরা সরাসরি ওই গ্রুপে জানাতে পারে । কলেজের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী অনিন্দিতা শীলের কথায়, "যাদবপুরের ঘটনা সামনে আসায় অনেকেই ভয়ে রয়েছে । কিন্তু আমরা বলছি, আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে র্যাগিং হবে না । আমরা সিনিয়র ছাত্রছাত্রীরা নতুনদের সঙ্গে আছি । তাদের যে কোনও ধরনের সহযোগিতাই আমরা তাদের পাশে থাকব । সে কারণেই তাদের শুভেচ্ছাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে ৷ সেখানে থাকা কিউআর কোড দিয়ে তারা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ দিতে পারবে ।"
ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র ঋষভ বিশ্বাস বলেন, "শুধু ব়্যাগিং নয়, কলেজ সংক্রান্ত যে কোনও অসুবিধার কথা জানালেই আমরা ব্যবস্থা নেব । আমরা সবসময়ই নতুন ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে আছি ।"
আরও পড়ুন : ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেল থেকে উদ্ধার পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ