আসানসোল, 24 মার্চ : রামপুরহাট থেকে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বগটুই গ্রামে পা দিয়েই রাজ্যজুড়ে বোমা এবং বেআইনি অস্ত্র কারখানাগুলি খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ 10 দিন ব্যাপী চলবে এই তল্লাশি অভিযান ৷ সেই নির্দেশের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পশ্চিম বর্ধমানের সালানপুর থানার রূপনারায়ণপুরে মিলল বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিশ (Illegal Arms Factory at Rupnarayanpur) । আজ দুপুরে রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চিতলডাঙা উপরপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযান চালায় । আর সেখানেই মিলেছে বন্দুক তৈরির যন্ত্র, লেদ মেশিন পাইপ-সহ অন্যান্য সামগ্রী । ওই বাড়ি থেকে বেশ কয়েকটি অসমাপ্ত বন্দুকও উদ্ধার করেছে পুলিশ ।
এর আগে কুলটির রহমত নগর এলাকায় বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলেছিল। এবার সালানপুর থানার রূপনারায়ণপুরে একদম প্রত্যন্ত গ্রামে একটি ভাড়া বাড়িতে চলছিল এই বেআইনি অস্ত্র কারখানা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, "আমরা জানতাম এখানে নাটবল্টু তৈরি হয় । বেশ কয়েকজন ভিন রাজ্যের বাসিন্দা ওই বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিল । বাড়ির মালিক চিত্তরঞ্জনের বাসিন্দা । পুলিশ তাঁর সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে ।" আজ দুপুরে আচমকাই পুলিশ ওই বাড়িতে হানা দেয় । হাতেনাতে বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ । তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রূপনারায়ণপুর ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । এই বাড়িটি থেকে বন্দুক তৈরির সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে । একটি মোটরসাইকেলও আটক করা হয়েছে । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সালানপুর থানার পুলিশ ।
আরও পড়ুন: অন্যের ধর্মকে শ্রদ্ধা করার বার্তা দিয়ে 1600 কিমি পথ পাড়ি শ্রম দাসের
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি (পশ্চিম) অভিষেক মোদি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তিনজনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে । ধৃতদের নাম রাজকুমার চৌধুরী, প্রবীণ কুমার এবং মহম্মদ ইকবাল। ধৃতরা বিহারের মুঙ্গের জেলার কোতয়ালি থানার পূর্বসরাই এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, রাজকুমার চৌধুরী চিত্তরঞ্জনের দিনেশ চৌধুরীর কাছে ঘরভাড়া নিয়েছিল । এই রাজকুমারই মূলত কাঁচামাল নিয়ে এসে এখানে বেআইনি অস্ত্র বানাত । পুলিশ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুরো চক্রের সন্ধান পেতে চাইছে ।