দুর্গাপুর, 5 এপ্রিল: সোশাল মিডিয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিতর্কিত ধর্মীয় মন্তব্য ঘিরে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভ ৷ দুর্গাপুরের জেমুয়া ভাদুবালা বিদ্যাপীঠের ঘটনা ৷ প্রধান শিক্ষক জয়নুল হকের বদলির দাবিতে দিনভর বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা ৷ বুধবার দুপুর থেকে প্রধান শিক্ষককে আটকে রেখে বিক্ষোভ শুরু করে দেয় স্থানীয়রা । বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন । উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের নিউ টাউনশিপ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এবং কমব্যাট ফোর্স।
স্কুলের অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক ধর্মীয় বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন । প্রশাসনকে জানিয়েও একাধিকবার মেলেনি কোনও সুরাহা । যতক্ষণ না পর্যন্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন জারি থাকবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন স্থানীয়রা । বিদ্যালয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে উপস্থিত হয় পুলিশ । তবে অভিভাবক ও গ্রামবাসীদের সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন প্রধান শিক্ষক জয়নুল হক ।
এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জয়নুল হকের সঙ্গে এই জেমুয়া গ্রামের মানুষদের মতবিরোধ হয়েছে ৷ যাঁকে ঘিরে এই অভিযোগ, সেই প্রধান শিক্ষক জয়নুল হকের পালটা অভিযোগ, "2019 সালের আগে তিনি যখন স্কুলে যোগ দেননি, তখন এই স্কুলে মদের আসর বসত । সরকারি স্কুল বলে এখানে যা খুশি হত । আমি এই স্কুলের উন্নতি করতে চাইছি । ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার মান উন্নয়ন করতে চাইছি । আর তাতেই গাত্রদাহ বেশ কিছু গুন্ডাদের । গ্রামের মানুষদের কাছে খোঁজ নিন । শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষরা আমার স্কুলের বেশিরভাগ সহকর্মীরা আমাকে নিয়ে কী বলছে আপনারা যাচাই করুন ।"
আরও পড়ুন: দুর্ঘটনায় কিশোরের মৃত্যু ঘিরে তুলকালাম আসানসোলে, জাতীয় সড়ক অবরোধ
বিক্ষোভরত গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই শিক্ষক স্কুলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন ৷ তার ফলে গ্রামের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে । উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে । যদিও জয়নুল হকের দাবি, তিনি কোন অপ্রীতিকর মন্তব্য করেননি । সোশাল মিডিয়াতে কয়েকদিন আগে যে পোস্ট করা হয়েছিল, তা ইতিমধ্যেই ডিলিট কার হয়েছে বলে দাবি প্রধান শিক্ষকের ।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন আসানসোল- দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (দুর্গাপুর) তথাগত পাণ্ডে ৷ এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, "আমরা এসে দেখলাম বেশ কিছু মানুষ স্কুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, আমরা তাদেরকে শান্তিপূর্ণভাবে সরিয়ে দিয়েছি । পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে । গ্রামের মানুষের কাছে অভিযোগ পেয়েছি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ।"