ETV Bharat / state

কয়লাবলয়ে নয়া দিশা, প্রথম ডিজিটাল স্কুল পশ্চিম বর্ধমানে

বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ডিজিটাল স্কুল তৈরি হয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ায় । প্রোজেক্টর, ডেস্ক টপ, প্রতি ক্লাসে সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবস্থা রয়েছে । লাগানো হয়েছে CCTV-ও ।

Digital school
ডিজিটাল স্কুল
author img

By

Published : Jan 17, 2020, 10:26 AM IST

Updated : Jan 20, 2020, 5:40 PM IST

আসানসোল, 17 জানুয়ারি : আধুনিকতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ডিজিটাল স্কুল । প্রোজেক্টরের মাধ্যমে স্মার্ট ক্লাস । কম্পিউটার, সাউন্ড সিস্টেম বাকি নেই CCTV-ও । বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় আসানসোলের জামুড়িয়ায় তৈরি হল ফ্রি প্রাইমারি স্কুল । যা আসানসোল বা জামুড়িয়ায় নয়, গোটা পশ্চিম বর্ধমানে এই প্রথম ।

নামীদামি বেসরকারি স্কুল । ঝাঁ চকচকে পঠনপাঠন । ঝড়ঝড়ে ইংরাজি । মাসের শেষে বেতনও তেমন । বাচ্চাদের এজাতীয় স্কুলে পড়ানোর শখ থাকলেও অনেকেই ফি দেখে পিছিয়ে পড়েন । আবার সরকারি প্রাথমিক স্কুলে বাচ্চাকে ভরতির কথা ভাবেন না আজকালকার অনেক বাবা-মা'ই । তাই বেসরকারি স্কুলগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সরকারি প্রাথমিক এবার ডিজিটাল । জামুড়িয়ার 6 নম্বর ওয়ার্ডের এক নম্বর সার্কেলের মণ্ডলপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়কে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার উদ্যোগে ডিজিটাল রূপ দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন স্কুলের টিচার ইন-চার্জ রাজীব রায় ।

ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের মতো ডিজিটাল স্কুলেও শেখানো হচ্ছে ইংরেজি । স্কুলের বাইরে ও ভেতরে দেওয়ালে ইংরেজিতে নানা ধরনের লেখা ও ছবির মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে সামাজিক সচেতনতামূলক বার্তা । যাতে সহজেই ইংরেজি ভাষা রপ্ত করতে পারে বাচ্চারা । তাদের দেওয়া হচ্ছে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণও । স্কুলকে ডিজিটাল বানানোর পাশাপাশি সবুজায়নের লক্ষ্যে স্কুলের ভেতরে বসানো হয়েছে গাছ । স্কুলের ছাদে তৈরি হয়েছে ফুলের বাগান । রাজ্যের সেরা মডেল স্কুল গুলির মধ্যে এখন অন্যতম জামুড়িয়ার এই স্কুল ।

কেন এই ডিজিটাল স্কুল? কীভাবে তৈরি হল এই পরিকাঠামো ? জানালেন মণ্ডলপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিচার ইনচার্জ রাজীব রায়, "একটি শিশুর বিকাশের প্রয়োজন । স্কুলে আসতে কোনও ভয় থাকবে না এমন পরিবেশও প্রয়োজন । স্কুলের শিক্ষকদের একেবারে বাবা-মা অথবা বাড়ির অন্যান্য সদস্যের মতো বাচ্চাদের সঙ্গে মিশতে হবে । সেসব এখানে রয়েছে । অতীতে দেখেছি বইয়ের শেষ পাতায় লেখা থাকত কী করব, কী করব না । বইয়ের শেষ পাতায় থাকত বলে বাচ্চারা সাধারণত ভালোভাবে রাখতে পারত না । তাই শেষ পাতা ছিঁড়ে যেত । বাস্তব জীবনে কোনটা অনুচিত সেই বিষয়টি বুঝে উঠতে পারত না বাচ্চারা । তাই আমরা স্কুলের বিল্ডিংয়ের বাইরের ও ভেতরের দেওয়ালে Learning at (একটি সরকারি প্রকল্প)-এর মাধ্যমে বিভিন্ন ছবি এঁকে সমাজ সচেতনতামূলক বার্তা দিয়ে বাচ্চাদের তা বোঝানোর চেষ্টা করেছি ।''

Digital School
এভাবেই সহজপাঠের বিভিন্ন চিত্র আঁকা স্কুলের দেওয়ালে

তাঁর কথায়, '' ইংরেজিতে অনেক কিছু লেখা আছে । যাতে ইংরেজিটাও ওরা তাড়াতাড়ি শেখে । দেওয়ালে রয়েছে উদ্বেগশূন্য, আনন্দদায়ক, শিক্ষককেন্দ্রিক পরিবেশের বার্তা । স্কুল পড়ুয়াদের দৈহিক ও মানসিক বিকাশের দিকে নজর রাখা হয়েছে । বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ রাখার চেষ্টা ও বিভিন্ন ধরণের ছবি এঁকে বাচ্চাদের বিভিন্ন বিষয় শেখানোর চেষ্টা করি আমরা । পরিবেশের প্রতি নিজেদের কর্তব্য কতোটা, বাচ্চাদের তা শেখাতে স্কুলের ভেতরে বাগান তৈরি করা হয়েছে । পরিবেশ কি ভাবে বাঁচানো যায় তার জন্য বিভিন্ন রকম ছবি এঁকে বাচ্চাদের শেখানো হচ্ছে ।''

পশ্চিম বর্ধমানের প্রথম ডিজিটাল স্কুল

স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা মোট 182 । রয়েছেন 8 জন শিক্ষক । এই পরিকাঠামো নিয়ে ডিজিটাল স্কুল বানানোর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর রাখি কর্মকার । তিনি বলেন, ''সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা যদি আন্তরিকতার সঙ্গে কাজটা করতে পারেন, তাহলে ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহও বাড়বে । বাবা-মায়েরাও সরকারি প্রাথমিক স্কুলে বাচ্চাদের আরও বেশি করে পাঠাবে । এই বিদ্যালয় জেলায় উদাহরণ তৈরি করল । এমন ডিজিটাল স্কুল দেখে অনুপ্রেরণা পাবে জেলার বাকি স্কুলগুলোও । আর আমি তো সঙ্গে আছিই ।''

1944 সালে প্রতিষ্ঠা হয় এই স্কুলের । ডিজিটাল হিসেবে 31 ডিসেম্বরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় । কয়লা বলয়ে এই ধরনের স্কুল প্রথম, রাজ্যেও তাই । স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এমন হলে বাচ্চারা স্কুলে যাবে । পড়তে আগ্রহী হবে পাশাপাশি কয়লাবলয়ের এমন স্কুল দৃষ্টান্ত । স্থানীয় বাসিন্দাদের মতো একই কথা বলছেন শিক্ষকরাও ।

এবিষয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিদর্শক দেবব্রত পালকে জিজ্ঞাসা করা হলে স্কুল পরিচালন কমিটিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি বলেন, খুব ভাল উদ্যোগ । ছাত্র-ছাত্রীরা কম্পিউটার প্রজেক্টরের মাধ্যমে পঠনপাঠন করতে পারছে । আমার শুভেচ্ছা রইল সকলের প্রতি । এটা স্থানীয়ভাবেই করা হয়েছে । আগামী দিনের অন্যান্য স্কুল যাতে এই পথে এগিয়ে আসে সেই চেষ্টা করা হবে ।"

আসানসোল, 17 জানুয়ারি : আধুনিকতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ডিজিটাল স্কুল । প্রোজেক্টরের মাধ্যমে স্মার্ট ক্লাস । কম্পিউটার, সাউন্ড সিস্টেম বাকি নেই CCTV-ও । বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় আসানসোলের জামুড়িয়ায় তৈরি হল ফ্রি প্রাইমারি স্কুল । যা আসানসোল বা জামুড়িয়ায় নয়, গোটা পশ্চিম বর্ধমানে এই প্রথম ।

নামীদামি বেসরকারি স্কুল । ঝাঁ চকচকে পঠনপাঠন । ঝড়ঝড়ে ইংরাজি । মাসের শেষে বেতনও তেমন । বাচ্চাদের এজাতীয় স্কুলে পড়ানোর শখ থাকলেও অনেকেই ফি দেখে পিছিয়ে পড়েন । আবার সরকারি প্রাথমিক স্কুলে বাচ্চাকে ভরতির কথা ভাবেন না আজকালকার অনেক বাবা-মা'ই । তাই বেসরকারি স্কুলগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সরকারি প্রাথমিক এবার ডিজিটাল । জামুড়িয়ার 6 নম্বর ওয়ার্ডের এক নম্বর সার্কেলের মণ্ডলপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়কে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার উদ্যোগে ডিজিটাল রূপ দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন স্কুলের টিচার ইন-চার্জ রাজীব রায় ।

ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের মতো ডিজিটাল স্কুলেও শেখানো হচ্ছে ইংরেজি । স্কুলের বাইরে ও ভেতরে দেওয়ালে ইংরেজিতে নানা ধরনের লেখা ও ছবির মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে সামাজিক সচেতনতামূলক বার্তা । যাতে সহজেই ইংরেজি ভাষা রপ্ত করতে পারে বাচ্চারা । তাদের দেওয়া হচ্ছে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণও । স্কুলকে ডিজিটাল বানানোর পাশাপাশি সবুজায়নের লক্ষ্যে স্কুলের ভেতরে বসানো হয়েছে গাছ । স্কুলের ছাদে তৈরি হয়েছে ফুলের বাগান । রাজ্যের সেরা মডেল স্কুল গুলির মধ্যে এখন অন্যতম জামুড়িয়ার এই স্কুল ।

কেন এই ডিজিটাল স্কুল? কীভাবে তৈরি হল এই পরিকাঠামো ? জানালেন মণ্ডলপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিচার ইনচার্জ রাজীব রায়, "একটি শিশুর বিকাশের প্রয়োজন । স্কুলে আসতে কোনও ভয় থাকবে না এমন পরিবেশও প্রয়োজন । স্কুলের শিক্ষকদের একেবারে বাবা-মা অথবা বাড়ির অন্যান্য সদস্যের মতো বাচ্চাদের সঙ্গে মিশতে হবে । সেসব এখানে রয়েছে । অতীতে দেখেছি বইয়ের শেষ পাতায় লেখা থাকত কী করব, কী করব না । বইয়ের শেষ পাতায় থাকত বলে বাচ্চারা সাধারণত ভালোভাবে রাখতে পারত না । তাই শেষ পাতা ছিঁড়ে যেত । বাস্তব জীবনে কোনটা অনুচিত সেই বিষয়টি বুঝে উঠতে পারত না বাচ্চারা । তাই আমরা স্কুলের বিল্ডিংয়ের বাইরের ও ভেতরের দেওয়ালে Learning at (একটি সরকারি প্রকল্প)-এর মাধ্যমে বিভিন্ন ছবি এঁকে সমাজ সচেতনতামূলক বার্তা দিয়ে বাচ্চাদের তা বোঝানোর চেষ্টা করেছি ।''

Digital School
এভাবেই সহজপাঠের বিভিন্ন চিত্র আঁকা স্কুলের দেওয়ালে

তাঁর কথায়, '' ইংরেজিতে অনেক কিছু লেখা আছে । যাতে ইংরেজিটাও ওরা তাড়াতাড়ি শেখে । দেওয়ালে রয়েছে উদ্বেগশূন্য, আনন্দদায়ক, শিক্ষককেন্দ্রিক পরিবেশের বার্তা । স্কুল পড়ুয়াদের দৈহিক ও মানসিক বিকাশের দিকে নজর রাখা হয়েছে । বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ রাখার চেষ্টা ও বিভিন্ন ধরণের ছবি এঁকে বাচ্চাদের বিভিন্ন বিষয় শেখানোর চেষ্টা করি আমরা । পরিবেশের প্রতি নিজেদের কর্তব্য কতোটা, বাচ্চাদের তা শেখাতে স্কুলের ভেতরে বাগান তৈরি করা হয়েছে । পরিবেশ কি ভাবে বাঁচানো যায় তার জন্য বিভিন্ন রকম ছবি এঁকে বাচ্চাদের শেখানো হচ্ছে ।''

পশ্চিম বর্ধমানের প্রথম ডিজিটাল স্কুল

স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা মোট 182 । রয়েছেন 8 জন শিক্ষক । এই পরিকাঠামো নিয়ে ডিজিটাল স্কুল বানানোর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর রাখি কর্মকার । তিনি বলেন, ''সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা যদি আন্তরিকতার সঙ্গে কাজটা করতে পারেন, তাহলে ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহও বাড়বে । বাবা-মায়েরাও সরকারি প্রাথমিক স্কুলে বাচ্চাদের আরও বেশি করে পাঠাবে । এই বিদ্যালয় জেলায় উদাহরণ তৈরি করল । এমন ডিজিটাল স্কুল দেখে অনুপ্রেরণা পাবে জেলার বাকি স্কুলগুলোও । আর আমি তো সঙ্গে আছিই ।''

1944 সালে প্রতিষ্ঠা হয় এই স্কুলের । ডিজিটাল হিসেবে 31 ডিসেম্বরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় । কয়লা বলয়ে এই ধরনের স্কুল প্রথম, রাজ্যেও তাই । স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এমন হলে বাচ্চারা স্কুলে যাবে । পড়তে আগ্রহী হবে পাশাপাশি কয়লাবলয়ের এমন স্কুল দৃষ্টান্ত । স্থানীয় বাসিন্দাদের মতো একই কথা বলছেন শিক্ষকরাও ।

এবিষয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিদর্শক দেবব্রত পালকে জিজ্ঞাসা করা হলে স্কুল পরিচালন কমিটিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি বলেন, খুব ভাল উদ্যোগ । ছাত্র-ছাত্রীরা কম্পিউটার প্রজেক্টরের মাধ্যমে পঠনপাঠন করতে পারছে । আমার শুভেচ্ছা রইল সকলের প্রতি । এটা স্থানীয়ভাবেই করা হয়েছে । আগামী দিনের অন্যান্য স্কুল যাতে এই পথে এগিয়ে আসে সেই চেষ্টা করা হবে ।"

Intro:আধুনিকতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ডিজিটাল বিদ্যালয়! প্রোজেক্টারের মাধ্যমে স্মার্ট ক্লাস! বিদ্যালয়ের বাইরে ও ভেতরে দেওয়ালে নানা ধরনের ছবি এঁকে সামাজিক সচেতনতা মূলক বার্তা । বিদ্যালয়ের ভেতর পরিবেশের সবুজায়ন । বিদ্যালয় ও বাচ্চাদের নিরাপত্তার জন্য বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা । এই সমস্ত আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে জামুরিয়ার মন্ডলপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।


জামুড়িয়ার 6 নম্বর ওয়ার্ডের মন্ডলপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্যান্য পাঁচটা বিদ্যালয়ের মতো নয় ! মন্ডলপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ডিজিটাল স্মার্ট বিদ্যালয় রুপে পরিচিত । বিদ্যালয়ের বাইরের ও ভেতরের দেওয়ালের মধ্যে রয়েছে শিক্ষার চাবিকাঠি । নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ছবির মাধ্যমে শেখানো হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের । এমনকি ইংলিশ মিডিয়ামের বাচ্চাদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য বিদ্যালয়ের দেওয়ালে ইংরেজি ভাষায় বিভিন্ন সচেতন মূলক বার্তা । তেমনই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা স্মার্ট ক্লাসের মাধ্যমে ইংরেজি ভাষা শেখাচ্ছে বিদ্যালয়ে বাচ্চাদের। বিদ্যালয়ের ভেতরে সবুজায়ন পরিবেশ । বিদ্যালয় ছাদের তৈরি করা হয়েছে ফুলের বাগান । এই বিদ্যালয়ে এখন ছাত্র-ছাত্রীদের প্রজেক্ট এর মাধ্যমে স্মার্ট ক্লাস নেওয়া হচ্ছে । প্রত্যেকটি ক্লাসরুমে রয়েছে সাউন্ড সিস্টেম । বিদ্যালয়ের অতি সুরক্ষার জন্য বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা । বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীর উন্নত মানের পড়াশোনার জন্য রয়েছে কম্পিউটারের ব্যবস্থা । এছাড়াও ক্যারেটা শিখিয়ে বাচ্চাদের আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বিদ্যালয় ।
।রাজ্যের সেরা মডেল স্কুল গুলির মধ্যে অন্যতম তকমা ছিনিয়ে নিল জামুড়িয়ার এই বিদ্যালয়টি ।


মন্ডলপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিচার ইনচার্জ রাজীব রায় " একটি শিশুর বিকাশের প্রয়োজন ! স্কুলের উদ্বেগ শূন্য , ভয় থাকবে না । স্কুলের মাস্টার মশাই ও দিদিমণিকে একেবারে বাচ্চাদের বাবা-মা অথবা বাড়ির অন্যান্য সদস্যের মতো মিশতে হবে । অতীতে দেখে এসেছি বইয়ের সিলেবাসে পাতায় লেখা থাকতো কোনটা উচিত কোনটা অনুচিত । বইয়ের শেষ পাতায় থাকতো বলে বাচ্চারা সাধারণত ভালো ভাবে রাখতে পারে না । তাই শেষ পাতা ছিঁড়ে যেত । বাস্তব জীবনে কোনটা অনুচিত সেই বিষয়টি বুঝে উঠতে পারতো না বাচ্চারা । তাই আমরা স্কুলের বিল্ডিং এর বাইরের ও ভেতরের দেওয়ালে " Learning at " বলে সরকারি প্রজেক্টের মাধ্যমে বিভিন্ন ছবি এঁকে সমাজ সচেতনমুলক বার্তা দিয়ে বাচ্চাকে শিক্ষার আরও অগ্রগতি দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা । দেওয়ালে রয়েছে " উদ্বেগ শূন্য আনন্দদায়ক শিক্ষক কেন্দ্রিক পরিবেশ , স্কুল পড়ুয়াদের দৈহিক ও মানসিক বিকাশ , বিশুদ্ধ পানীয় জলের ট্যাংকারে ' নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার 'বিভিন্ন ধরনের ছবি এঁকে বাচ্চাকে শেখানো । বাচ্চাদের পরিবেশ সবুজায়ন শেখার জন্য বিদ্যালয়ের ভেতরে বাগান তৈরি , পরিবেশ কি ভাবে বাঁচানোর যায় তার জন্য বিভিন্ন রকম ছবি এঁকে বাচ্চাদের শেখানো হচ্ছে । চিত্তাকর্ষক বিজ্ঞানসম্মত স্মার্ট ক্লাসের মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতিতে পঠন-পাঠন বিদ্যালয় । এছাড়াও স্কুল -পড়ুয়ারা আগামী দিনে যাতে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা যায় তার জন্য ক্যারাটে শেখানো হচ্ছে বিদ্যালয়।


বিদ্যালয়টিকে আধুনিকতা ও ডিজিটাল তৈরি করার জন্য একদিকে যেমন বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক ভূমিকা তেমনি এলাকার বেশ কিছু মানুষ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে । বিদ্যালয়ের বাচ্চাদের স্মার্ট ক্লাসের জন্য প্রজেক্টর ব্যবস্থা করে জামুরিয়া গগন ফেরোটেক স্পঞ্জ আইরন কারখানা । বিদ্যালয়ের পাশে থাকা একটি ব্যাংক আমাদের বিদ্যালয়ের বাচ্চাদের জন্য কম্পিউটারের ব্যবস্থা করে দেয় । অন্যদিকে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক ও গ্রামে কিছু সৎ ব্যক্তি বিদ্যালয় ও বাচ্চাদের নিরাপত্তা র জন্য সিসি ক্যামেরা ব্যবস্থা করে । সবমিলিয়ে মন্ডলপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ডিজিটাল স্মার্ট বিদ্যালয়ের জন্য পাশে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন মহলের মানুষ ।


Body:।


Conclusion:।
Last Updated : Jan 20, 2020, 5:40 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.