দুর্গাপুর, 11 মে : দুর্গাপুরের দুই বৃদ্ধ কোরোনাতে আক্রান্ত । গতকাল একথা জানাজানির পরও 24 ঘণ্টা কেটে গেলেও তাঁদের পরিবারের অন্য সদস্যদের হোম কোয়ারানটিনে রাখা নিয়ে প্রতিবেশীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল । ETV ভারতের খবর থেকে সেকথা জানতে পারেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক । তারপরই নেওয়া হয় ব্যবস্থা । কোরোনা আক্রান্ত দুই বৃদ্ধের পরিবারের চারজন নাবালক-সহ মোট 17জনকে ইঞ্জিনিয়র হোস্টেলে কোয়ারানটিন সেন্টারে রাখার ব্যবস্থা করা হল । ফলে বর্তমানে আতঙ্কমুক্ত বলে জানান প্রতিবেশীরা ।
দুর্গাপুরের এ-জ়োন সি আর দাস রোড ও বি-জ়োন নিউটন রোডের বাসিন্দা দুই বৃদ্ধ দুর্গাপুর গান্ধি মোড়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন । অন্য শারীরিক সমস্যা নিয়ে তারা ভরতি হয়েছিলেন ওই বেসরকারি হাসপাতালে । কিন্তু গতকাল এই দুই বৃদ্ধ কোরোনা আক্রান্ত বলে জানা যায় । গতকাল পর্যন্ত দু'জনের সঙ্গেই তাঁদের সন্তানরা দেখা করে । দুই বৃদ্ধকে কাঁকসার মলানদিঘিতে কোরোনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বাড়িতেই থাকতে বলা হয়েছিল দুর্গাপুর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে । তাঁদের বাড়ির সামনে পুলিশও বসানো হয় ।
দুই পরিবারের খাবার-দাবার-সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পুলিশের পক্ষ থেকে যোগান দেওয়া হয় । কিন্তু কোরোনা আক্রান্তদের প্রতিবেশীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাদের পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে থাকার কারণেই । তাই তারা অনেকেই অভিযোগ জানাতে থাকেন যে, পরিবারের বাকি সদস্যদের অবিলম্বে এখান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক । সেই অভিযোগের কথায় আজ পশ্চিম বর্ধমানের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস হালদারকে জানায় ETV ভারতের প্রতিনিধি ।
দেবাশিস হালদার বিষয়টি জানার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রথমে সি আর দাস রোডের বাড়ি থেকে এক নাবালক-সহ মোট নয় জনকে এবং নিউটন রোডের ওই পরিবার থেকে তিনজন নাবালক-সহ মোট আটজনকে ইঞ্জিনিয়র্স হোস্টেলে সরকারি কোয়ারানটিন সেন্টারে রাখা হয় । আপাতত স্বস্তিতে কোরোনা আক্রান্তেদর প্রতিবেশী পরিবারগুলি ।