দুর্গাপুর, 14 অগস্ট: প্রায় আড়াই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে খোলামুখ খনি ৷ সেখানে জমা থাকা কয়লা পাচারের অভিযোগ উঠল খোদ ইসিএল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ৷ অভিযোগে বলা হচ্ছে, আটটি ডাম্পারে করে নাকি সেই জমে থাকা কয়লা পাচার করছে ইসিএল ৷ এমনই অভিযোগ পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালের সিঁদুলি খোলামুখ খনিতে ৷
বিগত প্রায় আড়াই মাস ধরে সিঁদুলিতে শ্রমিকদের নিরাপত্তার কারণ খোলামুখ খনিতে কোনও উৎপাদন এবং পরিবহণ হয় না বলে জানান তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা গৌর পাল । এই তৃণমূলের শ্রমিক নেতার কথায়, " ইসিএল কর্তৃপক্ষ এই খোলা মুখ খনি আচমকা বন্ধ করে দেয় । এখানকার শ্রমিকদেরকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে, কী কাজ করানো হবে সেই বিষয়ে আমরা জানতে চেয়েছি । কিন্তু আমাদের তা জানানো হয়নি । 13 অগস্ট রবিবার রাতে যখন কোনও লোকজন এখানে ছিল না তখন প্রায় 8 গাড়ি জমা থাকা কয়লা অন্যত্র পাচার করে দেয় কর্তৃপক্ষ ।"
যদিও এই বিষয়ে কোলিয়ারি এজেন্ট পঙ্কজ কুমার বার্নওয়ালের দাবি, "কয়লা চুরির কোনও ঘটনা ঘটেনি । এসব আমাদের ঘরোয়া ব্যাপার । আমরা বসে সব ঠিক করে নেব ।" তবে কয়লা কোথায় পাঠানো হয়েছে, কী কারণে পাঠানো হয়েছে, কেন রবিবার রাতে কয়লা পাঠানো হল, এই সব বিষয়গুলি ইসিএলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন কি না, এই সমস্ত প্রশ্নের কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি এই কোলিয়ারি এজেন্টের কাছ থেকে । এই নিয়ে দীর্ঘক্ষণ কোলিয়ারি এজেন্টকে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করতেও দেখা যায় । কিন্তু ক্ষুব্ধ শ্রমিকদের বহু প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যেতে দেখা যায় এই ইসিএল আধিকারিককে । তাহলে কি বাস্তবে সত্যিই এই কয়লা খনিতে জমা থাকা কয়লা রাতের অন্ধকারে পাচার হচ্ছে ?
রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডের কয়লা চুরির ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই । কয়লা চুরি কাণ্ডে বহু রাঘব বোয়ালদের নাম জড়িয়েছে । কয়লা চুরি কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হতে হয়েছে পিসিএলের বেশ কিছু আধিকারিককেও । তার মধ্যেই ফের কয়লা পাচারের অভিযোগ ৷
আরও পড়ুন : হাইকোর্টের বকেয়া বেতন পরিশোধের নির্দেশে আশায় বুক বাঁধছেন ইসিএলের শিক্ষকরা