আসানসোল, 25 সেপ্টেম্বর: মহালয়াতেই (Mahalaya) মহামায়া আগমনী দুর্গার পুজো হয় হীরাপুরের ধেনুয়া গ্রামে। একইদিনে সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীর পুজো শেষে দশমীর ঘট নিরঞ্জন। আগামনীতেই বাজে বিদায়ের বাজনা। চারিদিকে যখন পুজোর আমেজ, (Durga Puja) তখন পুজো শেষ হয়ে গেল ধেনুয়া গ্রামের কালীকৃষ্ণ আশ্রমে। সেখানে এখন বিজয়ার করুণ সুর।
হীরাপুরের ধেনুয়া গ্রামে কালীকৃষ্ণ আশ্রম। দামোদরের ধারে আশ্রমের এই মনোরম আয়োজন হয় আগমনী দুর্গাপুজোর। মন্দিরের সেবাইতরাই জানালেন, আনুমানিক 1937 সালে কালী-কৃষ্ণ মহারাজ এই আশ্রমের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তবে এই আগমনী দুর্গাপুজোর প্রচলন শুরু হয় 1978 সালে। মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়েই নাকি এই পুজোর প্রচলন হয়েছিল। বাংলায় এমন পুজো দেখা যায় না।
শোনা যায়, অসমে (Assam) এমন ধরনের পুজোর প্রচলন রয়েছে। মহালয়ার আগের রাতে অমাবস্যা তিথিতে প্রথমে কালীপুজো করা হয়। কালিপুজোর (Kali Puja) শেষে মহালয়ার সকালে প্রথমে নবপত্রিকাকে স্নান করিয়ে মন্দির চত্বরেই পুষ্করিণীতে নিয়ে আসা হয় । নিয়ে আসা হয় মায়ের ঘটও। এরপর শুরু হয় মা দুর্গার পুজো। একদিনেই নিয়ম করে সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমী পুজো করা হয়।
সন্ধিপুজো, যজ্ঞ একেবারে পুজোর নিয়মেই পালিত হয় বলে জানিয়েছেন মন্দিরের সেবাইত আশিস ঠাকুর। কালী-কৃষ্ণ আশ্রমের মা দুর্গার রূপেও পরিবর্তন রয়েছে। দেবীর সঙ্গে গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতীকে দেখা যায় না। তার বদলে জয়া ও বিজয়া দুই সখীকে দেখা যায় মা দুর্গার সঙ্গে। অন্যদিকে, মা দুর্গার সঙ্গে নেই মহিষাসুরও। তাই এখানে মায়ের মুখে কোনও ক্রোধভাব থাকে না। বরং মৃন্ময়ী মূর্তির মুখে প্রশান্তির ছাপ।
আরও পড়ুন: 'কেউ ধোয়া তুলসীপাতা নয়', বিরোধীদের কটাক্ষ মমতার
সারাদিন ধরে পুজোআর্চা-সহ ধুমধাম উৎসবে মেতে থাকেন এলাকাবাসীরা। আসেন পাশ্ববর্তী পুরুলিয়া, বাঁকুড়া জেলা থেকে দূরদূরান্তের ভক্তকূলও। ভোগের খিচুড়ি সবাই মিলে বসে ঠাকুর দালানেই খান। বিকেলে ঘট ভাসান হয়ে পুজো সম্পন্ন হয়। যদিও প্রতিমা থাকে একাদশী পর্যন্ত। কিন্তু আর পুজো আর্চা হয় না।