ETV Bharat / state

নেশার কবলে হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব - Drug

দুর্গাপুর চত্বরে নেশা করছে কয়েকজন কিশোর-কিশোরী ৷ স্টেশনের আশপাশ থেকেই জোগাড় করা হয় ডেনড্রাইট আঠা ৷

নেশা
author img

By

Published : Jul 22, 2019, 3:19 PM IST

দুর্গাপুর, 22 জুলাই : বয়স মেরেকেটে 12 থেকে 15 ৷ কারোর হয়তো একটু বেশি ৷ চোখ লাল ৷ উসকো-খুসকো চুল ৷ বেশিরভাগ সময় একটা ঘোরের মধ্যে রয়েছে ৷ দুর্গাপুর স্টেশন চত্বরে বসে নেশা করছে 20-25 জন ছেলে-মেয়ে ৷

দুর্গাপুর স্টেশন চত্বরেই থাকে কয়েকটি পরিবার ৷ মূলত দূরপাল্লার ট্রেনে ও স্টেশন চত্বরের দোকানে ঝাঁট দিয়ে সামান্য কিছু আয় হয় ৷ আর তা দিয়েই চলে দেদার নেশা ৷ স্টেশনের আশপাশ থেকেই জোগাড় করা হয় ডেনড্রাইট আঠা ৷ সেখানে না মিললে পানাগড় থেকে নিয়ে আসা হয় ৷ প্রকাশ্যেই চলে নেশা ৷ পলিথিন ব্যাগ বা কাপড়ের টুকরোর মধ্যে রাখা থাকে আঠা ৷ শুধু দুর্গাপুর স্টেশনের কিশোর-কিশোরীরা নয়, নেশার টানে আসানসোল স্টেশন থেকেও আসে একদল ছেলেমেয়ে ৷ একেবারেই লুকোছাপার বিষয় নেই ৷ বরং স্টেশন চত্বরে খোলাখুলি নেশা চালায় ৷ ক্যামেরা দেখেও কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই ।

এরা এতটাই নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে যে ডেনড্রাইটের আঠা ছাড়া চলে না ৷ আর উপার্জন যেহেতু বেশি নয় তাই মাঝেমধ্যেই টাকার টান পড়ে ৷ নেশার জন্য অপরাধ জগতে পা বাড়ায় ৷ কিন্তু, স্টেশন চত্বরে এরকম খোলাখুলি নেশা করছে তা কীভাবে রেল কর্তৃপক্ষের চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে? স্থানীয়দের বক্তব্য, মাঝেমধ্যে পুলিশ আসে ৷ ধমক দেয় ৷ কিন্তু, পুলিশ গেলে যে কে সেই ৷ আবার শুরু হয় নেশা ৷

বিষয়টি নিয়ে আসাসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের DCP (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ৷ তিনি বলেন, "আমরা বিষয়টি শুনলাম ৷ পুলিশ পাঠাচ্ছি ৷ সরকারি নেশামুক্তি কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে তাদের সুস্থজীবনে ফিরিয়ে আনা হবে ৷" আর আসানসোল মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকের দপ্তরের বক্তব্য, "রেল পুলিশকে সতর্ক করা হবে ৷ মাঝেমধ্যেই অভিযান চালানো হয় ৷ তাদের বোঝানো হয় ৷ এখন থেকে অভিযানের বিষয়ে নিশ্চিত করা হচ্ছে ৷"

কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অবশ্য উদ্যোগী হয়ে নেশামুক্তির চেষ্টা করে ৷ কিন্তু, তা নিয়মিত নয় ৷ কিশোর-কিশোরীদের নেশামুক্তি সেন্টারে নিয়ে যান ৷ কয়েকজন নেশা ছেড়ে দেয় ৷ এরকমই একজন বছর 15-র রাহুল ৷ প্রায় মাস সাতেক ধরে নেশায় বুঁদ হয়ে থাকত ৷ কয়েকজনের উদ্যোগে দিন পাঁচেক আগেই সেই জাল থেকে মুক্ত হয়েছে ৷ আপাতত সুস্থ রয়েছে সে ৷ একই বক্তব্য অপর এক কিশোরের ৷ নেশার জাল থেকে বেরিয়ে জল বিক্রি করে সুস্থভাবে জীবনযাপন করছে ৷ কিন্তু, তাঁদের মতো সবাই ভাগ্যবান না ৷ আর তাই রাজু, বিলে, গোপী, বিলাসদের জীবন আপাতত নেশার কারাগারে রুদ্ধ ৷ যতদিন না সেখান থেকে মুক্ত হচ্ছে ততদিন একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ।

দুর্গাপুর, 22 জুলাই : বয়স মেরেকেটে 12 থেকে 15 ৷ কারোর হয়তো একটু বেশি ৷ চোখ লাল ৷ উসকো-খুসকো চুল ৷ বেশিরভাগ সময় একটা ঘোরের মধ্যে রয়েছে ৷ দুর্গাপুর স্টেশন চত্বরে বসে নেশা করছে 20-25 জন ছেলে-মেয়ে ৷

দুর্গাপুর স্টেশন চত্বরেই থাকে কয়েকটি পরিবার ৷ মূলত দূরপাল্লার ট্রেনে ও স্টেশন চত্বরের দোকানে ঝাঁট দিয়ে সামান্য কিছু আয় হয় ৷ আর তা দিয়েই চলে দেদার নেশা ৷ স্টেশনের আশপাশ থেকেই জোগাড় করা হয় ডেনড্রাইট আঠা ৷ সেখানে না মিললে পানাগড় থেকে নিয়ে আসা হয় ৷ প্রকাশ্যেই চলে নেশা ৷ পলিথিন ব্যাগ বা কাপড়ের টুকরোর মধ্যে রাখা থাকে আঠা ৷ শুধু দুর্গাপুর স্টেশনের কিশোর-কিশোরীরা নয়, নেশার টানে আসানসোল স্টেশন থেকেও আসে একদল ছেলেমেয়ে ৷ একেবারেই লুকোছাপার বিষয় নেই ৷ বরং স্টেশন চত্বরে খোলাখুলি নেশা চালায় ৷ ক্যামেরা দেখেও কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই ।

এরা এতটাই নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে যে ডেনড্রাইটের আঠা ছাড়া চলে না ৷ আর উপার্জন যেহেতু বেশি নয় তাই মাঝেমধ্যেই টাকার টান পড়ে ৷ নেশার জন্য অপরাধ জগতে পা বাড়ায় ৷ কিন্তু, স্টেশন চত্বরে এরকম খোলাখুলি নেশা করছে তা কীভাবে রেল কর্তৃপক্ষের চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে? স্থানীয়দের বক্তব্য, মাঝেমধ্যে পুলিশ আসে ৷ ধমক দেয় ৷ কিন্তু, পুলিশ গেলে যে কে সেই ৷ আবার শুরু হয় নেশা ৷

বিষয়টি নিয়ে আসাসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের DCP (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ৷ তিনি বলেন, "আমরা বিষয়টি শুনলাম ৷ পুলিশ পাঠাচ্ছি ৷ সরকারি নেশামুক্তি কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে তাদের সুস্থজীবনে ফিরিয়ে আনা হবে ৷" আর আসানসোল মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকের দপ্তরের বক্তব্য, "রেল পুলিশকে সতর্ক করা হবে ৷ মাঝেমধ্যেই অভিযান চালানো হয় ৷ তাদের বোঝানো হয় ৷ এখন থেকে অভিযানের বিষয়ে নিশ্চিত করা হচ্ছে ৷"

কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অবশ্য উদ্যোগী হয়ে নেশামুক্তির চেষ্টা করে ৷ কিন্তু, তা নিয়মিত নয় ৷ কিশোর-কিশোরীদের নেশামুক্তি সেন্টারে নিয়ে যান ৷ কয়েকজন নেশা ছেড়ে দেয় ৷ এরকমই একজন বছর 15-র রাহুল ৷ প্রায় মাস সাতেক ধরে নেশায় বুঁদ হয়ে থাকত ৷ কয়েকজনের উদ্যোগে দিন পাঁচেক আগেই সেই জাল থেকে মুক্ত হয়েছে ৷ আপাতত সুস্থ রয়েছে সে ৷ একই বক্তব্য অপর এক কিশোরের ৷ নেশার জাল থেকে বেরিয়ে জল বিক্রি করে সুস্থভাবে জীবনযাপন করছে ৷ কিন্তু, তাঁদের মতো সবাই ভাগ্যবান না ৷ আর তাই রাজু, বিলে, গোপী, বিলাসদের জীবন আপাতত নেশার কারাগারে রুদ্ধ ৷ যতদিন না সেখান থেকে মুক্ত হচ্ছে ততদিন একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ।

Intro:ধুলোবালিমাখা অযত্নে লালিত কতশত শৈশব হারাচ্ছে সামাজিক অবহেলায়।যারা এখনও দেখল না এই পৃথিবীকে তারা আজ হাজার হাজার মানুষের ভীড়ে মিশিয়েছে তাদের শৈশবকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায়।দুর্গাপুর স্টেশন-প্রতিদিনি এই স্টেশনের বুক চিরে কত রেলগাড়ির আনাগোনা।কত মানুষের ভীড় এই স্টেশনে।আর এত মানুষের ভীড়ের মাঝেই স্টেশন চত্বরে রাজু,বিলে,গোপী,বিলাস দের দিকে কখনও নজর গেলে দেখা যায় পরনে ময়লা চিটচিটে পোশাক,দুচোখ নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা।তাদের দাঁতের কামড় কাপড়ের টুকরো কিম্বা পলিথিন ব্যাগে।আর এই কাপড় বা পলিথিন ব্যাগেই যে আছে বিষাক্ত আঁঠা।এই আঁঠা শুকে আর খেয়েই যে এক সুখানুভুতি পায় এই শৈশবরা।আসানসোল স্টেশন কিম্বা দুর্গাপুর স্টেশন এদের স্থায়ী ঠিকানা।ট্রেনে কিম্বা স্টেশন চত্বরের দোকানে ঝাঁড়ু দিয়ে সামান্য কিছু উপার্জন তার তাই দিয়েই এই বিষাক্ত আঁঠা কিনে নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা দিনরাত।এরকম অন্তত ২০-২৫ জন ছেলে ও মেয়ে যারা সারাদিন মুখে কাপড় বা প্লাস্টিকে আঁঠা দিয়ে তা খায় কিম্বা শুঁকে এক অনাবিল আনন্দে থাকে।এদের মধ্যে আবার কারো কারো দেখা পেলাম যারা এই নেশায় অভ্যস্ত হয়েও পরে বুঝতে পেরেছে এর জন্য কি কি ক্ষতি হচ্ছে তাদের।তারা এখন তাই এই ""আঁঠা খাওয়া"" নেশা ছেড়েছে।স্টেশনের ভেতরে থাকা রেলপুলিশ থেকে স্টেশন চত্বরের বাইরে থাকা পুলিশ এদের ধমক চমক দেয় বটে মাঝেমধ্যে কিন্তু তাতে এরা কি আর শোনে।স্টেশনের সামনের কিছু দোকান থেকে কিম্বা পানাগড় থেকে এরা আঁঠা কিনে আনে।এই সমস্ত আঁঠার টিউবগুলি স্টেশন চত্বরে যত্রতত্র পড়ে আছে তাও ক্যামেরায় ধরা পড়ল।এরা স্কুলে যায়না।এরা সারাদিন এভাবেই স্টেশন চত্বরে চোখ লাল করে বুঁদ হয়ে থাকে।কিন্তু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, যারা এসব শিশুদের কে সুস্থপথে আনার জন্য কাজ করে বলে তারা কোথায়?তাদেরকে কেনও দেখা যায়না এই শিশুদের শৈশবকে নষ্ট না হতে দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসতে?সরকারি সুযোগ-সুবিধা এবং আর্থিক অনুদান পাওয়া সংস্থাগুলিও নির্বিকার। এই নেশাগ্রস্ত শৈশব অন্ধকারে পালিত হওয়ার পরে তা যখন যৌবনে পদার্পন করবে তখন সেই যৌবন যে অপরাধমুলক কাজেই জড়াবে তা বলা বাহুল্য।কারন এই শিশুরা নেশার জন্য টাকা যোগাড় করতে গিয়েই করছে অপরাধ।স্টেশনের যাত্রীদের মোবাইল ফোন থেকে ব্যাগ খোয়া যাওয়ার ঘটনার পিছনে যে নেশা তাও স্পষ্ট।কিন্ত নেশার আঁধারে ক্রমশ ডুবতে থাকা এই শৈশবকে কারা দেখাবে উদিত সুর্য্যের আলো?এই প্রশ্ন সবার মুখে,উত্তর কারো কাছেই নেই।।Body:FConclusion:F
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.