সালানপুর, 17 জানুয়ারি: রেল লাইনের ধারে এক যুবক ও এক যুবতীর ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। আসানসোলের সালানপুরের জেমারির রেজ্জাকনগর পাড়া সংলগ্ন এলাকার ঘটনা। রেলপুলিশ ও সালানপুর থানার পুলিশ মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। প্রথমে দু'জনের পরিচয় জানা না গেলেও পরে যুবকের নাম জানা যায়। মৃত যুবকের নাম অনন্ত রায় ওরফে শম্ভু (24)। ওই যুবক সালানপুর থানার অন্তর্গত রামচন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা। তবে বুধবার রাত পর্যন্ত যুবতীর কোনও পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এদিন দুপুরের পর এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়ে সালানপুরের জেমারি এলাকার রেজ্জাক নগর এলাকায় দিল্লি আপ লাইনের ধারে দুটি মৃতদেহ পড়ে আছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলেই সালানপুর থানা এবং জিআরপি পৌঁছয়। এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন, এদিন দুপুরে রেল লাইনের পাশে এক যুবক যুবতীর ছিন্ন ভিন্ন দেহ পড়তে থাকতে দেখা যায়। প্রথমে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। মৃতদেহগুলি দেখেও পরিচয় পাওয়ার উপায় ছিল না। পরে পোশাক দেখে জানা যায় মৃত যুবক অনন্ত রায়। তার পরিবারের লোকরাই মূলত পোশাক দেখে তাকে সনাক্ত করেছে। যদিও ওই যুবতীর পরিচয় পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে মহিলার বয়স ওই যুবকের চেয়ে বেশি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এটি একটি আত্মহত্যারই ঘটনা। প্রণয়ঘটিত কোনও কারণেই এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত অনন্ত রায় একটি বেসরকারি কারখানায় কাজ করত। যদিও তাঁর আত্মঘাতী হওয়ার কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি তাঁর কোনও প্রণয়ের সম্পর্কের কথা পরিবার জানত না। স্থানীয়দের দাবি, পারিবারিক অশান্তির কারণেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। পুলিশ মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। যদিও এই ঘটনা কীভাবে ঘটেছে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি পুলিশ মৃত মহিলার পরিচয় জানার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন
ফের যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার মালদায়, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
নির্যাতিতা নাবালিকার দেহ উদ্ধার শৌচাগারে, শিলিগুড়ির হোমে চাঞ্চল্য
একই দিনে জোড়া খুন মালদায়! ভিন্ন জায়গা থেকে দেহ উদ্ধার, প্রশ্নের মুখে আইনশৃঙ্খলা