ETV Bharat / state

দুর্নীতি রোখার জন্যই তাঁর গতি আটকে ছিলেন মমতা, মুখ খুললেন দীনেশ

author img

By

Published : Apr 8, 2021, 8:43 PM IST

একসময় তৃণমূল সুপ্রিমোর বিশ্বস্ত সেনাপতি ছিলেন ৷ পেয়েছিলেন রেলমন্ত্রকের দায়িত্ব ৷ কিন্তু সে সময় রেলের উন্নতির জন্য় তাঁর নেওয়া সিদ্ধান্তের সঙ্গে মতের অমিল হয় দলীয় নেত্রীর ৷ পদ ছেড়েছিলেন কয়েক ঘণ্টার নোটিশে ৷ দুর্গাপুরে বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের জানান রেলমন্ত্রীর পদ ছাড়ার কারণ, নারদ নিয়ে তাঁর প্রতিবাদের কথা ৷

সাংবাদিক সম্মেলনে দীনেশ ত্রিবেদী
সাংবাদিক সম্মেলনে দীনেশ ত্রিবেদী

দুর্গাপুর, 8 এপ্রিল : এবারে সংবাদমাধ্যমে রেলমন্ত্রক ছাড়া নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন দীনেশ ত্রিবেদী ৷ 'রেলমন্ত্রী থাকাকালীন দুর্নীতি হতে দিইনি, তাই আমাকে ছাড়তে হয়েছিল', সাংবাদিকদের বলেন এক সময়ের তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম বিশ্বস্ত সেনাপতি। বর্তমানে তিনি গেরুয়া শিবিরের সম্পদ। আজ রাজ্যজুড়ে বিজেপির সংকল্প পত্রপাঠ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ইস্তাহারে কী কী উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের কথা রয়েছে, জনসাধারণকে তা জানানো হবে এই অনুষ্ঠানের মাধ্য়মে।

বিস্ফোরক দীনেশ ত্রিবেদী

দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয়ে সেই অনুষ্ঠানে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ, সদ্য় বিজেপি-নেতা দীনেশ ত্রিবেদী। এখানে সাংবাদিক সম্মেলনে দীনেশ রেলমন্ত্রীর পদ ছাড়া-সহ নারদ নিয়েও চাঞ্চল্যকর তথ্য় তুলে ধরেন।

আরও পড়ুন: 10টা শো-কজ করলেও আমার কিছু যায় আসে না : মমতা

রেলমন্ত্রী থাকাকালীন কয়েক ঘণ্টার নোটিশে তাঁকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য় করা হয় ৷ সেই ঘটনার বদলা নিতেই কি এই দলত্য়াগ ? সাংবাদিকের এই প্রশ্নকে সযত্নে এড়িয়ে তিনি বলেন, 'আমি তো শুনিনি ৷ প্রথমবার শুনছি ৷ লোকেরা আমাকে ভালভাবে চেনে ৷ দীর্ঘদিন আমি পলিটিক্সে আছি ৷ আমি একটা সুস্থ ক্লিন পলিটিক্স, ভ্য়ালু বেসড পলিটিক্স করেছি ৷ আর আমার সাড়ে পাঁচ বছর ছিল এখানে ৷ আমি থাকতেই পারতাম ৷ কেউ এমনি ছাড়ে না ৷ রেলমন্ত্রালয় কেউ ছাড়ে না ৷' তিনি চাইলে রেলমন্ত্রকে থাকতে পারতেন, দাবি তাঁর ৷ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমাকে খালি বলা হয়েছে তুমি এটা উইথড্র করো ৷ সেই সময় রেল বাজেটে 60% কাজ পশ্চিমবঙ্গের জন্য করব বলে তৈরি করেছিলাম। আজকে কোথায় রেল কিছু বেশি হচ্ছে না ৷ কিন্তু ট্যাঙ্কে যদি জল না থাকে, তাহলে কলে জল পড়বে কী করে ?' এমনকি এই পদক্ষেপ না করলে রেল আইসিইউ-তে চলে যাবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি সে সময় ৷ আর 'তা মাননীয়ার পছন্দ হয়নি ৷ সত্যি কথা বলি, বেশি ডিটেল বলতে পারি না ৷ দুর্নীতিকে আটকে ছিলাম শেষনাগের মতো। কাউকে দুর্নীতি করতে দেব না ৷ এখানে অনেক ব্য়াপার ছিল ৷ আমি রেলে দুর্নীতি করতে দিইনি ৷ আর তাই জন্যে আজকে প্রথম বার বলছি ৷ সব ডিটেল আছে ৷ সবাই সব ডিটেল জানে ৷ তাই অনেক সহ্য় করেছি ৷ আমরা দেশের জন্য় আছি ৷' তাঁর কাছে পলিটিক্সের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র একটা পার্টি বা পরিবার নয় ৷ তবে আজ ভারতীয় জনতা পার্টি এসছে বলেই নাকি তিনি এ কথা বলছেন না, দাবি প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর ৷ এমনকি 2014 সালেও নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেছেন তিনি ৷

দীনেশ ত্রিবেদী এক সময় নারদা নিয়েও প্রতিবাদ করেছিলেন, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'একটা নাম বলুন যার কেস বিজেপি গভর্নমেন্ট উইথড্র করেছে ? কারওর কেস উইথড্র করেনি ৷' বিমল গুরুংকে খুনি, অপরাধী বলে দেগে বলেন, 'একদিনে সব কেস উইথড্র ৷ আর এই বিষয়টা সুপ্রিম কোর্ট আর হাইকোর্টের অবজারভেশনে আছে ৷ এর একটা প্রসেস আছে ৷ মাননীয়া সেই সমস্ত প্রসেস ভুলে গেছেন ৷ একদিনের মধ্য়ে সব কেসেস উইথড্র ৷'

বিজেপি যোগ দেওয়ার পরেও কোথাও প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াননি তিনি ৷ তবে দলের হয়ে প্রচার করছেন জোরকদমে ৷ সাধারণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রীর কর্মকাণ্ডের কথাও ৷

দুর্গাপুর, 8 এপ্রিল : এবারে সংবাদমাধ্যমে রেলমন্ত্রক ছাড়া নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন দীনেশ ত্রিবেদী ৷ 'রেলমন্ত্রী থাকাকালীন দুর্নীতি হতে দিইনি, তাই আমাকে ছাড়তে হয়েছিল', সাংবাদিকদের বলেন এক সময়ের তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম বিশ্বস্ত সেনাপতি। বর্তমানে তিনি গেরুয়া শিবিরের সম্পদ। আজ রাজ্যজুড়ে বিজেপির সংকল্প পত্রপাঠ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ইস্তাহারে কী কী উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের কথা রয়েছে, জনসাধারণকে তা জানানো হবে এই অনুষ্ঠানের মাধ্য়মে।

বিস্ফোরক দীনেশ ত্রিবেদী

দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয়ে সেই অনুষ্ঠানে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ, সদ্য় বিজেপি-নেতা দীনেশ ত্রিবেদী। এখানে সাংবাদিক সম্মেলনে দীনেশ রেলমন্ত্রীর পদ ছাড়া-সহ নারদ নিয়েও চাঞ্চল্যকর তথ্য় তুলে ধরেন।

আরও পড়ুন: 10টা শো-কজ করলেও আমার কিছু যায় আসে না : মমতা

রেলমন্ত্রী থাকাকালীন কয়েক ঘণ্টার নোটিশে তাঁকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য় করা হয় ৷ সেই ঘটনার বদলা নিতেই কি এই দলত্য়াগ ? সাংবাদিকের এই প্রশ্নকে সযত্নে এড়িয়ে তিনি বলেন, 'আমি তো শুনিনি ৷ প্রথমবার শুনছি ৷ লোকেরা আমাকে ভালভাবে চেনে ৷ দীর্ঘদিন আমি পলিটিক্সে আছি ৷ আমি একটা সুস্থ ক্লিন পলিটিক্স, ভ্য়ালু বেসড পলিটিক্স করেছি ৷ আর আমার সাড়ে পাঁচ বছর ছিল এখানে ৷ আমি থাকতেই পারতাম ৷ কেউ এমনি ছাড়ে না ৷ রেলমন্ত্রালয় কেউ ছাড়ে না ৷' তিনি চাইলে রেলমন্ত্রকে থাকতে পারতেন, দাবি তাঁর ৷ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমাকে খালি বলা হয়েছে তুমি এটা উইথড্র করো ৷ সেই সময় রেল বাজেটে 60% কাজ পশ্চিমবঙ্গের জন্য করব বলে তৈরি করেছিলাম। আজকে কোথায় রেল কিছু বেশি হচ্ছে না ৷ কিন্তু ট্যাঙ্কে যদি জল না থাকে, তাহলে কলে জল পড়বে কী করে ?' এমনকি এই পদক্ষেপ না করলে রেল আইসিইউ-তে চলে যাবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি সে সময় ৷ আর 'তা মাননীয়ার পছন্দ হয়নি ৷ সত্যি কথা বলি, বেশি ডিটেল বলতে পারি না ৷ দুর্নীতিকে আটকে ছিলাম শেষনাগের মতো। কাউকে দুর্নীতি করতে দেব না ৷ এখানে অনেক ব্য়াপার ছিল ৷ আমি রেলে দুর্নীতি করতে দিইনি ৷ আর তাই জন্যে আজকে প্রথম বার বলছি ৷ সব ডিটেল আছে ৷ সবাই সব ডিটেল জানে ৷ তাই অনেক সহ্য় করেছি ৷ আমরা দেশের জন্য় আছি ৷' তাঁর কাছে পলিটিক্সের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র একটা পার্টি বা পরিবার নয় ৷ তবে আজ ভারতীয় জনতা পার্টি এসছে বলেই নাকি তিনি এ কথা বলছেন না, দাবি প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর ৷ এমনকি 2014 সালেও নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেছেন তিনি ৷

দীনেশ ত্রিবেদী এক সময় নারদা নিয়েও প্রতিবাদ করেছিলেন, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'একটা নাম বলুন যার কেস বিজেপি গভর্নমেন্ট উইথড্র করেছে ? কারওর কেস উইথড্র করেনি ৷' বিমল গুরুংকে খুনি, অপরাধী বলে দেগে বলেন, 'একদিনে সব কেস উইথড্র ৷ আর এই বিষয়টা সুপ্রিম কোর্ট আর হাইকোর্টের অবজারভেশনে আছে ৷ এর একটা প্রসেস আছে ৷ মাননীয়া সেই সমস্ত প্রসেস ভুলে গেছেন ৷ একদিনের মধ্য়ে সব কেসেস উইথড্র ৷'

বিজেপি যোগ দেওয়ার পরেও কোথাও প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াননি তিনি ৷ তবে দলের হয়ে প্রচার করছেন জোরকদমে ৷ সাধারণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রীর কর্মকাণ্ডের কথাও ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.