ETV Bharat / state

অনাময় হাসপাতালে শিশু চুরির অভিযোগে দুর্গাপুরে আটক দম্পতি - দুর্গাপুর

অনাময় হাসপাতাল থেকে চুরি হয়েছে একটি শিশু । সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল সে খবর । তাই রাতে বাসে একটি শিশু সহ মহিলাকে দেখে সন্দেহ হয় কন্ডাক্টারের । খবর দেন পুলিশে । সেইসময় কয়েকটি কাগজ দেখে ছেড়ে দেওয়া হলেও আজ সকালে ওই মহিলা ও তার স্বামীকে বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ ।

Detained
আটক মহিলা
author img

By

Published : Jan 20, 2020, 7:00 PM IST

দুর্গাপুর, 20 জানুয়ারি : কন্যাসন্তানের জন্ম দিলে সরকারের তরফে 6 হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে । কিন্তু সেই টাকা নিতে যেতে হবে অনাময় হাসপাতালে । বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক মহিলার থেকে একথা জানার পরই অনাময় হাসপাতালে সদ্যোজাতকে নিয়ে পৌঁছে গেছিলেন রিমা ও তাঁর পরিবার । তারপর সেখান থেকেই চুরি করা হয় সদ্যোজাতকে । এরপর আজ দুর্গাপুর থেকে এক দম্পতিকে আটক করে পুলিশ । তাদেরও একটি কন্যাসন্তান রয়েছে । গতকালের অনাময় হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির ঘটনায় এই দম্পতি জড়িত কি না তা জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ।

কয়েকদিন আগে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি হন রায়না থানার সিপ্টা এলাকার বাসিন্দা রিমা মালিক । শুক্রবার তিনি এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন । রবিবার হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছুটি দেওয়া হয় । এরপর হাসপাতাল থেকে বেরোনোর আগে রিমার পরিবারের সঙ্গে এক মহিলার আলাপ হয় । সেই মহিলা তাদের জানায়, কন্যাসন্তানের জন্ম হলে সরকারের তরফে 6 হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে । তবে, সেই টাকা নিতে যেতে হবে অনাময় হাসপাতালে । আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় 6 হাজার টাকা পাওয়ার আশায় সদ্যোজাতকে নিয়ে অনাময় হাসপাতালে পৌঁছে যান রিমা ও তাঁর পরিবার । সেখানে গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এবিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে শুরু করেন । অভিযোগ, এই সুযোগেই রিমার কন্যাসন্তানটিকে নিয়ে চম্পট দেয় ওই মহিলা ।

অন্যদিকে গতরাতে দুর্গাপুর থেকে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের একটি বাসে শিশু কন্যাকে নিয়ে আসছিল পিঙ্কি বৈরাগ্য । ততক্ষণে অনাময় হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির ঘটনাটি সব সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে । তাই রাতে পিঙ্কিকে শিশুটিকে নিয়ে যেতে দেখে সন্দেহ হয় বাস কন্ডাক্টারের । তিনি বিষয়টি এ জ়োন ফাঁড়ির পুলিশকে জানান । তারা খবরটি পাওয়ার পর কাঁকসা থানার পুলিশকে জানায় । খবর পেয়ে কাঁকসার বাসকোপার টোলপ্লাজ়াতে বাসটিকে আটকায় পুলিশ । শিশু সহ ওই মহিলাকে নামিয়ে কাগজপত্র দেখতে চায় । সেইসময় বর্ধমান মেডিকেল কলেজের কিছু কাগজপত্র দেখালে পিঙ্কিকে ছেড়ে দেয় পুলিশ ।

পুলিশ পরে জানতে পারে, এই পিঙ্কি বৈরাগ্য অন্তঃসত্ত্বা ছিল একথা ঠিক । কিন্তু গর্ভেই তার সন্তান মারা যায় । তারপর আজ সকালে বেনাচিতি সত্যজিৎ পল্লিতে পিঙ্কি বৈরাগ্যর বাড়িতে যায় পুলিশ । সেখান থেকে পিঙ্কি ও তার স্বামী মণি বৈরাগ্যকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে । যদিও শিশু চুরির ঘটনায় পিঙ্কি জড়িত কি না সেবিষয়ে পুলিশের তরফে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি । এই মুহূর্তে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে । পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হচ্ছে অনাময় হাসপাতালের CCTV ফুটেজ ।

দুর্গাপুর, 20 জানুয়ারি : কন্যাসন্তানের জন্ম দিলে সরকারের তরফে 6 হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে । কিন্তু সেই টাকা নিতে যেতে হবে অনাময় হাসপাতালে । বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক মহিলার থেকে একথা জানার পরই অনাময় হাসপাতালে সদ্যোজাতকে নিয়ে পৌঁছে গেছিলেন রিমা ও তাঁর পরিবার । তারপর সেখান থেকেই চুরি করা হয় সদ্যোজাতকে । এরপর আজ দুর্গাপুর থেকে এক দম্পতিকে আটক করে পুলিশ । তাদেরও একটি কন্যাসন্তান রয়েছে । গতকালের অনাময় হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির ঘটনায় এই দম্পতি জড়িত কি না তা জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ।

কয়েকদিন আগে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি হন রায়না থানার সিপ্টা এলাকার বাসিন্দা রিমা মালিক । শুক্রবার তিনি এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন । রবিবার হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছুটি দেওয়া হয় । এরপর হাসপাতাল থেকে বেরোনোর আগে রিমার পরিবারের সঙ্গে এক মহিলার আলাপ হয় । সেই মহিলা তাদের জানায়, কন্যাসন্তানের জন্ম হলে সরকারের তরফে 6 হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে । তবে, সেই টাকা নিতে যেতে হবে অনাময় হাসপাতালে । আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় 6 হাজার টাকা পাওয়ার আশায় সদ্যোজাতকে নিয়ে অনাময় হাসপাতালে পৌঁছে যান রিমা ও তাঁর পরিবার । সেখানে গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এবিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে শুরু করেন । অভিযোগ, এই সুযোগেই রিমার কন্যাসন্তানটিকে নিয়ে চম্পট দেয় ওই মহিলা ।

অন্যদিকে গতরাতে দুর্গাপুর থেকে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের একটি বাসে শিশু কন্যাকে নিয়ে আসছিল পিঙ্কি বৈরাগ্য । ততক্ষণে অনাময় হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির ঘটনাটি সব সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে । তাই রাতে পিঙ্কিকে শিশুটিকে নিয়ে যেতে দেখে সন্দেহ হয় বাস কন্ডাক্টারের । তিনি বিষয়টি এ জ়োন ফাঁড়ির পুলিশকে জানান । তারা খবরটি পাওয়ার পর কাঁকসা থানার পুলিশকে জানায় । খবর পেয়ে কাঁকসার বাসকোপার টোলপ্লাজ়াতে বাসটিকে আটকায় পুলিশ । শিশু সহ ওই মহিলাকে নামিয়ে কাগজপত্র দেখতে চায় । সেইসময় বর্ধমান মেডিকেল কলেজের কিছু কাগজপত্র দেখালে পিঙ্কিকে ছেড়ে দেয় পুলিশ ।

পুলিশ পরে জানতে পারে, এই পিঙ্কি বৈরাগ্য অন্তঃসত্ত্বা ছিল একথা ঠিক । কিন্তু গর্ভেই তার সন্তান মারা যায় । তারপর আজ সকালে বেনাচিতি সত্যজিৎ পল্লিতে পিঙ্কি বৈরাগ্যর বাড়িতে যায় পুলিশ । সেখান থেকে পিঙ্কি ও তার স্বামী মণি বৈরাগ্যকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে । যদিও শিশু চুরির ঘটনায় পিঙ্কি জড়িত কি না সেবিষয়ে পুলিশের তরফে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি । এই মুহূর্তে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে । পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হচ্ছে অনাময় হাসপাতালের CCTV ফুটেজ ।

Intro:রবিবার বর্ধমানের অনাময় হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি চক্রের সাথে জড়িত সন্দেহে দুর্গাপুর থেকে ধরা পড়লো এক মহিলা। শিশুসহ আটক ওই মহিলা । পিঙ্কি বৈরাগ্য ওরফে মধুমিতা বন্দোপাধ্যায় এই শিশু চুরি চক্রের সঙ্গে কি জড়িত?শক্তিগড় থানা ও কাঁকসা থানার পুলিশ ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। যে বাড়িতে পিংকি বৈরাগ্য ওরফে মধুমিতা ব্যানার্জি ভাড়া থাকতো সেই বাড়ির মালকিন তিনি হতবাক, যে কিভাবে রাতের অন্ধকারে হঠাৎ করে পিংকি একটি শিশু কন্যাকে নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তারাও। যদিও কাঁকসা থানা ঢোকার আগে পিংকি বৈরাগ্য ওরফে মধুমিতা ব্যানার্জি দাবি করে এই শিশুকন্যা তারই জন্ম দেওয়া শিশুকন্যা প্রয়োজনে তারা কাগজপত্র দেখাতে পারে।।

টাকা পাইয়ে দেবার নাম করে তিন দিনের শিশুকে চুরি করে নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে বর্ধমান শহরের অনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রায়না থানার সিপ্টা এলাকার বাসিন্দা রিমা মালিক বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটা কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। রবিবার সকালের দিকে ওই মহিলার ছুটি হয়ে যায়। অভিযোগ হাসপাতালেই ওই রিমা মালিকের পরিবারের সঙ্গে এক মহিলা ভাব জমায়। ওই মহিলা তাদের জানায় কন্যা সন্তানের জন্ম হলে সরকার ছয় হাজার টাকা দিচ্ছে। সেই টাকা নিতে গেলে অনাময় হাসপাতাল যেতে হবে। সেই কথা শুনে রিমার বাড়ির লোকজন সদ্যোজাত শিশুকে টোটো চাপিয়ে অনাময় হাসপাতালে পৌঁছায়। সেখানে তারা টাকার জন্য বিভিন্ন জায়গায় কথা বলতে যায়। সেই সুযোগে শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যায় ওই মহিলা বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে যেটা জানা যাচ্ছে যে পিংকি বৈরাগ্য অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। কিন্তু কিন্তু তার গর্ভজাত সন্তান আগেই মারা যায়। রবিবার রাতে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ এর দুর্গাপুরে আসা একটি বাসে শিশুকন্যাকে নিয়ে আসছিল পিংকি বৈরাগ্য। সেই সময়ে ওই বাসের টিকিট পরীক্ষক এজোন ফাঁড়ির এক পুলিশকে জানায় যে তার বাসে শিশুকন্যাসহ এক মহিলা আসছে। সেই সময় অনাময় হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির ঘটনা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। তা দেখেই ওই কন্ডাক্টরের এর সন্দেহ হয়।এজোন ফাঁড়ির পুলিশ কাঁকসা থানার পুলিশকে জানালে কাঁকসা থানার পুলিশ কাঁকসার বাসকোপাতে টোলপ্লাজা এসবিএসটিসি র ওই বাস থামিয়ে শিশুকন্যাসহ পিংকি বৈরাগ্য কে নামিয়ে তার কাগজপত্র দেখতে চাইলে, পুলিশকে পিংকি বর্ধমান মেডিকেল কলেজের কিছু কাগজপত্র দেখান এবং পুলিশ সেই সময় পিংকি দের ঠিকানা লিখে নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু আজ সকাল হতেই যখন এই শিশু চুরির ঘটনা আরও বেশি করে প্রচার হয় তখন পুলিশ নড়েচড়ে বসে এবং কাঁকসা থানা ও এ-জোন ফাঁড়ির পুলিশ যেখানে পিংকি বৈরাগ্য ভাড়া থাকতো সেই বেনাচিতি সত্যজিৎ পল্লীর বাড়িতে আসে এবং তাদেরকে পিংকি ও তার স্বামী মনি বৈরাগ্য কে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এই মুহূর্তে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে খতিয়ে দেখা হচ্ছে অনাময় হাসপাতালে সিসিটিভি ফুটেজ। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও পিঙ্কি চুরি করেছে এবং এই শিশুকন্যাটি চুরি যাওয়া সেই শিশুকন্যা কিনা সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। কিন্তু পিংকি আচমকাই শিশুকন্যা পেল কোথায়?সেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে যে বাড়িতে সে ভাড়া ছিল সেই বাড়ির গৃহকর্ত্রী এবং প্রতিবেশিরা।যা থেকে অনাময় হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির সাথে এই পিংকি ওরফে মধুমিতা ব্যানার্জির জড়িত থাকার ধারণা আরো স্পষ্ট হচ্ছে।।Body:গConclusion:হ
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.