দুর্গাপুর, 21 মার্চ: কোরোনা আতঙ্কে জেরবার গোটা রাজ্য । প্রতিরোধের কড়া চ্যালেঞ্জ সরকারের কাছে । জেলায় জেলায় লাল সর্তকতা । পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল-দুর্গাপুর মহকুমার প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে করলেন কোরোনা প্রতিরোধের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যের কৃষি সচিব সুনীল গুপ্তা ।
এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুকেশ জৈন, পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক শশাঙ্ক শেট্টি, দুর্গাপুর ও আসানসোলের মহকুমা শাসক,পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস হালদার-সহ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল গুলির প্রতিনিধিরা এবং দুর্গাপুর ও আসানসোল নগর নিগমের প্রতিনিধিরাও ।
কোরোনা ভাইরাস রুখতে কী কী করণীয় এবং তার জন্য পশ্চিম বর্ধমান জেলা কতটা প্রস্তুত ? সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয় ।
এছাড়াও, এই আলোচনায় আসানসোল জেলা হাসপাতাল, দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল এবং আসানসোল ও দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে আইসোলেশন কতগুলি রয়েছে ? চিকিৎসকরা কতটা তৈরি ? বা কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেলে, তা দ্রুত রাজ্য প্রশাসনকে জানানোর কথাও আলোচিত হয় ।
এই বিষয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলাশাসক শশাঙ্ক শেট্টি বলেন " সাম্প্রতিক কোরোনা আতঙ্ক নিয়ে আমরা সবাই চিন্তিত । তা নিয়ে এই বৈঠক । কতটা তৈরি পশ্চিম বর্ধমান জেলা কোরোনা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে? সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হল । কোন সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতাল কোন রোগীকে ফেরাতে পারবে না । এমন কথা আলোচিত হয়েছে । আমাদের জেলায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে, আসানসোল জেলা হাসপাতালে স্পেশাল ভেন্টিলেশন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে । যাঁরা সদ্য বিদেশ থেকে ঘুরে তাঁদেরকে সংশ্লিষ্ট থানার পক্ষ থেকে পুলিশ গিয়ে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকতে বলেছেন । এখনও অবধি পশ্চিম বর্ধমান জেলায় পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক ।
রাজ্যে একমাত্র কলকাতা ছাড়া এখনও পর্যন্ত কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে কেউ অসুস্থ এমন কোনও খবর পাওয়া যায়নি । তবুও জেলা গুলিকে সতর্ক করা হয়েছে । যেহেতু বিভিন্ন জেলায় বিদেশ থেকে সদ্য ফিরে আসা অনেক মানুষ রয়েছেন । সেই সূত্রে করোনা ভাইরাস কোথাও থাবা বসাতে পারে এবং সেই কারণেই জেলা প্রশাসনিক কর্তাদের পাশাপাশি পুলিশকেও তৈরি থাকার নির্দেশ আজ দিয়ে গেলেন বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি প্রতিনিধি সুনীল গুপ্তা ৷