কুলটি, 11 অক্টোবর: সাতসকালে এক ঠিকাদারকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিল দুষ্কৃতীরা । ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের কুলটি থানার চিনাকুড়িতে ৷ আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ওই ঠিকাদারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা । ওই ঠিকাদারের নাম শম্ভুনাথ মিশ্র (55) । কেন এই ঘটনা, তা নিয়ে ধন্দে রয়েছে পরিবার এবং পুলিশ । আসানসোলের কুলটির চিনাকুড়ি 3 নম্বর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন শম্ভুনাথ । তাঁর নিজস্ব ব্যবসা ছিল বলে পারিবারিক সূত্রে খবর । পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সংস্থায় ঠিকাদারের কাজ করতেন ।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনই সকাল সাতটার সময় বাড়ি থেকে বেরোতেন শম্ভুনাথ । সেইমতো বুধবার সকালেও তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন । বাড়ির খুব সামনে একটি চা দোকানে তিনি দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলেন । প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছে, ওই চা দোকানেই বাইক নিয়ে দুই দুষ্কৃতী আসে এবং পয়েন্ট ব্ল্যাক রেঞ্জ থেকে তাঁকে পরপর গুলি করা হয় । প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, প্রায় 6 রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে । ঘটনার খবর পেয়েই কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ সেখানে এসে গুলিবিদ্ধ শম্ভুনাথ মিশ্রকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় । কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় ।
আসানসোল জেলা হাসপাতালে শম্ভুনাথের শ্যালক অরবিন্দ তিওয়ারি বলেন, "আমার জামাইবাবু শরীরে তিনটি গুলি লেগেছে । একটি মাথায়, একটি কিডনিতে এবং একটি হাতে । জামাইবাবুর কোন শত্রু ছিল বলে আমার জানা নেই । হতে পারে ব্যবসায়িক শত্রুতার কারণেই এই খুন ।" অন্যদিকে শম্ভুনাথ মিশ্রের স্ত্রী নিলম মিশ্রের বক্তব্য, "আমার স্বামী কি করত, কোথায় যেত, আমি সেসব বিষয়ে কিছুই জানি না । প্রতিদিনই সকাল সাতটার সময় স্নান করে, পুজো সেরে খাবার খেয়ে বেরিয়ে পড়তেন তিনি । আজও সেরকমভাবে বেরিয়ে ছিল । আমি প্রথমে জানতে পারি কোনও কিছুতে আহত হয়েছেন । কিন্তু পরে শুনলাম ওনাকে গুলি চালানো হয়েছে । কে বা কারা এ ঘটনায় জড়িত আমি কিছুই বলতে পারব না । ওনার কাজকর্ম সম্পর্কে আমি বিশেষ কিছুই জানতাম না ।"
আরও পড়ুন: পোলট্রি ফার্মে ঢুকে দুষ্কৃতীদের এলোপাথাড়ি গুলি, সুতিতে মৃত্যু তৃণমূল নেতার
ঘটনার তদন্ত নেমেছে কুলটি থানার পুলিশ । পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি গুলির খোল উদ্ধার করেছে । কুলটি থানার পুলিশ জানিয়েছে, সবদিক খতিয়ে দেখেই তদন্ত করা হচ্ছে । দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ।